এনআইডিতে থাকা জন্মতারিখ সংশোধন হবে না

গাজী শাহনেওয়াজ
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০৩: ২৮

ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থাকা নাগরিকদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ‘জন্মতারিখ ও ব্ল্যাডগ্রুপ’। এগুলো সংশোধন করার সুযোগ না রাখার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এগুলো সংশোধন করা গেলে জালিয়াতি ও প্রতারণার ক্ষেত্র বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ইসি এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে এনআইডির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করবে কমিশন। ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এনআইডির কর্মকর্তারা জানান, বেশির ভাগ নাগরিক তথ্য গোপন রেখে তার সুবিধা হয়- এমন জন্মতারিখ দিয়ে এনআইডির সংশোধন চান। ভোটার হওয়ার কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ বছর পর আবেদনগুলো করা হয়। সেখানে এনআইডিতে থাকা জন্মতারিখ এবং চাহিত জন্মতারিখ দুটির তফাত থাকে ১০ থেকে ১২ বছরের; ক্ষেত্রমতে ১৫ বছর। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ করণিক ভুলের আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হলেও অনিষ্পন্ন থাকে জটিলগুলো।

বিজ্ঞাপন

আরেক কর্মকর্তা বলেন, নাগরিক সেবাসহ সবক্ষেত্রে এনআইডি বাধ্যতামূলক। তবে সরকারি চাকরির সার্কুলার জারিতে এটা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থজড়িত থাকায় এর প্রতি তাদের আগ্রহ কম। ফলে অনেকেই এনআইডিতে থাকা প্রকৃত বয়স গোপন করে সরকারি চাকরিতে ঢোকে। পরে নানা জটিলতায় আটকে গেলে এনআইডি সংশোধনের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এনআইডিতে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে চার লাখের বেশি আবেদন জমা আছে। এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ক্র্যাশ কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে ইসি। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সংশোধনের আবেদন শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আমার দেশকে বলেন, জন্মতারিখ ও ব্ল্যাডগ্রুপ—এ দুটি বিষয়ে এনআইডিতে সংশোধন করা হবে না। ২০১২ সালের পর থেকে ডাটাবেজে প্রত্যেক নাগরিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়সসংক্রান্ত ডকুমেন্ট আছে। আগামী দিনে আমরা দেখব, সংশ্লিষ্ট নাগরিক কবে ভোটার হয়েছিলেন।

এ সংক্রান্ত একটা গাইডলাইন প্রণয়ন করার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্যই এটা করা হচ্ছে। কোনো আবেদন অনিষ্পন্ন রাখা যাবে না। অনিষ্পন্ন রাখার অর্থই হচ্ছে লেনদেন।

বিষয়:

এনআইডি
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত