জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও সশস্ত্র রক্ষী নিয়োগে একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে সরকার। সোমবার ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা–২০২৫’ শিরোনামে নীতিমালা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে হবে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থা) কর্তৃক যাচাইকৃত নিরাপত্তাঝুঁকি বিদ্যমান থাকতে হবে, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা থাকতে হবে এবং অস্ত্র সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই নীতিমালার অধীনে লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে এ–সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা অন্যান্য নীতিমালা ও বিধান প্রযোজ্য হবে। তবে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান–সংক্রান্ত অংশ শিথিলযোগ্য হবে।
এতে বলা হয়, এই নীতিমালার আওতায় অনুমোদিত লাইসেন্সের মেয়াদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তারিখ থেকে পরবর্তী ১৫ দিন হবে। ওই সময়ের পর এ লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য জারিকৃত নীতিমালার অন্যান্য শর্ত পূরণ হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবে; লাইসেন্সের মেয়াদ অতিক্রান্ত হলে বা লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও কোনো লাইসেন্সধারী এই লাইসেন্সের বিপরীতে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নিজ দখলে রাখলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীতিমালায় আচরণবিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, অস্ত্র বহনকালে সর্বদা লাইসেন্স এবং অনুমোদন সাথে রাখিতে হইবে; এই অস্ত্র ব্যবহার করিয়া কাউকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বা হয়রানি করা যাইবে না; নিরাপত্তা ব্যতীত অন্য কোন কাজে বা উদ্দেশ্যে এই লাইসেন্সের আওতাভুক্ত অস্ত্র ব্যবহার করা যাইবে না; এই লাইসেন্স এবং লাইসেন্সভুক্ত অস্ত্র হস্তান্তরযোগ্য হইবে না; প্রত্যেক লাইসেন্সধারীর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পালন বাধ্যতামূলক হইবে।
নীতিমালায় নির্বাচনকালীন বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে- এই নীতিমালা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আচরণবিধির পরিপূরক হইবে এবং কোনক্রমেই উক্ত আচরণবিধি/বিধিসমূহের ব্যত্যয়ে ব্যবহৃত হইবে না; নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আচরণ বিধি লঙ্ঘন স্বতন্ত্র অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।
অপব্যবহার বা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে বা সরকারের অন্য কোন বিধি বিধান-নিয়ম লঙ্ঘন করিলে লাইসেন্স ও রিটেইনার অনুমোদন কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ/অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত লাইসেন্স বা অনুমোদন তাৎক্ষণিক বাতিল করিতে পারিবে। তবে লাইসেন্স বা রিটেইনার নিয়োগ বাতিল/স্থগিতের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আপিল করা যাইবে।

