শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোটরসাইকেল চালক আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আদাবর থানা যুবলীগের কর্মী হিমন রহমান শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ডিএমপির ডিসি মিডিয়া মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এদিকে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. জুয়েল রানা গণমাধ্যমকে জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে আদাবর এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে হিমন অবস্থান করছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। তাকে আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিএমপি মিডিয়া সূত্র জানায়, হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফয়সাল ও আলমগীরের সঙ্গে হিমনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে তিনি দুবাই থেকে বাংলাদেশে ফেরেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে আদাবরের রাজ্জাক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আদাবরের ১৭/বি এলাকার মেহেদীর বাসা থেকে পিস্তল, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
হাদি হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর প্রচারণা শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডের পাকা রাস্তার ওপর শরিফ ওসমান হাদির পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা মোটরসাইকেলে থাকা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামি ওসমান হাদিকে চলন্ত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। আহত শরিফ ওসমান হাদিকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

