শাহজালাল বিমানবন্দর

বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, কিছু পায়নি বোমা নিষ্ক্রিয় দল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ২৯
ছবি: সংগৃহীত

ইতালির রোম থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয় বুধবার সকালে। তবে হুমকি পাওয়া ফ্লাইটটিতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা বা বোমাজাতীয় কোনো বস্তুর উপস্থিতি পায়নি বোমা নিষ্ক্রিয় দল। পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন।

জানা যায়, বিজি-০৫৬ ফ্লাইট বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এর আগে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে ওই ফ্লাইটে বোমা রয়েছে বলে তথ্য দেওয়া হয়। ফ্লাইটটিতে যাত্রী ছিলেন ২৫০ জন। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের নির্দেশ দেয়। এর ফলে বিমানবন্দরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্লেনে ঢোকে। তারা ১২টা পর্যন্ত তল্লাশি চালায়। তবে তল্লাশিতে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। তবে ওই সময় বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা স্বাভাবিক ছিল।

ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নিক্সন আমার দেশকে জানান, আমরা সবাই ভালো আছি। কারো কোনো সমস্যা হয়নি।

এদিকে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে যাত্রীরা লাগেজ পাওয়ার পর বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ওই ফ্লাইটের যাত্রী মিজান আমার দেশকে জানান, আমরা অবতরণের পর জানতে পারি, বিমানে বোমা রয়েছে, ব্যাগ রেখে নেমে যেতে হবে। নামার পাঁচ ঘণ্টা পর লাগেজ পেলাম। ছয় ঘণ্টা ফ্লাই করে এসে এরপর আরো পাঁচ ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকতে খুব কষ্ট হয়েছে। তাহমিনা নামে অপর এক যাত্রী বলেন, অবরুদ্ধ অবস্থার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছি। আমার ছোট বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারিনি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর চৌধুরী বলেন, বিস্ফোরক থাকার তথ্য প্রথম আসে এপিবিএনের কাছে। সেখান থেকে অপারেশন কন্ট্রোল রুমে জানানো হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করি। দীর্ঘ তল্লাশির পরও কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, এপিবিএনের কন্ট্রোল রুমে পাকিস্তানি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে এ মেসেজ দেওয়া হয়। এ ধরনের তথ্য দিয়ে আমাদের একদিকে ব্যস্ত রেখে, অন্যদিকে কেউ যেন কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সে কারণে বিমানবন্দর জুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি ছিল। এ সময় ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সবই সচল ছিল। ফ্লাইটের ওঠানামাও স্বাভাবিক ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত থাকবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত