এনআইডির তথ্য যাচাই
গাজী শাহনেওয়াজ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নাগরিকের তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে শর্ত লঙ্ঘন করায় ২৪ প্রতিষ্ঠানের সেবা লিংক-সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের গ্রাহকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য যাচাই-সংক্রান্ত কোনো সেবা দিতে পারেনি। বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আটটি সরকারি এবং বাকি ১৬টি বেসরকারি। এ ছাড়া শর্ত প্রতিপালনে বিলম্বের কারণে চারটি প্রতিষ্ঠান নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নে সময় চেয়ে ইসিকে চিঠি দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে— উপায়, সেবা প্ল্যাটফর্ম, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও ল্যানক্যান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, চুক্তি বাতিল হওয়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছেÑবাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), ডিপার্টমেন্ট অব ইন্সপেকশন ফর ফ্যাক্টরিস অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্ট (ডিআইএফই), জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইজ), সেনাকল্যাণ সংস্থা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
সূত্র জানায়, গত ৩ মাসে এনআইডি সার্ভারে কোনো তথ্য যাচাই করেনি তালিকার প্রথম ৩ থেকে ৮ পর্যন্ত ক্রমিকে থাকা ৬টি প্রতিষ্ঠান। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—আইপিডিসি অব বাংলাদেশ, ফনোনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ক্যাম্প ভেনচার ক্যাপিটাল অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ল্যানক্যান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডিমানি, ইউসিবি ফিনটেক, সেবা প্ল্যাটফর্ম, এবিজি ডেটাফিকেশন, রিলিফ ভেলিডেশন ও ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস। তবে শেষ দুটি লিংক আগে থেকেই বন্ধ ছিল।
জানতে চাইলে এনআইডি উইংয়ের ডিজি ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব এএসএম হুমায়ুন কবীর আমার দেশকে বলেন, ‘এনআইডিতে থাকা নাগরিকের তথ্যসেবা যাচাইয়ের জন্য কমিশনের সঙ্গে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি আছে। আমরা সব প্রতিষ্ঠানকে বলেছিলাম, গত ৩০ জুনের মধ্যে ম্যাচ-নো ম্যাচ (ইয়েস অর নো) এই পদ্ধতি অ্যাল্পাই করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখলাম ২৪টি প্রতিষ্ঠান শর্ত লঙ্ঘন করে। এ কারণে তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করেছি। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে আমাদের লিখিত দেয়; তাদের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।’
ছয় মাসে ৮ লাখ ২০ হাজার সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি
এদিকে, গত ছয় মাসে ৮ লাখ ২০ হাজারের মতো এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করেছে নির্বাচন কমিশন। বাকি কম-বেশি ৯০ হাজার অনিষ্পন্ন আবেদন চলতি জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। নাগরিক ভোগান্তি কমাতে ইসির নেওয়া ক্র্যাশ কর্মসূচিতে এই যুগান্তকারী সাফল্য পেয়েছে ইসি। অনেক জেলায় আবেদন শূন্যের কোঠায়, কোনো জেলায় দুটি, কোনো জেলায় ৩টি, আবার কোনো জেলায় চারটি। তবে কয়েকটি জেলায় শতাধিক আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। খবর : এনআইডির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রের
স্পর্শকাতর কিংবা সংশোধনের অযোগ্য—এমন জটিল আবেদন ছাড়া ৯ লাখ ১১ হাজার আবেদনের মধ্যে গত ছয় মাসে ৮ লাখ ২০ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করেছে কমিশন। ক্র্যাশ কর্মসূচির মাধ্যমে এতগুলো আবেদন নিষ্পত্তি করল ইসি। এর ফলে পাঁচ জেলায় আবেদন শূন্যের কোঠায় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—মাগুরা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম।
এছাড়া ১০টির নিচে অনিষ্পন্ন আবেদনের জেলাগুলোর মধ্যে দুটি করে আবেদন রয়েছে কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও লক্ষ্মীপুরে। আর তিনটি করে অনিষ্পন্ন আবেদনের জেলা হচ্ছে জামালপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও চাঁদপুর। চারটি অনিষ্পন্ন আবেদন রয়েছে একটি। সেটি হলো কক্সবাজার জেলা। বাকি প্রায় অনিষ্পন্ন এক লাখ আবেদনের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ তিন হাজারের ওপরে এবং দুই হাজারের ওপরে নোয়াখালীতে। আজ বুধবার এ-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন সচিব ও এনআইডির ডিজি সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফিং করবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নাগরিকের তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে শর্ত লঙ্ঘন করায় ২৪ প্রতিষ্ঠানের সেবা লিংক-সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের গ্রাহকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য যাচাই-সংক্রান্ত কোনো সেবা দিতে পারেনি। বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আটটি সরকারি এবং বাকি ১৬টি বেসরকারি। এ ছাড়া শর্ত প্রতিপালনে বিলম্বের কারণে চারটি প্রতিষ্ঠান নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নে সময় চেয়ে ইসিকে চিঠি দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে— উপায়, সেবা প্ল্যাটফর্ম, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও ল্যানক্যান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, চুক্তি বাতিল হওয়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছেÑবাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), ডিপার্টমেন্ট অব ইন্সপেকশন ফর ফ্যাক্টরিস অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্ট (ডিআইএফই), জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইজ), সেনাকল্যাণ সংস্থা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
সূত্র জানায়, গত ৩ মাসে এনআইডি সার্ভারে কোনো তথ্য যাচাই করেনি তালিকার প্রথম ৩ থেকে ৮ পর্যন্ত ক্রমিকে থাকা ৬টি প্রতিষ্ঠান। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—আইপিডিসি অব বাংলাদেশ, ফনোনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ক্যাম্প ভেনচার ক্যাপিটাল অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ল্যানক্যান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডিমানি, ইউসিবি ফিনটেক, সেবা প্ল্যাটফর্ম, এবিজি ডেটাফিকেশন, রিলিফ ভেলিডেশন ও ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস। তবে শেষ দুটি লিংক আগে থেকেই বন্ধ ছিল।
জানতে চাইলে এনআইডি উইংয়ের ডিজি ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব এএসএম হুমায়ুন কবীর আমার দেশকে বলেন, ‘এনআইডিতে থাকা নাগরিকের তথ্যসেবা যাচাইয়ের জন্য কমিশনের সঙ্গে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি আছে। আমরা সব প্রতিষ্ঠানকে বলেছিলাম, গত ৩০ জুনের মধ্যে ম্যাচ-নো ম্যাচ (ইয়েস অর নো) এই পদ্ধতি অ্যাল্পাই করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখলাম ২৪টি প্রতিষ্ঠান শর্ত লঙ্ঘন করে। এ কারণে তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করেছি। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে আমাদের লিখিত দেয়; তাদের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।’
ছয় মাসে ৮ লাখ ২০ হাজার সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি
এদিকে, গত ছয় মাসে ৮ লাখ ২০ হাজারের মতো এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করেছে নির্বাচন কমিশন। বাকি কম-বেশি ৯০ হাজার অনিষ্পন্ন আবেদন চলতি জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। নাগরিক ভোগান্তি কমাতে ইসির নেওয়া ক্র্যাশ কর্মসূচিতে এই যুগান্তকারী সাফল্য পেয়েছে ইসি। অনেক জেলায় আবেদন শূন্যের কোঠায়, কোনো জেলায় দুটি, কোনো জেলায় ৩টি, আবার কোনো জেলায় চারটি। তবে কয়েকটি জেলায় শতাধিক আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। খবর : এনআইডির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রের
স্পর্শকাতর কিংবা সংশোধনের অযোগ্য—এমন জটিল আবেদন ছাড়া ৯ লাখ ১১ হাজার আবেদনের মধ্যে গত ছয় মাসে ৮ লাখ ২০ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করেছে কমিশন। ক্র্যাশ কর্মসূচির মাধ্যমে এতগুলো আবেদন নিষ্পত্তি করল ইসি। এর ফলে পাঁচ জেলায় আবেদন শূন্যের কোঠায় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—মাগুরা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম।
এছাড়া ১০টির নিচে অনিষ্পন্ন আবেদনের জেলাগুলোর মধ্যে দুটি করে আবেদন রয়েছে কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও লক্ষ্মীপুরে। আর তিনটি করে অনিষ্পন্ন আবেদনের জেলা হচ্ছে জামালপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও চাঁদপুর। চারটি অনিষ্পন্ন আবেদন রয়েছে একটি। সেটি হলো কক্সবাজার জেলা। বাকি প্রায় অনিষ্পন্ন এক লাখ আবেদনের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ তিন হাজারের ওপরে এবং দুই হাজারের ওপরে নোয়াখালীতে। আজ বুধবার এ-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন সচিব ও এনআইডির ডিজি সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফিং করবেন।
ভোটের দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। আপনাদের যে কাজের দায়িত্ব পড়ুক না কেন, সেটা আইনসম্মত, নিউট্রালি, প্রফেশনালি করবেন।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার বিকেল ৫টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যম পোর্টালে এখনো জুয়া ও অনিরাপদ কনটেন্টের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেমসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ে কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাটাবন সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ কর্মশালা সভাপতিত্ব করেন মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন।
১০ ঘণ্টা আগে