জালাল উদ্দিন ওমর
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ চলছে। ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশটি পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছে। পশ্চিমাদের মতে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি। ইরান যদিও বারবার বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বেসামরিক তথা বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ শান্তিপূর্ণ লক্ষ্যে পরিচালিত। তা ছাড়া পারমাণবিক বোমার মতো ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রকে হারাম আখ্যায়িত করে ইরানের এ বোমা তৈরি না করার ওপর ফতোয়া রয়েছে দেশটির ইসলামি বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনির। সেই ফতোয়া আজ পর্যন্ত মেনে চলে দেশটির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলসহ পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের দাবি মানে না। ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র বারবার প্রকাশ্যে বলেছে, পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ না করলে সামরিক হামলা চালানো হবে। আর সেটাই করল এবার ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র মিলে।
ইরান পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে এ কথা স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসরাইলসহ কেউই বলেনি। তাদের মতে, ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছে। এই চেষ্টার জন্যই ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ, হুমকি ও হামলা। ইরাকে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা, সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত এবং ইরাক দখল করেছিল। অথচ ইরাক দখলের পর সেসব গণবিধ্বংসী অস্ত্রের কিছুই যখন খুঁজে পায়নি, তখন যুক্তরাষ্ট্রই আবার বলেছেÑইরাকে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল মর্মে রিপোর্টটি মিথ্যা ছিল। আসলে এটা ছিল ইরাকে হামলা, সরকার পরিবর্তন এবং ইরাক দখলের অজুহাত এবং নাট্যচিত্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভুল স্বীকার করে ইরাক থেকে চলে যায়নি, ক্ষতিপূরণও দেয়নি, বরং সেখানে সামরিক ঘাঁটি গড়েছে। এ অবস্থায় ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অভিযোগটা যে ইরান দখলের জন্য ইরাকের মতোই মিথ্যা অভিযোগ নয়, তার প্রমাণ কী?
বিশ্ববাসীকে পারমাণবিক অস্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষার কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র বানায়। ১৯৪৫ সালের ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দেশ হিসেবে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা এবং ৬ ও ৯ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা চালায়। এতে শহর দুটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং মুহূর্তেই দুই লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। ১৪ আগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান হয়। পরে অনেক দেশ অস্তিত্ব রক্ষায় পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ক্রমান্বয়ে পারমাণবিক বোমার অধিকারী হয় রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া। ইসরাইল অঘোষিতভাবে পারমাণবিক বোমার অধিকারী।
পারমাণবিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মানুষকে বাঁচাতে ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি এনপিটি স্বাক্ষরিত হয়, যা ১৯৭০ সালের ৫ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। বর্তমানে ইরানসহ ১৯০টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে। উত্তর কোরিয়া স্বাক্ষর করলেও পরে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ভারত, পাকিস্তান, ইসরাইল, দক্ষিণ সুদান এতে স্বাক্ষর করেনি। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ১৯০টি দেশ চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করলেও, বিশ্ব পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত হয়নি। চুক্তিটিতে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধের কথা বলা হলেও, বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর হাতে মজুত থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের কী হবে, তার কোনো নির্দেশনা এবং এসব অস্ত্র ধ্বংসের বিধান রাখা হয়নি। এই চুক্তির মাধ্যমে নতুন কোনো দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী না হলেও, বৃহৎ রাষ্ট্রগুলো তাদের কাছে মজুত থাকা পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে ঠিকই অন্য দেশের ওপর মাতব্বরি করবে।
মুসলিম দেশগুলো জ্ঞান-বিজ্ঞানে এবং সামরিক প্রযুক্তিতে দক্ষতা ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা তা চায় না। ইরানের মতো ইসলামপন্থি, জাতীয়তাবাদী এবং পাশ্চাত্যবিরোধী মুসলিম দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকুক, তা পশ্চিমা বিশ্ব কিছুতেই মানতে পারে না। কারণ এর ফলে পশ্চিমাদের সাম্রাজ্য এবং আধিপত্য হুমকির মুখে পড়বে। তারা চায় মুসলিম দেশগুলো চিরদিনই অনুন্নত, পশ্চাৎপদ এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান, সামরিক খাতে তাদের ওপর নির্ভরশীল থাকুক। পশ্চিমারা চায় জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং সামরিক প্রযুক্তির দক্ষতা শুধু তাদের হাতেই থাকুক এবং এর মাধ্যমে বিশ্বকে চিরদিন তারাই শাসন করবে। পাকিস্তান পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ করলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা এর বিরোধিতা করে এবং একে ইসলামিক বোমা নামে অভিহিত করে। অথচ ভারত পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ করলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা চুপচাপ ছিল এবং বিরোধিতা করেনি।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যতটাই সরব, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে ততটাই নীরব। অধিকন্তু এরা ইসরাইলকে অব্যাহতভাবে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমারা এখানে বরাবরই দ্বিমুখীনীতি পালন করছে। ইসরাইলের বিখ্যাত পারমাণবিক প্রকল্প হচ্ছে ডিমোনা পরমাণু কেন্দ্র, যেখানে ১৯৬০ সাল থেকেই অত্যন্ত গোপনে এবং নিরাপত্তার মধ্যে পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তাদের কাছে শতাধিক পারমাণবিক বোমা মজুত রয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ছবি প্রায়ই বিশ্বের মিডিয়ায় ছাপা হলেও, ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনার ছবি কোনো মিডিয়ায় ছাপা হয় না। ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাদের আলোচনা-সমালোচনাও পর্যন্ত নেই এবং এসব স্থাপনায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার নজরদারি এবং পরিদর্শনও নেই। পশ্চিমাদের এই ভণ্ডামি যতদিন বন্ধ না হবে, ততদিন বিশ্ব শান্তি আশা করা বৃথা।
লেখক : প্রকৌশলী এবং রাষ্ট্র চিন্তক
ইমেইল : omar_ctg123@yahoo.com
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ চলছে। ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশটি পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছে। পশ্চিমাদের মতে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি। ইরান যদিও বারবার বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বেসামরিক তথা বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ শান্তিপূর্ণ লক্ষ্যে পরিচালিত। তা ছাড়া পারমাণবিক বোমার মতো ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রকে হারাম আখ্যায়িত করে ইরানের এ বোমা তৈরি না করার ওপর ফতোয়া রয়েছে দেশটির ইসলামি বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনির। সেই ফতোয়া আজ পর্যন্ত মেনে চলে দেশটির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলসহ পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের দাবি মানে না। ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র বারবার প্রকাশ্যে বলেছে, পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ না করলে সামরিক হামলা চালানো হবে। আর সেটাই করল এবার ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র মিলে।
ইরান পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে এ কথা স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসরাইলসহ কেউই বলেনি। তাদের মতে, ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছে। এই চেষ্টার জন্যই ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ, হুমকি ও হামলা। ইরাকে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা, সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত এবং ইরাক দখল করেছিল। অথচ ইরাক দখলের পর সেসব গণবিধ্বংসী অস্ত্রের কিছুই যখন খুঁজে পায়নি, তখন যুক্তরাষ্ট্রই আবার বলেছেÑইরাকে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল মর্মে রিপোর্টটি মিথ্যা ছিল। আসলে এটা ছিল ইরাকে হামলা, সরকার পরিবর্তন এবং ইরাক দখলের অজুহাত এবং নাট্যচিত্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভুল স্বীকার করে ইরাক থেকে চলে যায়নি, ক্ষতিপূরণও দেয়নি, বরং সেখানে সামরিক ঘাঁটি গড়েছে। এ অবস্থায় ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অভিযোগটা যে ইরান দখলের জন্য ইরাকের মতোই মিথ্যা অভিযোগ নয়, তার প্রমাণ কী?
বিশ্ববাসীকে পারমাণবিক অস্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষার কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র বানায়। ১৯৪৫ সালের ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দেশ হিসেবে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা এবং ৬ ও ৯ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা চালায়। এতে শহর দুটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং মুহূর্তেই দুই লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। ১৪ আগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান হয়। পরে অনেক দেশ অস্তিত্ব রক্ষায় পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ক্রমান্বয়ে পারমাণবিক বোমার অধিকারী হয় রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া। ইসরাইল অঘোষিতভাবে পারমাণবিক বোমার অধিকারী।
পারমাণবিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মানুষকে বাঁচাতে ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি এনপিটি স্বাক্ষরিত হয়, যা ১৯৭০ সালের ৫ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। বর্তমানে ইরানসহ ১৯০টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে। উত্তর কোরিয়া স্বাক্ষর করলেও পরে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ভারত, পাকিস্তান, ইসরাইল, দক্ষিণ সুদান এতে স্বাক্ষর করেনি। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ১৯০টি দেশ চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করলেও, বিশ্ব পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত হয়নি। চুক্তিটিতে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধের কথা বলা হলেও, বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর হাতে মজুত থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের কী হবে, তার কোনো নির্দেশনা এবং এসব অস্ত্র ধ্বংসের বিধান রাখা হয়নি। এই চুক্তির মাধ্যমে নতুন কোনো দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী না হলেও, বৃহৎ রাষ্ট্রগুলো তাদের কাছে মজুত থাকা পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে ঠিকই অন্য দেশের ওপর মাতব্বরি করবে।
মুসলিম দেশগুলো জ্ঞান-বিজ্ঞানে এবং সামরিক প্রযুক্তিতে দক্ষতা ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা তা চায় না। ইরানের মতো ইসলামপন্থি, জাতীয়তাবাদী এবং পাশ্চাত্যবিরোধী মুসলিম দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকুক, তা পশ্চিমা বিশ্ব কিছুতেই মানতে পারে না। কারণ এর ফলে পশ্চিমাদের সাম্রাজ্য এবং আধিপত্য হুমকির মুখে পড়বে। তারা চায় মুসলিম দেশগুলো চিরদিনই অনুন্নত, পশ্চাৎপদ এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান, সামরিক খাতে তাদের ওপর নির্ভরশীল থাকুক। পশ্চিমারা চায় জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং সামরিক প্রযুক্তির দক্ষতা শুধু তাদের হাতেই থাকুক এবং এর মাধ্যমে বিশ্বকে চিরদিন তারাই শাসন করবে। পাকিস্তান পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ করলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা এর বিরোধিতা করে এবং একে ইসলামিক বোমা নামে অভিহিত করে। অথচ ভারত পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ করলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা চুপচাপ ছিল এবং বিরোধিতা করেনি।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যতটাই সরব, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে ততটাই নীরব। অধিকন্তু এরা ইসরাইলকে অব্যাহতভাবে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমারা এখানে বরাবরই দ্বিমুখীনীতি পালন করছে। ইসরাইলের বিখ্যাত পারমাণবিক প্রকল্প হচ্ছে ডিমোনা পরমাণু কেন্দ্র, যেখানে ১৯৬০ সাল থেকেই অত্যন্ত গোপনে এবং নিরাপত্তার মধ্যে পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তাদের কাছে শতাধিক পারমাণবিক বোমা মজুত রয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ছবি প্রায়ই বিশ্বের মিডিয়ায় ছাপা হলেও, ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনার ছবি কোনো মিডিয়ায় ছাপা হয় না। ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাদের আলোচনা-সমালোচনাও পর্যন্ত নেই এবং এসব স্থাপনায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার নজরদারি এবং পরিদর্শনও নেই। পশ্চিমাদের এই ভণ্ডামি যতদিন বন্ধ না হবে, ততদিন বিশ্ব শান্তি আশা করা বৃথা।
লেখক : প্রকৌশলী এবং রাষ্ট্র চিন্তক
ইমেইল : omar_ctg123@yahoo.com
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১১ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১১ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১১ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে