Ad T1

‘বর্তমান কাঠামোর মধ্যেই পোষাক শিল্পে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৭: ৫৫

পর্যাপ্ত গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে পোষাক শিল্পের বর্তমান কাঠামোর মধ্যেই ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দি ইন্সটিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড টেকনোলজিস্টস (আইটিইটি) কর্তৃক আয়োজিত এক প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব মো এনায়েত হোসেন,আহ্বায়ক এহসানুল করিম কায়সার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশজ রপ্তানির ৮৪ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক খাত। আর তৈরি পোশাক খাতের উপর নির্ভর করেই ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড শিল্পের ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে। গত ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে একদিকে শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং অনিয়মিতভাবে গ্যাসের সরবরাহ, অন্যদিকে ২০২৩ সালে হঠাৎ করে গ্যাসের মূল্য ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এর ফলে টেক্সটাইল শিল্প কারখানাগুলোকে চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। পর্যাপ্ত গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে বর্তমান কাঠামোর মধ্যেই ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব বলে আমরা মনে করি। বর্তমান সরকার বিদেশি ও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য। কিন্তু গ্যাসের সরবরাহের নিশ্চয়তা না দিয়ে নতুন কারখানায় গ্যাস সংযোগ এর ক্ষেত্রে পুরাতন/ চলমান কারখানার চেয়ে গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বেশী নির্ধারণ করে মূলত নতুনদেরকে শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, শ্রমিকের বেতনবৃদ্ধি ও অধিকতর মূল্যস্ফীতির কারণে ইতিমধ্যে ৫০০ ছোট বড় কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় টেক্সটাইল খাতের বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জনগণকে বেকার রেখে দিন বদল করা যাবে না।

বক্তারা বলেন, এছাড়াও গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিতকরণ, ব্যাংক সুদের হার ১০ ভাগে নামিয়ে আনা, ব্যাংকিং চার্জ কমানো, বন্দরের চার্জ হ্রাস, শ্রমিক অসন্তোষ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিল্প উৎপাদনে গতিশীলতা আনয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। বিগত কিছুদিন যাবৎ তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে বেশ কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে উৎপাদন বন্ধ থেকেছে। এ নিয়ে দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তা ও ক্রেতাগণ উদ্বিগ্ন। যে কোনো পরিস্থিতিতে শিল্পক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও অসন্তোষ মুক্ত রাখতে সরকারের দৃষ্টি দিতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত