পাবলিক প্লেসে ধূমপানের শাস্তি এবং এর আওতা বাড়িয়ে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে জরিমানার পরিমাণ ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।
২০০৫ সালের মূল আইনটি সংশোধন করে জারি করা এই অধ্যাদেশে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন বিধানে পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞা ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করা হয়েছে। এখন থেকে কেবল সরকারি অফিস বা হাসপাতাল নয়; বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপিংমল, পরিবহন টার্মিনাল, পার্ক ও মেলাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
এমনকি ভবনের বারান্দা, প্রবেশপথ এবং আশপাশের উন্মুক্ত স্থানেও ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশের অন্যতম বড় পরিবর্তন হলো পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা ‘স্মোকিং জোন’ ব্যবস্থার বিলুপ্তি। আগের আইনে নির্দিষ্ট স্থানে ধূমপানের সুযোগ থাকলেও নতুন সংশোধনীতে তা বাতিল করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে কোনো পাবলিক প্লেসেই ধূমপানের জন্য আলাদা কোনো জায়গা রাখা যাবে না।
এছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। এখন থেকে তামাকের প্যাকেটে ‘স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং’ অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বর্তমানে যে ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী থাকে, সেটি বাড়িয়ে এখন থেকে ৭৫ শতাংশ এলাকাজুড়ে মুদ্রণ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


যেসব স্থানে সিগারেট বিক্রি করলে জরিমানা ৫০০০ টাকা