
স্টাফ রিপোর্টার

দেশের বিচারবিভাগ এবং জনপ্রশাসনে সংস্কার বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের নাগরিকগণ বহু বছর ধরে যে হেনস্থা এবং অপমানের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশন প্রধান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বে তার দল এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার দল।
বিচারবিভাগ সংস্কার এবং জনপ্রশাসন সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি কথা দিয়ে শুরু করলেন, (সারসংক্ষেপ) আমাদেরকে জানালেন এতে কত জনের মাথা নাড়ানো দেখলাম; তাতে বোঝা গেল কোন জায়গায় আপনারা হাত দিয়েছেন।
ড. ইউনূস বলেন, এই দুটি কমিশন সংস্কার হলে, এটা এমন জিনিস, বাংলাদেশের এমন কোনো নাগরিক নেই যে এটাতে টাচড (সম্পৃক্ত) হয়নি। অন্য কমিশনের অনেক বড় বড় জিনিস থাকে, কিন্তু সরাসরি টাচ (জড়িত) করে না, ইডাইরেক্টলি হয়। তবে এটা সরাসরি। আপনি দরিদ্র বা ধনী হতে পারেন, মাঝের লোক হতে পারেন এই দুটো থেকে মুক্তি নাই। এই দুটোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতেই হবে।
ন্যায় বিচার ও সেবা পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যে অভিজ্ঞতা, দেশের যে অভিজ্ঞতা, সেটা হলো হেনস্তার অভিজ্ঞতা। অপমান, অবমাননার অভিজ্ঞতা। আমরা নাগরিক হিসেবে যে আমাদের একটা দাবি আছে, অধিকার আছে, সেটা ভুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা। নতজানু হওয়ার অভিজ্ঞতা।
ড. ইউনূস বলেন, এখানে (সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন) যে আশার কথা শুনিয়েছেন, এই যে সংক্ষিপ্ত সার যেটা আমাদেরকে দিলেন, সেটাতেই এতো আশা জাগায়। হয়তো আমরা এটা থেকে মুক্ত হবো। আমরা সত্যিকারভাবে নাগরিক হিসেবে অধিকার ফিরে পাবো। আপনাদের এই রিপোর্টের মাধ্যমে সেই প্রত্যাশা পূরণ হোক।
তিনি বলেন, এই রিপোর্ট সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট হিসেবে জনগণের হাতে দিয়ে দেবো। রাজনৈতিক দলের হাতে দিয়ে দিবো। সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের কাছে দিয়ে দিবো। যাতে করে তারা একমত হতে পারে যে এগুলো করে যাওয়া ভালো। আমরা মনে করছি, আমরা মাথা নাড়ছি, আমাদের ভালো লাগছে। সবাই যেন এভাবে মাথা নাড়ে, এ ঠিক কথা বলেছেন, আমাদের প্রাণের কথা বলেছেন, কারণ আমি তো ভুক্তভোগী।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তো পন্ডিত হতে হবে না এ বিষয়ে। অন্য বিষয়ে পন্ডিত হতে হবে। যখন সংবিধান নিয়ে বসি তখন পন্ডিত হতে হবে। এটাতে পন্ডিত হওয়ার দরকার নাই। এটা আমার সঙ্গে কথাবার্তা। আমাকে যে হেয়-প্রতিপন্ন করে প্রতিদিন, এটা থেকে আমাদের মুক্তি দেবে। আশা এটা সবাই গ্রহণ করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।
প্রতিবেদন তৈরির জন্য বিচারবিভাগ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সবাইকে আন্ততিক ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা স্মরণীয় পুস্তক। এটা থেকে যাবে। আমরা কি করলাম, না করলাম। ভবিষ্যত প্রজন্ম এটা নিয়ে আমাদের বিচার করবে। পেয়েছিলেন আপনারা করেন নাই কেন। এটা এমন নয় যে আপনারা জানতেন না বলেই করেন নাই।
তিনি বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য অবদান না। বিশ্বের জন্য অবদান। সব জাতিকে এটা ফেস করতে হয়। এটার ইংরেজি অনুবাদ করার পরামর্শ দেন। আপনারা যেহেতু এত কষ্ট করেছেন এই কষ্টের ফসলটা সারা পৃথিবীর প্রাপ্য। এটা জাতির সম্পদ হিসেবে, পৃথিবীর সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করলাম। এর আগে গত ৮ আগস্ট সরকার গঠন করার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠন করা হয়।
এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।

দেশের বিচারবিভাগ এবং জনপ্রশাসনে সংস্কার বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের নাগরিকগণ বহু বছর ধরে যে হেনস্থা এবং অপমানের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশন প্রধান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বে তার দল এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার দল।
বিচারবিভাগ সংস্কার এবং জনপ্রশাসন সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি কথা দিয়ে শুরু করলেন, (সারসংক্ষেপ) আমাদেরকে জানালেন এতে কত জনের মাথা নাড়ানো দেখলাম; তাতে বোঝা গেল কোন জায়গায় আপনারা হাত দিয়েছেন।
ড. ইউনূস বলেন, এই দুটি কমিশন সংস্কার হলে, এটা এমন জিনিস, বাংলাদেশের এমন কোনো নাগরিক নেই যে এটাতে টাচড (সম্পৃক্ত) হয়নি। অন্য কমিশনের অনেক বড় বড় জিনিস থাকে, কিন্তু সরাসরি টাচ (জড়িত) করে না, ইডাইরেক্টলি হয়। তবে এটা সরাসরি। আপনি দরিদ্র বা ধনী হতে পারেন, মাঝের লোক হতে পারেন এই দুটো থেকে মুক্তি নাই। এই দুটোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতেই হবে।
ন্যায় বিচার ও সেবা পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যে অভিজ্ঞতা, দেশের যে অভিজ্ঞতা, সেটা হলো হেনস্তার অভিজ্ঞতা। অপমান, অবমাননার অভিজ্ঞতা। আমরা নাগরিক হিসেবে যে আমাদের একটা দাবি আছে, অধিকার আছে, সেটা ভুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা। নতজানু হওয়ার অভিজ্ঞতা।
ড. ইউনূস বলেন, এখানে (সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন) যে আশার কথা শুনিয়েছেন, এই যে সংক্ষিপ্ত সার যেটা আমাদেরকে দিলেন, সেটাতেই এতো আশা জাগায়। হয়তো আমরা এটা থেকে মুক্ত হবো। আমরা সত্যিকারভাবে নাগরিক হিসেবে অধিকার ফিরে পাবো। আপনাদের এই রিপোর্টের মাধ্যমে সেই প্রত্যাশা পূরণ হোক।
তিনি বলেন, এই রিপোর্ট সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট হিসেবে জনগণের হাতে দিয়ে দেবো। রাজনৈতিক দলের হাতে দিয়ে দিবো। সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের কাছে দিয়ে দিবো। যাতে করে তারা একমত হতে পারে যে এগুলো করে যাওয়া ভালো। আমরা মনে করছি, আমরা মাথা নাড়ছি, আমাদের ভালো লাগছে। সবাই যেন এভাবে মাথা নাড়ে, এ ঠিক কথা বলেছেন, আমাদের প্রাণের কথা বলেছেন, কারণ আমি তো ভুক্তভোগী।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তো পন্ডিত হতে হবে না এ বিষয়ে। অন্য বিষয়ে পন্ডিত হতে হবে। যখন সংবিধান নিয়ে বসি তখন পন্ডিত হতে হবে। এটাতে পন্ডিত হওয়ার দরকার নাই। এটা আমার সঙ্গে কথাবার্তা। আমাকে যে হেয়-প্রতিপন্ন করে প্রতিদিন, এটা থেকে আমাদের মুক্তি দেবে। আশা এটা সবাই গ্রহণ করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।
প্রতিবেদন তৈরির জন্য বিচারবিভাগ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সবাইকে আন্ততিক ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা স্মরণীয় পুস্তক। এটা থেকে যাবে। আমরা কি করলাম, না করলাম। ভবিষ্যত প্রজন্ম এটা নিয়ে আমাদের বিচার করবে। পেয়েছিলেন আপনারা করেন নাই কেন। এটা এমন নয় যে আপনারা জানতেন না বলেই করেন নাই।
তিনি বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য অবদান না। বিশ্বের জন্য অবদান। সব জাতিকে এটা ফেস করতে হয়। এটার ইংরেজি অনুবাদ করার পরামর্শ দেন। আপনারা যেহেতু এত কষ্ট করেছেন এই কষ্টের ফসলটা সারা পৃথিবীর প্রাপ্য। এটা জাতির সম্পদ হিসেবে, পৃথিবীর সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করলাম। এর আগে গত ৮ আগস্ট সরকার গঠন করার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠন করা হয়।
এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
৩ ঘণ্টা আগে