নিপীড়ক রাষ্ট্র ও ঘাতক সন্তান

মিনার রশীদ
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ০২

মানবসমাজের সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান পরিবার, আর সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র। পরিবার মানুষকে ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ শেখায়; আর রাষ্ট্র শেখায় শৃঙ্খলা, ন্যায়বিচার ও সম্মিলিত জীবনযাপনের রীতি। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর শৃঙ্খলা, ন্যায়বোধ ও মানবিক মর্যাদার উচ্চ মান দেখে প্রায়ই বিস্মিত হতাম। সেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত—রাষ্ট্র যেন সত্যিকার অর্থেই তার জনগণের অভিভাবক।

আমাদের সমাজে পারিবারিক বন্ধন গভীর হলেও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার সেই দৃঢ়তা ও দায়িত্ববোধ অনেক সময় অনুপস্থিত। মনে প্রশ্ন জাগে—যদি পরিবারে যেমন ভালোবাসা ও আত্মত্যাগ থাকে, রাষ্ট্রেও তেমন ন্যায়, স্বচ্ছতা ও নাগরিকের প্রতি মমতা থাকত, তাহলে সমাজ কতটা সুন্দর হতে পারত! ভাবি, যদি পশ্চিমের রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা এবং আমাদের পারিবারিক মমতার এক মেলবন্ধন ঘটত, তবে হয়তো এই পৃথিবীতেই আমরা এক স্বর্গীয় জীবনের স্বাদ পেতাম—যেখানে রাষ্ট্র হবে অভিভাবক, আর পরিবার হবে তার প্রাণ।

বিজ্ঞাপন

কোনো একটা বিশেষ দলকে ক্ষমতায় দেখার জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রটিকে এমন একটি অবস্থায় দেখার জন্যই এই লেখনী চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু চারপাশের পরিস্থিতি দেখে আশ্বস্ত হতে পারছি না। আগে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি আমাদের জন্যে ইনট্যাক্ট ছিল। আজ দুটোই যেন আরো দুরবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

আধুনিক রাষ্ট্রের ধারণাটি আমরা ব্রিটিশদের কাছ থেকেই পাই। তারাই আমাদের একটা রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছিল! যদিওবা সেটা ছিল একটা কলোনিয়াল রাষ্ট্র ব্যবস্থা! তারপরেও সে অবস্থাতেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর গোড়াপত্তন হয়।

কলোনিয়াল মাস্টারদের হাতে গড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় প্রত্যেকটি এখনো নিপীড়ক হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নিপীড়ক হলো পুলিশ। যে ব্রিটিশদের হাতে আমাদের পুলিশের জন্ম, সেই ব্রিটিশ তাদের নিজেদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় পুলিশকে এখন পুরাপুরি বদলে ফেলেছে। তাদের পুলিশ সম্পর্কে একটি মজাদার গল্প প্রচলিত রয়েছে! এক ব্রিটিশ তরুণ রাস্তায় টহলরত এক পুলিশের কাছ থেকে একটা কলম চান। পুলিশটি চাহিবামাত্রই তা এগিয়ে দেন। তারপর একটি কাগজ চান। পুলিশটি সেটিও দেন। যুবকটি এরপর আশেপাশে তাকিয়ে বলে, ‘দেখো কোথাও টেবিল বা বেঞ্চির মতো কিছু দেখছি না। দয়া করে তোমার পিঠটি একটু এগিয়ে ধরো।’ পুলিশটি অনুগত সার্ভেন্টের মতো তাই করলেন। শুধু একটা অনুরোধ করলেন—‘দয়া করে এই চিঠিটি আবার আমার অষ্টাদশী কন্যার কাছে লিখো না!

সেই তুলনায় আমাদের পুলিশ বিশেষ করে গত ১৬-১৭ বছরের গোপালিশ এমন কোনো ইতরামো বাকি নেই, যা এদেশের জনগণের সঙ্গে করেনি! রাষ্ট্রের নিপীড়ক চরিত্রকে আমরা সংশোধন করতে পারিনি। বরং আমাদের বড় সম্পদ হিসেবে গণ্য পারিবারিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যর্থ হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এই সপ্তাহে আমার নিজের এলাকা ত্রিশালে একটি ভয়াবহ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে! রাজু নামের এক ছেলে তার নিজের বাবা-মাকে খুন করে বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দিয়ে রাখে! গত বুধবার (৮ অক্টোবর, ২০২৫) দিনের বেলায় সে প্রথমে তার মাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর রাত দেড়টা থেকে দুটার মধ্যে সে বাবাকে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর দুটি মরদেহই বসতঘরের মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে রাখে। মাদকাসক্ত ও বখাটে রাজু অনলাইন জুয়া খেলার জন্যে ইতোমধ্যে বাবার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে এবং আরো টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল।

সামাজিক অপরাধের নমুনা ও মাত্রা একটা ভয়াবহ দিকে মোড় নিচ্ছে! সবচেয়ে দুশ্চিন্তার কথা হলো, এই সব অপরাধ ও অপরাধীদের দিকে সমাজের আচরণ ও মনোভাবও বদলে গেছে। আমরাও কেমন যেন একটু সহনশীল হয়ে পড়ছি। আমাদের চোখ, কান, মন—সবকিছুই যেন এসব অ্যাডজাস্ট করে নিচ্ছে।

২০১৩ সালের আগস্ট মাসে রাজধানীর চামেলীবাগে নিজের বাসায় খুন হন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান। দুজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তদন্তে দ্রুতই বেরিয়ে আসে—ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন তাদেরই একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান, যিনি তখন ও’ লেভেলপড়ুয়া ছাত্রী।

তখন মনে হয়েছিল, নিপীড়ক গোপালিশকে সংযত করার জন্য ঊর্ধ্বতন জগৎ থেকে একটা সংকেত পাঠানো হয়েছিল! এই সংকেতগুলো আমরা ধরতে পারি না! সমস্ত পুলিশের পাপের কাফ্ফারা যেন এই দুই হতভাগা দম্পতি আদায় করছে। নিজ হাতে গলায় ছুরি দেওয়ার আগে জন্মদাতা বাবা ও জন্মদাত্রী মাকে ঘুমের ওষুধমিশ্রিত কফি খাইয়ে নেয়! গলায় ছুরি টানার সেই নিদানের মুহূর্তে ঐশীর মা নাকি একটু সজাগ হয়ে পড়েছিলেন, মেয়েকে উদ্দেশ করে কিছু কথাও বলেছিলেন; কিন্তু বাধা দেওয়ার মতো শক্তি গতরে অবশিষ্ট ছিল না। সিলেটের নূরজাহানকে নিয়ে ইমদাদুল হক মিলনরা মহা ট্রাজিক উপন্যাস লিখেছেন; কিন্তু ঐশীর বাবা-মায়ের সেই অন্তিম দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার চিন্তা কোনো ঔপন্যাসিক কিংবা পরিচালকের মগজে ঢোকেনি!

এসব ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে আমরা কিছু কজ বা কারণের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করি, কিন্তু রুট কজটি অ্যানালাইসিস করি না, বা মূল কারণটি খুঁজে বের করি না।

আমরা দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম যে, এই ঐশী হলো শহুরে বিলাসের অন্ধকার ছায়া—স্কলাসটিকার ছাত্রী, উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান, আধুনিক শিক্ষা ও আরাম-আয়েশে ঘেরা জীবন। তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর সত্য। কিশোর বয়স থেকেই ঐশী বিদ্রোহী আচরণ, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত মেলামেশা ও মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়েন। বাবা-মা তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

বলা হয়, ঐশী ধীরে ধীরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। বাবা-মায়ের উপদেশ তার কাছে ‘বাধা’ মনে হতো, আর সেই মানসিক ঘূর্ণাবর্ত থেকেই জন্ম নেয় ভয়ংকর বিদ্বেষ। এভাবেই আদরের মেয়ে পরিণত হয় হত্যাকারীতে।

বাবা-মায়ের সমস্ত পরিশ্রম, ভালোবাসা ও স্বপ্ন একসঙ্গে গাঁথা থাকে সন্তানের মধ্যে। কিন্তু সেই সন্তানই যখন একদিন ঘাতকে পরিণত হয়, তখন পৃথিবীর সমস্ত ব্যাখ্যা হারিয়ে যায়। মানবতা তখন কেঁপে ওঠে এক নিঃশব্দ প্রশ্নে—‘কোথায় ভুল হলো আমাদের?’

প্রতিটি সমাজ ও প্রতিষ্ঠান একদিন না একদিন এমন এক অবস্থায় পৌঁছে, যেখানে ব্যথা আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট ক্ষতচিহ্ন নেই। আমরা তখন উপসর্গে ওষুধ দিই, কিন্তু শিকড়ের রোগ অচিহ্নিত থেকে যায়। এই ভুলটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। রাষ্ট্রীয় নীতি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সম্পর্ক পর্যন্ত সব জায়গায় আমরা প্রতিকার চাই, প্রতিরোধ নয়; ওষুধ চাই, কিন্তু ঘা কোথায় তা খুঁজে দেখি না।

জাতির মনন ও মানস গঠনে যে সংস্কৃতি জগতের নিবেদিত থাকার কথা, তারা ব্যস্ত অন্য কাজে!

আমাদের সংস্কৃতি থেকে অর্থনীতি, দাম্পত্যনীতি থেকে রাষ্ট্রনীতি—সব জায়গায় একটা ‘গোপন মাইর’ হাসিমুখে বরণ করি! রুনা খাঁন নামের এক নায়িকা হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন, পরিচালকের সঙ্গে বিশেষ লেনদেন না থাকলে নাকি কাজ পাওয়া যায় না। এ রকম স্বীকারোক্তি অবশ্য তিনিই প্রথম দিয়েছেন, তা নয়; আরো অনেকেই এ ধরনের কথা বলেছেন! এ কথা শোনার পর দেশের নারীবাদীরা সেইসব পরিচালকের কলিজা টেনে বের করার জন্য এগিয়ে আসেন না। কারণ তাদের মধ্যেও একটা সেটেলমেন্ট হয়ে আছে।

এগুলো সব ভোগবাদী এলিট সেটেলমেন্টের অংশ। এই জায়গায় তারা নাড়া দিতে চায় না, ধাক্কা দিতে চায় না। এদের হাত ধরেই বা এদের প্রশ্রয়েই বড় বড় অপরাধের বীজ অঙ্কুরিত হয়, পরিপুষ্ট হয়, ডালপালা ছড়ায়!

রাষ্ট্রকে নিপীড়ক বানানোর পেছনে প্রশাসন ও রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন মূল ভূমিকাটি রেখেছে। এখানে একটি আরেকটির হাত ধরে এগিয়েছে! মাফিয়া রানির সময়ে এটি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যায়।

এই মাফিয়া রানি পুরো রাষ্ট্রটিকে দস্যু রানির ডেরা বানিয়ে ফেলেছিল! সবচেয়ে বড় সর্বনাশটি করেছিল—পলিটিশিয়ানদের সেই রাক্ষসদের মতো বানিয়েছিল, যারা ভাবতে শুরু করেছিল, তাদের আর মৃত্যু নেই, কারণ তাদের জীবনকৌটাটি দিল্লিতে সুরক্ষিত আছে।

এখন আমাদের সঠিকভাবে ও সাহসের সঙ্গে সিস্টেমের ব্যর্থতাগুলো (Past history study) চিহ্নিত করতে হবে, এরপর রুট কজ অ্যানালাইসিস করতে হবে এবং তারপর কারেক্টিভ অ্যাকশন নিতে হবে।

পুরো দেশটাই হয়ে পড়েছিল ডাকাতদের গ্রাম! সরকারি দল, গৃহপালিত বিরোধী দল এবং সহযোগী দল—সবাই বনে গিয়েছিল একেকটা ডাকাতদল।

সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের শৃঙ্খলা নষ্ট করতে এবং তাদের মনোবল ক্র্যাশ করতে সবচেয়ে অযোগ্য, অদক্ষ ও নীতিহীন চাটুকারদের ওপরের সারিতে তুলে আনা হয়। এদের গুম, খুন ও হত্যার কাহিনি ‘হরর মুভি’কেও হার মানাচ্ছে।

তাদের জানানো হয়, শুধু আওয়ামী সরকারের বিরোধিতাই কবিরা গুনাহ বলে গণ্য হবে। এছাড়া অন্য যেকোনো কাজ তাদের জন্য জায়েজ বলে গণ্য হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের তছরুপ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যায়। সরকারি কেনাকাটায় এক বালিশের দাম সাত হাজার টাকা, পর্দার দাম ৩৭ হাজার টাকা। কিন্তু স্বাভাবিক দামের চেয়ে এগুলোর দাম শতগুণ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের নজরে এসেছিল। দামের চেয়ে দু-তিনগুণ বাড়ানো তো মামুলি। অর্থাৎ সরকারি খরচের তিন ভাগের দুই ভাগ স্রেফ অপচয়। ছয় লাখ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে চার লাখ কোটি টাকা, কিংবা ন্যূনতম তিন লাখ কোটি টাকাই অপচয় হয়েছে।

আর নৈতিক অবক্ষয়ের গল্পও কিছুটা বেরিয়ে আসছে। সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসসংলগ্ন কিছু গোপন কুঠুরির সংবাদ বেরিয়ে আসছে! সর্বশেষ এ রকম একটি সংবাদ আমার দেশ-এ বেরিয়েছে। সেই খবরে প্রকাশ, চতুর্থ শ্রেণির এক মহিলা কর্মচারী প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বনে গেছেন! সেই মহিলা ও তার সুগারডেডি বসের মধ্যে একটি রুম বানানো হয়, যে রুমে দুদিক থেকেই দরজা রাখা হয়। ফলে যখন ইচ্ছা তখনই সরকার বাহাদুরের পয়সায় গভীর বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নিমগ্ন হতে অসুবিধা হতো না!

সরকারি কর্মকর্তারা কতটুকু বেপরোয়া হলে এগুলো করার সাহস রাখেন, তা সহজেই অনুমেয়। পাঠকদের হয়তোবা স্মরণে আছে যে, ‘রেন্টুর ফাঁসি চাই’-এর এক জায়গায় শেখ হাসিনার একটা উদ্ধৃতি রয়েছে, ‘হারামজাদা এই জাতিকে আমি বেশ্যা দিয়েই শাসন করব!’ সেটা সম্ভবত তিনি ভালোভাবেই আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। সারা দেশে এ রকম কতগুলো সরকারি গোপন কুঠুরি ও পাপিয়াদের কতগুলো বেসরকারি কুঞ্জবন তৈরি করা হয়েছিল, তারও একটা সঠিক পরিসংখ্যান নেওয়া জরুরি ছিল।

তখন ইসলাম কোপানোর সর্বগ্রাসী প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। মাফিয়া রানি ইসলামের গোড়া কেটে আগায় পানি দিচ্ছেন—একদিকে মডেল মসজিদ নির্মাণ করছেন, কওমি জননী উপাধি নিয়ে টাইটেল সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির মর্যাদা দিয়েছেন; অন্যদিকে জাফর ইকবাল গং স্কুলের পাঠ্যবইয়ে ডারউইনের তত্ত্ব সংযোজন শুরু করেছেন! অথচ পৃথিবীর খুব কম দেশেই স্কুল লেভেলে ডারউইনের মতবাদ পড়ানো হয়! তাদের মতলব ছিল স্পষ্ট! ধর্মকে আমাদের জীবন থেকে সরানোর সব আয়োজন করেছে সেকুলারিজমের দোহাই টেনে। ঐশী ও রাজু এদেরই প্রডাক্ট।

যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমানের সেকুলার ভাবনা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। একবার কথাচ্ছলে আমি যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘শফি ভাই! ধর্ম না থাকলে আমাদের কী লাভ বা ক্ষতি হতো?’ তিনি মৃদু হেসে বলেছিলেন, ‘ধর্ম না থাকলে রাষ্ট্রের যত পুলিশই থাকুক, সমাজ নিরাপদ থাকত না! কারণ তখন পরিবারের এক সদস্যও অন্য সদস্যের হাতে নিরাপদ থাকত না। ধর্ম আসলে মানুষের ভেতরে এক অদৃশ্য পুলিশ বসিয়ে দিয়েছে, যে তাকে অনেক অপরাধমূলক কাজ নিবৃত্ত রাখে।’

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

দেশে মুক্তি পাচ্ছে জাপানি অ্যানিমে সিরিজ, শিশুদের দেখা নিষেধ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত