ফজলে লোহানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় ড. মাহবুব উল্লাহ

ভারত ভাগ হয়নি, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত দুই স্বাধীন দেশ জন্মেছিল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৫৫
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০১: ৩০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ১৯৬৯ গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নেতা অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেছেন, ভারত ভাগ হয়নি— ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত ২ স্বাধীন দেশ জন্মেছিল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কর্মীদলের আয়োজনে ফজলে লোহানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোহাম্মদ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- মোয়াজম হোসেন খান মজলিশ, জিয়া সংসদের সভাপতি সৈয়দ নাজমুল হাসান, মুসলিম উদ্দিন খান মজলিশ প্রমুখ।

ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, মধুর ক্যান্টিন ভবনটি নবাবদের বাগান বাড়ির পানশালা, ১৯০৫ সালে অল ইন্ডয়া মুসলিম এডুকেশন কনফারেন্সে মুসলিম লীগ গঠনের সিদ্ধান্ত হয় এখানে।

১৯৭৩ সালে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী প্রার্থী হিসেবে ফজলে লোহানীর ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের কথা স্মরণ করে ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ওই সময় ধানের শীষ প্রতীকটি নির্বাচন করেছিলাম আমি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধিপত্যবাদবিরোধী মার্কা হিসেবে সেই ধানের শীষ প্রতীকটি গ্রহণ করেন। আজও ধানের শীষ প্রতীকটি আধিপত্যবাদবিরোধী একটি মার্কা। কতদিন সেটি আধিপত্যবাদবিরোধী ভূমিকা রাখবে তা আমি এখন বলতে পারছি না।

প্রয়াত জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ফজলে লোহানীর কথা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ফজলে লোহানি একটি মাসিক পত্রিকা বের করে আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে গেছেন। এ সময় তিনি আক্ষেপ করেন আজ শিক্ষা সংস্কৃতি ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে লালন করার মতো আমাদের কোনো ম্যাগাজিন কিংবা প্রকাশনা নেই। না আছে মাসিক না আছে পাক্ষিক না আসে ত্রৈমাসিক না আছে সন্মাসিক।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ জাতি টিকবে কিভাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৯ সালের নেতা হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস বলেন, ডক্টর মাহবুব উল্লাহ সেদিন ইতিহাসের এক ভূমিকা পালন করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি বলেছেন রাউন্ড টেবিল নয় রাজপথে সমাধান হবে। সেদিন ১০ লাখ মানুষ ড. মাহবুব উল্লাহকে হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছিল। এই স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টিতে তিনিও একজন মহানায়ক।

তিনি বলেন, এখানে যদি জাতির জনক স্বীকার করতে হয় তাহলে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, শেরে-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামও আসবে।

অনুষ্ঠান শেষে প্রয়াত উপস্থাপক, রাজনীতিবিদ ফজলে লোহানীর উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রামাণ্যচিত্রটি এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত