প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাজনৈতিক ঐকমত্য

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭: ২৭
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৩৩

আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে কোন দল যদি জ্যেষ্ঠতম দুজন হতে একজনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়, এবং ওইদল বিজয়ী হলে তা করতে পারবে। বিধানটি যুক্ত করার বিষয়েও একমত দলগুলো।

বিজ্ঞাপন

রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২ তম দিনের সংলাপের দুপুরের বিরতির পরে আলোচনা শুরু হলে দলগুলো একমত হন।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্যে থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবে।

রোববার সকালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয় আলোচনা শেষে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে দলগুলোর মধ্যে কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারককে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি দল প্রস্তাব করে। বিএনপিসহ অনেকগুলো দল দুজন হতে একজনকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব করে। দুপুরের বিরতির আগে ঐকমত্য ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

দুপুরের বিরতির পরে আবারও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয় আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারক পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হবেন। তবে কোন দল যদি তাদের নির্বাচনের ইশতেহারের কর্মে দুজন হতে একজন নিয়োগ করবেন, তারা বিজয়ী হলে সেটা করতে পারবেন।

এতে একমত প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, জ্যেষ্ঠতম বিচারককে আপনি পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন, সেটা আমরা মানি৷ তবে আমরা নোট অব ডিসেন্ট দেব, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার যা রাখা হবে, সেটা হলে কর্ম জ্যেষ্ঠতম দুইজন হতে একজনকে প্রধান বিচারপতি করা হবে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, আমাদের দলীয় অবস্থান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারকই হবেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। এরপর কেউ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার দুইজন হতে একজনকে রাখার কথা বলে। সেক্ষেত্রে জনগণ সুপারসিড চাইলে আমরা মানব।

পরে কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ঐকমত্যের ঘোষণা করা হয়। তাতে বলা হয় আপীল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠ বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের অভিযোগের কারণে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে কোনো তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান না থাকিলে, রাষ্ট্রপতি, তাঁহাকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করিবেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত