মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে নির্ধারিত সময়ের আগেই জনতার ঢল নেমেছে। আজ বিকাল ৩টার দিকে অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই অনুষ্ঠানস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এ ছাড়াও চারদিক থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা অংশ নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন সরকারের উপদেষ্টা, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সচিব, ও শিল্প-সাহিত্য-শিক্ষা অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। সোমবার যাত্রাবাড়ীর জামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসায় এই বিশেষ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ খুবাইবের ভাই মুফতি সোহাইল ও শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা ডা. আব্দুর রহমান মিয়া অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “জুলাইয়ের সেই রক্তাক্ত স্মৃতি শুধুই স্মরণ নয়, এ আয়োজন একটি পুনর্জাগরণের বার্তা নিয়ে এসেছে। যাত্রাবাড়ী চব্বিশের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ী ছিল প্রতিরোধের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি।
মাদরাসার ছাত্র ও আলেম সমাজের সাহসী ভূমিকা সেই সময় ইতিহাসে অনন্য হয়ে আছে। এই বীরত্বগাঁথা স্মরণে এবার প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজন করা হয়েছে ‘মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’।
আজ দুপুর ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে নানা আয়োজন। থাকছে শহীদ পরিবারের স্মৃতিচারণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের বক্তব্য, এবং ২০১৩, ২০২১ ও ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের প্রামাণ্য উপস্থাপনা।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় রয়েছে হামদ, নাত, নাশিদ, কবিতা আবৃত্তি, প্রতিবাদী গান এবং তথ্যচিত্র ‘ছত্রিশে জুলাই’ ও ‘সাদা জোব্বা, লাল রক্ত’ প্রদর্শন।
সবশেষে থাকছে প্রতিরোধ ও পুনর্জাগরণের প্রতীকী উপস্থাপনা— ড্রোন শো।
সরকার এই প্রথমবারের মতো মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বীরত্বপূর্ণ অবদানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিচ্ছে।
আয়োজকর বলেন, যাত্রাবাড়ির এই এলাকা ছিল প্রতিরোধের কেন্দ্র— আমরা চাই নতুন প্রজন্ম সেই গৌরবের ইতিহাস জানুক ও ধারণ করুক।
অনুষ্ঠানে বিপুল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জুলাই সহযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত রয়েছেন।

