স্টাফ রিপোর্টার
ভারতে আমার দেশ-এর ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ শুরুর পর যেসব গণমাধ্যম যুদ্ধের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছিল, তার প্রায় সব চ্যানেল বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরাসহ ভারতজুড়ে আমার দেশ-এর ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না। আমার দেশ চ্যানেল কনটেন্টে ক্লিক করলে লেখা আসছে This content is currently unavailable in this country because of an order from the government related to national security or public order. For more details about government removal requests, please visit the Google Transparency Report. জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত এক আদেশ বলে এই কনটেন্টটি দেখানো যাচ্ছে না। এ ছাড়া ইউটিউবের পক্ষ থেকে ভারতে আমার দেশ-এর চ্যানেল বন্ধ রাখার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আমার দেশ ছাড়াও বাংলাদেশের আরো ছয়টি টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে বলে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ডিসমিস ল্যাব জানিয়েছে। এগুলো হলো যমুনা টেলিভিশন, বাংলা ভিশন, একাত্তর টেলিভিশন, সময় ও ডিবিসি নিউজ। এ ছাড়া ভারত সরকার নিজ দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ারের ওয়েবসাইট ব্লক করেছে। আমার দেশসহ বাংলাদেশের চ্যানেল বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, এর মাধ্যমে ভারত প্রতিবেশী সবার সঙ্গে যুদ্ধংদেহি মনোভাব দেখাচ্ছে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ভারত আশপাশের কোনো দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে না। বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। ভারত সরকার যেন এই অভ্যুত্থানতে স্বীকার করতে চাইছে না।
ভারতের মানুষ যাতে যুদ্ধের আসল খবর জানতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তানভিত্তিক খবরের প্রায় সব উৎস বন্ধ করেছে দিল্লি। ভারত সরকারের চাপে রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন ও আল-জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর এড়িয়ে যাচ্ছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো। ভারতের রাফালে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো যখন নিশ্চিত খবর প্রকাশ করে, তখন ‘গদি মিডিয়া’ এ ঘটনাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়।
পাকিস্তানের তথ্য যাতে ভারতীয়রা জানতে না পারে, সে জন্য ডন, জিও নিউজ, সামা টিভি, হাম টিভি, এআরওয়াইসহ একাধিক পাকিস্তানি টেলিভিশন ও ইউটিউব চ্যানেল ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীরের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করে দেওয়া হয়। হামিদ মীরের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকাকে জানান, ভারত সরকার আগে তার ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর তারা আমার এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। এর কারণ আমি তাদের কয়েকটি প্রোপাগান্ডামূলক খবর তুলে ধরেছিলাম।
ভারত সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০২১-এর অধীন ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাথিকসের আওতায় ওটিটি প্ল্যাটফরম ও ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্রচারের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা জারি করেছে। এর আওতায় পাকিস্তানি সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর আগে ইরশাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা এবং মুনিব ফারুকের মতো পাকিস্তানি সাংবাদিকদের ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার এবং বাসিত আলীর ইউটিউব চ্যানেল ভারত ব্লক করে দেয়।
পাকিস্তানের পর ভারত সরকার বাংলাদেশের গনমাধ্যমগুলোকে এখন টার্গেট করেছে। যাতে ভারতের মানুষ প্রকৃত তথ্য জানতে না পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, ভারতে বাংলাদেশের বেশকিছু টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
প্রেস সচিব জানিয়েছেন, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে। সেখানে কোনো দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই। জোরে কথা বলা, নাটক তৈরি করাই তাদের কাজ।
ভারতে আমার দেশ-এর ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ শুরুর পর যেসব গণমাধ্যম যুদ্ধের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছিল, তার প্রায় সব চ্যানেল বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরাসহ ভারতজুড়ে আমার দেশ-এর ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না। আমার দেশ চ্যানেল কনটেন্টে ক্লিক করলে লেখা আসছে This content is currently unavailable in this country because of an order from the government related to national security or public order. For more details about government removal requests, please visit the Google Transparency Report. জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত এক আদেশ বলে এই কনটেন্টটি দেখানো যাচ্ছে না। এ ছাড়া ইউটিউবের পক্ষ থেকে ভারতে আমার দেশ-এর চ্যানেল বন্ধ রাখার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আমার দেশ ছাড়াও বাংলাদেশের আরো ছয়টি টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে বলে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ডিসমিস ল্যাব জানিয়েছে। এগুলো হলো যমুনা টেলিভিশন, বাংলা ভিশন, একাত্তর টেলিভিশন, সময় ও ডিবিসি নিউজ। এ ছাড়া ভারত সরকার নিজ দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ারের ওয়েবসাইট ব্লক করেছে। আমার দেশসহ বাংলাদেশের চ্যানেল বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, এর মাধ্যমে ভারত প্রতিবেশী সবার সঙ্গে যুদ্ধংদেহি মনোভাব দেখাচ্ছে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ভারত আশপাশের কোনো দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে না। বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। ভারত সরকার যেন এই অভ্যুত্থানতে স্বীকার করতে চাইছে না।
ভারতের মানুষ যাতে যুদ্ধের আসল খবর জানতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তানভিত্তিক খবরের প্রায় সব উৎস বন্ধ করেছে দিল্লি। ভারত সরকারের চাপে রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন ও আল-জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর এড়িয়ে যাচ্ছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো। ভারতের রাফালে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো যখন নিশ্চিত খবর প্রকাশ করে, তখন ‘গদি মিডিয়া’ এ ঘটনাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়।
পাকিস্তানের তথ্য যাতে ভারতীয়রা জানতে না পারে, সে জন্য ডন, জিও নিউজ, সামা টিভি, হাম টিভি, এআরওয়াইসহ একাধিক পাকিস্তানি টেলিভিশন ও ইউটিউব চ্যানেল ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীরের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করে দেওয়া হয়। হামিদ মীরের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকাকে জানান, ভারত সরকার আগে তার ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর তারা আমার এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। এর কারণ আমি তাদের কয়েকটি প্রোপাগান্ডামূলক খবর তুলে ধরেছিলাম।
ভারত সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০২১-এর অধীন ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাথিকসের আওতায় ওটিটি প্ল্যাটফরম ও ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্রচারের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা জারি করেছে। এর আওতায় পাকিস্তানি সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর আগে ইরশাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা এবং মুনিব ফারুকের মতো পাকিস্তানি সাংবাদিকদের ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার এবং বাসিত আলীর ইউটিউব চ্যানেল ভারত ব্লক করে দেয়।
পাকিস্তানের পর ভারত সরকার বাংলাদেশের গনমাধ্যমগুলোকে এখন টার্গেট করেছে। যাতে ভারতের মানুষ প্রকৃত তথ্য জানতে না পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, ভারতে বাংলাদেশের বেশকিছু টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
প্রেস সচিব জানিয়েছেন, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে। সেখানে কোনো দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই। জোরে কথা বলা, নাটক তৈরি করাই তাদের কাজ।
অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক আইন প্রণয়ন ও নীতিগত পদক্ষেপগুলো জনসাধারণের মৌলিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি করে মানবাধিকার সংস্থাটি।
৬ মিনিট আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্য পরিচয়ে একদল ব্যক্তি আমার দেশ-এর সাংবাদিক ইমদাদ হোসাইনকে অপহরণের চেষ্টা করে। পরে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগেব্রিটেনের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের লন্ডনের দুটি সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ পেয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনাহিদ বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারের তো পদত্যাগের একটা খবর আমরা শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। স্যার বলেছেন, যে পরিস্থিতি, যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে, আমি তো এভাবে কাজ করতে পারবে না।
৪ ঘণ্টা আগে