ভারতের মহাপরিকল্পনা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি

এলাহী নেওয়াজ খান
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ২৪

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পরিকল্পনা ও ভাবনাগুলো নানামুখী হলেও আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার পেছনে প্রধানত দুটি লক্ষ্য ছিল। আবার এ দুটি লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়েছিল একটি যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। মূলত পরাভূত শক্তির মুকুটে যেমন একটি বিজয়ের পালকের দরকার ছিল; তেমনি বিজাতার বিরুদ্ধে ভূরাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করাও ছিল জরুরি।

বিজ্ঞাপন

পাঠক, আমি বলছি ১৯৬২ সালের সেই যুদ্ধের কথা, যে যুদ্ধে ভারত চীনের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল, যা নেহরুর কল্পিত পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্নকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছিল। ফলে খুব তাড়াতাড়ি ভারতের একটা বড় বিজয়ের দরকার হয়ে পড়ে, যা পরাজয়ের গ্লানি ছাপিয়ে ভারতকে বিশ্বদরবারে সম্মানের আসনে বসাবে। ১৯৭১ সালে সেই সুযোগ তার এসে যায়। ওই বছর ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং জুলফিকার আলী ভুট্টো ও শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান ভাঙার একটা আলামত বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে, সেটা পাকিস্তানের মসনদে হোক কিংবা পাকিস্তান ভেঙে। একই সঙ্গে জুলফিকার আলী ভুট্টোও ক্ষমতার জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। চিত্রনাট্যটি তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়, যখন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের গোলটেবিল বৈঠক এবং পরে ৭১-এর মার্চে ঢাকায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান ও ভুট্টোর সমঝোতা বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যায়। এতে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, পাকিস্তান তার নিয়তি নির্ধারিত পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এই পটভূমিতে উভয় নেতার মধ্যে যেভাবে তীব্র ক্ষমতার লোভ পরিস্ফুটিত হয়ে উঠেছিল, তা ভারতকে অনুপ্রাণিত করেছিল দ্রুত সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসতে। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আনুপূর্বিক যোগাযোগের প্রেক্ষাপটে ভারত বুঝতে পেরেছিল, দেশটিকে স্বাধীন করার পর অনুগত শাসক হিসেবে আওয়ামী লীগই হবে তুরুপের তাস। পরে হয়েছেও তাই। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের আগের ও পরের সব ঘটনাবলি পর্যালোচনা করলে সে রকমই একটি চিত্র ফুটে ওঠে। অথচ এ দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। তারা কখনোই ভাবেনি যে, ইসলামাবাদের আনুগত্য ত্যাগ করে দিল্লির আনুগত্য করতে হবে।

এখন একটু পেছনের দিকে ফিরে তাকালে ভারতের অভিসন্ধি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে জন্য প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোকে কীভাবে মূল্যায়ন করে। অনেকেরই জানা আছে, ভারতের সমরনায়করা প্রতিবেশী ক্ষুদ্র দেশগুলোকে গ্রাস করার একটি অভিসন্ধি ৪৭ সাল থেকেই লালন করে আসছে। কিন্তু ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের পর ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা প্রচণ্ডভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এখানে উল্লেখ করতে হয়, ভারতের রাজনীতি ও সমরনীতি মূলত নেহরু ডকট্রিন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। নেহরু ডকট্রিনের মূল কথা হচ্ছে: ভারতের আশপাশের ছোট দেশগুলোর সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা থাকতে পারে; কিন্তু রাজনৈতিক স্বাধীনতা থাকতে পারে না। দুদিন আগে ও পরে এই দেশগুলো ভারতের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। এরই আলোকে ভারত করদরাজ্যগুলোসহ কাশ্মীর, সিকিম, মণিপুর দখল করে নেয়।

ফলে ৬২ সালর যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের পর ভারতের সমরবিদরা দুটি বিষয় গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। প্রথমত, তাদের সাপ্লাই লাইন সংকট, যা যুদ্ধের সময় খুব জরুরি। তারা তখন অনুধাবন করলেন, যুদ্ধের সময় যদি তারা সাপ্লাই লাইনের জন্য পশ্চাৎ ভূমি হিসেবে বাংলাদেশকে পেত, তাহলে তারা ওই যুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারতে। ঠিক এই চিন্তার পটভূমিতে ভারতীয়দের দ্বিতীয় বিষয় ছিল কীভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে নিজেদের কবজায় রেখে দেওয়া যায়, যা তাদের ৬২ সালের পরাজয়ের গ্লানি মুক্ত করবে। সেই লক্ষ্যে ঠিক সে সময় থেকে তারা বাংলাদেশের বিষয়ে সুনির্দিষ্টি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়ে এগোতে থাকে। আর ওই ৬২ সালেই ভারত সরকার একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা সৃষ্টি করার পরিকল্পনাও হাতে নেয়। পরে ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিসার্স অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW) নামে সংস্থাটি আত্মপ্রকাশ করে, যার কাজ হচ্ছে অন্য দেশের ভেতরে গোয়েন্দাগিরি করা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই সংস্থার ব্যাপকভিত্তিক কর্মকাণ্ড রয়েছে।

এখানে উল্লেখ করতে হয়, ৬২ সালের যুদ্ধে অপমানজনক পরাজয়ের পর ‘চিকেন নেক’ অর্থাৎ ‘শিলিগুড়ি করিডর’ নিয়ে ভারতীয়দের চরম উৎকণ্ঠায় পেয়ে বসে।

আসলে ভারতের এই সীমান্তটি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল ও অরক্ষিত সীমান্ত হিসেবে বিবেচিত। ধারণা করা হয়, চীন যেকোনো সময় এই ‘চিকেন নেক’ দখল কর নিলে ভারতের সাতটি রাজ্য মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এই সংকীর্ণ অংশটির সঙ্গে উভয় পাশে যুক্ত আছে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সীমানা। এই করিডরের প্রশস্ত মাত্র ২০ থেকে ২২ কিলোমিটার। অনেকটা ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট পর্যন্তু দূরত্ব। আর তিব্বতের ‘চুম্ভি ভিলা’ থেকে এর দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার, যা চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুতরাং সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এ ব্যাপারে ভারতের ভয়ে থাকার যথেষ্ট কারণ আছে। আর সে কারণেই বাংলাদেশ ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে গেছে। আবার সে কারণেই শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের দিশাহারা ভাব কাটছেই না।

তাদের দিশাহরা হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ফলে তাদের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে গেছে। তারা গত ১৫ বছর এটা ভেবে নিশ্চিত হয়েছিল, যাক, তাদের একটি পরিকল্পনা স্থায়িত্ব পেয়ে গেল। আর এই পরিকল্পনাটা বুঝতে হলে আমাদের আরেকটু গভীরে যেতে হবে। অনেকেরই জানা নেই, ‘চিকেন নেক’, ‘টেনশন’ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভারতের রাজনৈতিক ও সমরবিদের অনেকে নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলে আসছেন। সম্প্রতি অভিজিৎ চাভডা নামের একজন বিশেষজ্ঞ একটি ‘ইউটিউব চ্যানেলে’ দুটি সমাধানের কথা বলছেন। প্রথমত, ভারতের উচিত হবে তিব্বত দখল করে নেওয়া। তাহলে সমস্যার অতি সহজ সমাধান হয়ে যাবে। তবে বর্তমানে ভারত সে অবস্থায় নেই। তাই তার মতে দ্বিতীয় আরও সহজ অপশন হচ্ছে: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দখল করে ফেলা। আর যুদ্ধে কূটনীতি ইত্যাদি কোনো নীতির বালাই নেই। আরেকজন বিশেষজ্ঞ আরও স্পষ্টভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ও রংপুর অঞ্চল দখল করার কথা বলেছেন। তার আরও একটি প্রস্তাব হচ্ছে: বাংলাদেশের জমির সঙ্গে ভারতীয় জমির এওয়াজবদল করা। অর্থাৎ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জমি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অন্য অংশ থেকে বাংলাদেশকে জমি দিয়ে দেওয়া। এই ভদ্রলোকের সর্বশেষ প্রস্তাবটি হচ্ছে: বাংলাদেশে ভারতের অনুগত একটি সরকার বহাল রাখা।

সম্ভবত বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ভারত শেষের প্রস্তাবটিই অনুসরণ করে আসছে। সে কারণেই যুদ্ধের সময় ভারত আওয়ামী লীগের সঙ্গে সাত দফার একটি গোপন চুক্তি সম্পাদন করেছিল, যা একটু পরিমার্জিত করে ১৯৭২ সলে ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যাকে বিরোধীরা গোলামি হিসেবে অভিহিত করেছিল। যুদ্ধকালে সাত দফা চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। দ্বিতীয় চুক্তিটি হয়েছিল তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রারা গান্ধী ঢাকা সফরে আসার পর।

তৎকালীন বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতারা যুদ্ধকালে সাত দফা চুক্তিকে পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। যদিও তাজউদ্দীন আহমদ এই গোপন চুক্তির কথা অস্বীকার করেন। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ অলি আহাদ তার ‘জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘পুনঃপুনঃ অভিযোগ সত্ত্বেও মুজিব- তাজউদ্দীন ভারতের সহিত গোপন চুক্তি অস্বীকার করিতেন, ঠিক যেমন পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তির সর্বনাশা গোপন ধারাগুলি পাক সরকার প্রকাশ্যে উচ্চকণ্ঠে অস্বীকার করিতেন।’

সেই গোপন সাত দফা চুক্তি পাঠ করলেই যে কেউ বুঝতে সক্ষম হবেন, ভারত তার সব পরিকল্পনাই প্রণয়ন করেছিল আওয়ামী লীগের চিরস্থায়ী ক্ষমতায় রাখাকে কেন্দ্র করে। সে কারণেই একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়েছিল। মূলত ভারত আওয়ামী লীগকে একটি পোষ্য সংগঠন হিসেবে বিবেচনায় রেখে চুক্তির প্রথম দফায় বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় সমরবিদের তত্ত্বাবধানে আধা সামরিক বাহিনী গঠন করা হবে। গুরুত্বের দিক থেকে এবং অস্ত্রশস্ত্র ও সংখ্যায় এই বাহিনী বাংলাদেশের মূল সামরিক বাহিনী থেকে বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ হবে।’

ওই ধারাকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪৭ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আধা সামরিক বাহিনী হিসেবে ‘জাতীয় রক্ষীবাহিনী’ গঠন করা হয়। এর সদস্য ও অফিসাররা ছিলেন মূলত মুজিব বাহিনী ও কাদেরিয়া বাহিনীর লোকজন। এই বাহিনীর আনুগত্যের বিষয়টি নির্ধারিত ছিল শুধু প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রতি, দেশের প্রতি নয়। পরে এই বাহিনীর নিপীড়নের কাহিনি তো ইতিহাসের এক নৃশংসতম অধ্যয়।

ওই সাত দফা চুক্তির দ্বিতীয় দফা হচ্ছে: ভারত থেকে অস্ত্রশস্ত্র কিনতে হবে এবং ভারতীয় সমরবিদের পরামর্শ অনুযায়ী তা করতে হবে।

তৃতীয় দফা: ভারতীয় পরামর্শে বহির্বাণিজ্য কর্মসূচি নির্ধারণ করতে হবে।

চতুর্থ: বাংলাদেশের বার্ষিক ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ভারতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

পঞ্চম: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির অনুরূপ হতে হবে।

ষষ্ঠ: ভারত-বাংলাদেশ চুক্তিগুলো ভারতের সম্মতি ছাড়া বাতিল করা যাবে না।

সপ্তম: ডিসেম্বরে পাক-ভারত যুদ্ধের আগে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ভারত যেকোনো সময় যেকোনো সংখ্যায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে এবং বাধাদানকারী শক্তিকে চুরমার করে অগ্রসর হতে পারবে।

পাঠক, ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সফরকালে ‘বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও শান্তি’ চুক্তি নামে যে ২৫ বছর মেয়াদি গোলামি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাতেও ‘গোপন চুক্তি’র সপ্তম দফার মতোই একটা দফা ছিল। সেই দফায় বলা হয়েছিল, এক দেশ অন্য কোনো দেশ কর্তৃক আক্রান্ত হলে; এক দেশ অন্য দেশকে সাহায্য করবে। অর্থাৎ ভারত কিংবা বাংলাদেশ যে-ই অন্যদেশ দ্বারা আক্রান্ত হবে, সে-ই একে অন্যকে সহায়তা করবে।

এই চুক্তির পর বিখ্যাত রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আহমদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত এক জনসভায় মজা করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের তিনদিক ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত, পূর্বদিকে কিছু সীমানা বার্মার সঙ্গে (এখন মিয়ানমার) দক্ষিণে বিশাল বঙ্গোপসাগর; সুতরাং ভারত যদি আক্রমণ না করে, তাহলে কি বঙ্গোপসাগরের হাঙ্গর, কুমির এসে আক্রমণ করবে? যাই হোক, মূল সত্যটা হচ্ছে: চীন কখনেও ‘চিকেন নেকে’ আক্রমণ করলে ভারতকে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। এসব থেকে এই উপলব্ধি হওয়াটাই স্বাভাবিক, ভারত বাংলাদেশকে ‘স্যাটেলাইট স্টেট’ ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। যাকে বলে একান্তই ভারতের প্রভাব বলায়াধীন একটি রাষ্ট্রের চিন্তা, যেখানে একটি পুতুল সরকার থাকে। তাকে যেভাবে চালানো যায় সেভাবে চলে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত