আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

হাদি হত্যা: ফয়সালকে আত্মগোপনে সহায়তাকারী আমিনুল রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার

হাদি হত্যা: ফয়সালকে আত্মগোপনে সহায়তাকারী আমিনুল রিমান্ডে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে সীমান্তে আত্মগোপনে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলাম রাজুর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদের আদালত রিমান্ডে নেয়ার এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ।

আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি রাজু ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে ফিলিপের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি আসামি ফয়সালকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপন করতে সহায়তা করেন। এছাড়া হত্যায় জড়িত আসামি ও আসামিদের আত্মগোপন সহায়তাকারীদের অর্থ প্রদানে সরাসরি সংযুক্ত রয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এর আগে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে মিরপুর-১১ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদি হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে হাদি মারা গেলে মামলাটিতে ৩০২ ধারা যুক্ত হয়। এ মামলার পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দেখানো আসামিরা হলেন- ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তার বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তার শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্টকার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম এবং আত্মগোপনে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলাম রাজু। এদের মধ্যে হুমায়ুন ও হাসি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছে। এছাড়া প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন