হাবিব উল্লাহ রিফাত
বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অনেক দিন থেকে আলোচিত একটি দেশ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের কর্ণধাররা ভৌগোলিক এই সোনালি সম্ভাবনাকে আজও কাজে লাগাতে পারেননি। চোখের সামনে ম্লান হয়ে গেছে অনেক অপার সম্ভাবনা।
আমাদের উত্তর-পূর্ব ভারতের ৪০-৪৫ কিলোমিটার করিডোর, যা চীন, নেপাল, ভুটান, এমনকি দূরবর্তী মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি করতে পারত, যা আজও অপার সম্ভাবনার দুয়ারে তালাবদ্ধ।
সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের নিচে লুকিয়ে থাকা সম্পদ আর অজস্র আন্তর্জাতিক জাহাজের সম্ভাবনা দেখেও আমরা নিস্তব্ধ। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কুমিরা থেকে উখিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল আজও বৈদেশিক মুদ্রার এক বিশাল ভান্ডারে রূপ নিতে পারেনি।
আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সব সময় ব্যস্ত ছিল বিরোধীদের দমন আর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে। রাজনীতিকে তারা পরিণত করেছে পেটনীতিতে।
সম্প্রতি আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে আমরা আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্রে রূপান্তরিত হতে পারি। তার পরিকল্পনায় শুধু সমুদ্রবাণিজ্য নয়, আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় সম্পদের উন্নয়ন নিয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তবে এই পরিবর্তনের দায়িত্ব একজন ব্যক্তির নয়। এটি একটি জাতির দায়িত্ব। এটি একটি ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের দায়িত্ব, যারা শুধু ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, বরং জনগণের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করবে। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তাদের সামনে এক কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কারণ, এখনকার মানুষ আগের মতো নয়। তারা বোঝে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির রাজনীতি আর টিকবে না এদেশে। মানুষ এখন কাজ দেখতে চায়, কথার ফুলঝুরি নয়।
আমরা এমন একসময়ের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে নির্বাচনের রাজনীতি আর শুধু ক্ষমতার খেলা হবে না। এটি হবে মানুষের আস্থা অর্জনের লড়াই। আমাদের দরকার এমন নেতৃত্ব, যারা সাহস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। যারা দেখাবে শুধু স্বপ্ন নয়, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথও।
বাংলাদেশের এই সোনালি সম্ভাবনার দ্বার খুলতেই হবে। তা যদি বর্তমান নেতৃত্ব না পারে, তবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে তা করতে হবে। একটি উন্নত, আত্মনির্ভরশীল এবং গর্বিত বাংলাদেশ গড়তে হলে ইচ্ছাশক্তি, জবাবদিহি এবং জনগণের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা প্রয়োজন। যারা ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত হবে, তাদের চিরতরে বয়কট করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।
পরিশেষে, বাংলাদেশের সম্ভাবনা শুধু কল্পনায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। প্রয়োজন শুধু সাহসী নেতৃত্বের, যে নেতৃত্ব জাতিকে একটি নতুন ভোর দেখাবে। ভূগোলই আমাদের ভাগ্যবদলের চাবিকাঠি হতে পারে, যদি আমরা তা কাজে লাগানোর মতো সচেতন হই। মনে রাখতে হবে, ইতিহাসের অঙ্গীকার আমাদেরই পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি স্বপ্নই একদিন বাস্তবে রূপ নেবে—এটাই আমাদের বিশ্বাস, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
লেখক : এমএসএস, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অনেক দিন থেকে আলোচিত একটি দেশ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের কর্ণধাররা ভৌগোলিক এই সোনালি সম্ভাবনাকে আজও কাজে লাগাতে পারেননি। চোখের সামনে ম্লান হয়ে গেছে অনেক অপার সম্ভাবনা।
আমাদের উত্তর-পূর্ব ভারতের ৪০-৪৫ কিলোমিটার করিডোর, যা চীন, নেপাল, ভুটান, এমনকি দূরবর্তী মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি করতে পারত, যা আজও অপার সম্ভাবনার দুয়ারে তালাবদ্ধ।
সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের নিচে লুকিয়ে থাকা সম্পদ আর অজস্র আন্তর্জাতিক জাহাজের সম্ভাবনা দেখেও আমরা নিস্তব্ধ। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কুমিরা থেকে উখিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল আজও বৈদেশিক মুদ্রার এক বিশাল ভান্ডারে রূপ নিতে পারেনি।
আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সব সময় ব্যস্ত ছিল বিরোধীদের দমন আর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে। রাজনীতিকে তারা পরিণত করেছে পেটনীতিতে।
সম্প্রতি আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে আমরা আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্রে রূপান্তরিত হতে পারি। তার পরিকল্পনায় শুধু সমুদ্রবাণিজ্য নয়, আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় সম্পদের উন্নয়ন নিয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তবে এই পরিবর্তনের দায়িত্ব একজন ব্যক্তির নয়। এটি একটি জাতির দায়িত্ব। এটি একটি ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের দায়িত্ব, যারা শুধু ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, বরং জনগণের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করবে। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তাদের সামনে এক কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কারণ, এখনকার মানুষ আগের মতো নয়। তারা বোঝে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির রাজনীতি আর টিকবে না এদেশে। মানুষ এখন কাজ দেখতে চায়, কথার ফুলঝুরি নয়।
আমরা এমন একসময়ের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে নির্বাচনের রাজনীতি আর শুধু ক্ষমতার খেলা হবে না। এটি হবে মানুষের আস্থা অর্জনের লড়াই। আমাদের দরকার এমন নেতৃত্ব, যারা সাহস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। যারা দেখাবে শুধু স্বপ্ন নয়, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথও।
বাংলাদেশের এই সোনালি সম্ভাবনার দ্বার খুলতেই হবে। তা যদি বর্তমান নেতৃত্ব না পারে, তবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে তা করতে হবে। একটি উন্নত, আত্মনির্ভরশীল এবং গর্বিত বাংলাদেশ গড়তে হলে ইচ্ছাশক্তি, জবাবদিহি এবং জনগণের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা প্রয়োজন। যারা ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত হবে, তাদের চিরতরে বয়কট করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।
পরিশেষে, বাংলাদেশের সম্ভাবনা শুধু কল্পনায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। প্রয়োজন শুধু সাহসী নেতৃত্বের, যে নেতৃত্ব জাতিকে একটি নতুন ভোর দেখাবে। ভূগোলই আমাদের ভাগ্যবদলের চাবিকাঠি হতে পারে, যদি আমরা তা কাজে লাগানোর মতো সচেতন হই। মনে রাখতে হবে, ইতিহাসের অঙ্গীকার আমাদেরই পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি স্বপ্নই একদিন বাস্তবে রূপ নেবে—এটাই আমাদের বিশ্বাস, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
লেখক : এমএসএস, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
৮ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
৮ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
৮ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে