বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে না বলে জানিয়ে রেলপথ সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন, পরোক্ষভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে, আমরা অপেক্ষা করছি। আশা করছি, তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিআইপি ওয়েটিং রুমে সংশ্লিষ্ট নেতাদের এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ফাহিমুল ইসলাম বলেন, আমাদের আলোচনার দ্বার খোলা আছে। তারা এলে তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে যেকোনো সময় ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থ বিভাগের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এরকম একটা মুহূর্তে তারা কিছু বলতে পারছে না। এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। উপদেষ্টা বলেছেন— আলোচনা করবেন, আমরা অর্থ বিভাগে যাব।
আন্দোলনের কারণে রানিং স্টাফদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে রেল সচিব বলেন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আমরা বলেছি, আলোচনার দ্বার খুলে রেখেছি। সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী করবে— সেটা বলতে পারি না। তারা আলোচনায় না আসলে ব্যাপারটা তো আমাদের হাতে থাকবে না। সবসময় সব ব্যাপার কিন্তু রেল মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে রানিং স্টাফদের দাবি যৌক্তিক মনে করে আলোচনা করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা চার বছর ধরে আন্দোলন করছে। আমরা একটা অর্জন নিয়ে এসেছি যৌক্তিক মনে করেই।
এর আগে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য রানিং স্টাফদের নিয়ে বৈঠকে করেন রেলপথ সচিব ফাহিমুল ইসলাম। এতে রেলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নাজমুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রেল শ্রমিক দলের পক্ষে ইমরুল কায়েস পলাশ, রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুস রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কোনো সুরাহা না হওয়ায় কোচিং স্টাফরা বেরিয়ে যান।
রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুস রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ রেল সচিব ও মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি বলে বৈঠক চলাকালীন আমি বেরিয়ে এসেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে অনড় আছি।

