
মোহাম্মদ আব্দুর রহমান

বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতি দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সর্বশেষ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও এর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই পর্যায়েই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করে। তবে ছাত্ররাজনীতি কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক ও উপকারী হয়। ছাত্ররাজনীতি হতে পারে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা ও নৈতিক ভিত্তি। এটি যদি আদর্শিক ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালিত হয়, তবে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের জীবনে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা রাখতে পারে। ছাত্ররাজনীতিকে অবশ্যই শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ছাত্ররাজনীতির আদর্শগত ভিত্তি হতে হবে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণের প্রতি নিবেদিত। এক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক এবং নৈতিক উন্নয়ন। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তৈরি করতে পারে।
ছাত্ররাজনীতি কীভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হলো—
১. শিক্ষার মানোন্নয়ন : ছাত্ররাজনীতি হতে পারে শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে পারে এবং সমাধানের জন্য আলোচনা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রনেতারা তাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন।
২. অধিকার রক্ষা : শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে, যেমন পরীক্ষা-সংক্রান্ত সমস্যা, শিক্ষকের অযাচিত আচরণ বা প্রশাসনিক অবহেলা। ছাত্রনেতারা এসব সমস্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করতে পারেন।
৩. সামাজিক উন্নয়ন : ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ যেমন দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য-সচেতনতা বৃদ্ধি বা পরিবেশ সংরক্ষণে ছাত্ররাজনীতি ভূমিকা রাখতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
৪. নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা : ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা প্রদানের একটি মাধ্যম হতে পারে। রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি থাকা উচিত ছাত্ররাজনীতির প্রধান লক্ষ্য। এটি শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, যা তাদের ভবিষ্যতে সৎ এবং দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
৫. সংঘাতমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ ছাত্ররাজনীতি : ছাত্ররাজনীতিকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ এবং সংঘাতমুক্ত হতে হবে। অতীতে আমরা দেখেছি যে ছাত্ররাজনীতি প্রায়ই সংঘাত এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িয়ে যায়, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে ছাত্ররাজনীতিকে সহায়তা করতে হবে।
৬. গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা : গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার্থীরা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, যা তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা এবং শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করবে। এছাড়া ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে তুলতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল এবং দক্ষ নেতা হতে সহায়তা করবে।
৭. ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তোলা : বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনের সুযোগ দেয়। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের দক্ষতা, দলবদ্ধ কাজ করার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
ছাত্ররাজনীতি যদি আদর্শিক ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালিত হয়, তবে এটি শিক্ষার্থীদের জীবনে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা রাখতে পারে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও নৈতিক ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
তাই ছাত্ররাজনীতি সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এটি করতে হলে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। শুধু রাজনীতি নয়, ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আদর্শিক ও সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যম হওয়া উচিত। এভাবেই ছাত্ররাজনীতি একটি ইতিবাচক ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে সহায়ক হতে পারে।
লেখক : শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ২০২১-২২ সেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতি দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সর্বশেষ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও এর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই পর্যায়েই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করে। তবে ছাত্ররাজনীতি কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক ও উপকারী হয়। ছাত্ররাজনীতি হতে পারে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা ও নৈতিক ভিত্তি। এটি যদি আদর্শিক ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালিত হয়, তবে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের জীবনে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা রাখতে পারে। ছাত্ররাজনীতিকে অবশ্যই শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ছাত্ররাজনীতির আদর্শগত ভিত্তি হতে হবে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণের প্রতি নিবেদিত। এক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক এবং নৈতিক উন্নয়ন। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তৈরি করতে পারে।
ছাত্ররাজনীতি কীভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হলো—
১. শিক্ষার মানোন্নয়ন : ছাত্ররাজনীতি হতে পারে শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে পারে এবং সমাধানের জন্য আলোচনা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রনেতারা তাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন।
২. অধিকার রক্ষা : শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে, যেমন পরীক্ষা-সংক্রান্ত সমস্যা, শিক্ষকের অযাচিত আচরণ বা প্রশাসনিক অবহেলা। ছাত্রনেতারা এসব সমস্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করতে পারেন।
৩. সামাজিক উন্নয়ন : ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ যেমন দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য-সচেতনতা বৃদ্ধি বা পরিবেশ সংরক্ষণে ছাত্ররাজনীতি ভূমিকা রাখতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
৪. নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা : ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা প্রদানের একটি মাধ্যম হতে পারে। রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি থাকা উচিত ছাত্ররাজনীতির প্রধান লক্ষ্য। এটি শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, যা তাদের ভবিষ্যতে সৎ এবং দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
৫. সংঘাতমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ ছাত্ররাজনীতি : ছাত্ররাজনীতিকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ এবং সংঘাতমুক্ত হতে হবে। অতীতে আমরা দেখেছি যে ছাত্ররাজনীতি প্রায়ই সংঘাত এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িয়ে যায়, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে ছাত্ররাজনীতিকে সহায়তা করতে হবে।
৬. গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা : গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার্থীরা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, যা তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা এবং শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করবে। এছাড়া ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে তুলতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল এবং দক্ষ নেতা হতে সহায়তা করবে।
৭. ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তোলা : বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনের সুযোগ দেয়। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের দক্ষতা, দলবদ্ধ কাজ করার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
ছাত্ররাজনীতি যদি আদর্শিক ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালিত হয়, তবে এটি শিক্ষার্থীদের জীবনে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা রাখতে পারে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও নৈতিক ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
তাই ছাত্ররাজনীতি সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এটি করতে হলে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। শুধু রাজনীতি নয়, ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আদর্শিক ও সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যম হওয়া উচিত। এভাবেই ছাত্ররাজনীতি একটি ইতিবাচক ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে সহায়ক হতে পারে।
লেখক : শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ২০২১-২২ সেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সমাধান একটাই, রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার বদলাতে হবে। তাই বিদেশি সহায়তার অপেক্ষা না করে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তিস্তা নদী ঘিরে পানির অভাব ও ভাঙনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে, পাশাপাশি নদীর অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক গুরুত্ব পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা
১ দিন আগে
রাজনীতি সবসময়ই ক্ষমতার চারপাশে ঘোরে, ক্ষমতাকে ঘিরে আবর্তিত হয়। অন্যদিকে, গণতন্ত্রের ধারণাটি তৈরি হয়েছিল ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ এবং এর আইনি ও নৈতিক প্রয়োগকে সক্ষম করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হলো নাগরিক এবং তাদের নেতারা কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে গঠনমূলক এবং নীতিগতভাবে
১ দিন আগে
২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচন জনগণের কাছে এক ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তনকারী অনুঘটক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে সংঘটিত ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান যেমন ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে, ২০২৬ সালের নির্বাচন তেমনি বাংলাদেশকে একটি নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় প্রবেশ করাবে বলে জনগণ প্রত্যাশা করে
১ দিন আগে
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন এম চৌধুরীর দুই পর্বের সাক্ষাৎকার আমার দেশ-এ প্রকাশিত হয়েছে। এই সাক্ষাৎকার পড়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন জিয়া হত্যায় ভারত ও শেখ হাসিনা জড়িত থাকার কথা
১ দিন আগে