জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনীতিতে এখন নানামুখী মেরূকরণ ঘটছে। প্রধান তিন রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির নেতৃত্বে তিনটি রাজনৈতিক জোট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে।
এছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির নেতৃত্বেও গঠিত হয়েছে একটি জোট। একাধিক জোটের প্রার্থীরা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব জোট গঠনের পেছনে যে আওয়ামী রাজনীতির শূন্যতা পূরণের লক্ষ্য কাজ করছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে গত কয়েক মাসে যে কটি নির্বাচনি জরিপ প্রকাশ হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের প্রতি জনসমর্থন ১০ শতাংশের কাছাকাছি উঠে এসেছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে যেসব একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে ৫ থেকে ৮ শতাংশ লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ফলে আওয়ামী লীগের ভোট যে ১০ শতাংশের কাছাকাছি, তা যথেষ্ট যুক্তিসংগত বলে মনে হয়। ফলে নির্বাচনে আওয়ামী সহযোগী জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নতুন এই জোট বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে এমনটা মনে করার বাস্তব কোনো কারণ নেই।
শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের পর নিরপেক্ষতার মুখোশধারী আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতির কারণে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হবে। দিল্লিপন্থি এই বুদ্ধিজীবী ও প্রচারবিদরা এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, ইনক্লুসিভ নির্বাচন এবং রাজনীতির জন্য গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আমরা দেখছি একাধিক রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ আগামী নির্বাচন ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার আভাস দিচ্ছে। দেশে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী।
আমার দেশ-এ প্রথম যখন মাঠপর্যায়ে নির্বাচনি চিত্রের খবর প্রকাশ হচ্ছিল, তখন বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে জামায়াত প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনেক খবর আসছিল। সে সময় বিএনপির বামধারার বুদ্ধিজীবীরা আমার দেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষোদগার করেছিলেন। তাদের আপত্তি ছিলÑবিএনপির মতো বড় দলের সঙ্গে জামায়াতকে তুলনা করে আমার দেশ বিএনপিকে নাকি ছোট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের পতনের পর ধীরে ধীরে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হিসেবে জামায়াতের উত্থান ঘটতে থাকে। বিএনপি প্রথমদিকে বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। আমার দেশ তখন মাঠের প্রকৃত চিত্রই বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরেছিল। বিএনপির ওপর সওয়ার হওয়া বামধারার এই বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ ছিল জামায়াত নয়; বরং জাতীয় পার্টি হতে পারে প্রধান বিরোধী দল।
এখন অবশ্য তৃতীয় ধারার রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এনসিপি সামনে আসার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন জরিপে বিএনপি ও জামায়াতের পর এনসিপির অবস্থান দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনে এনসিপির নেতৃত্বাধীন জোট আবার বড় দুই জোটের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতায় যাবে কি না তা দেখার জন্য আমাদের হয়তো আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে যেসব একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে ৫ থেকে ৮ শতাংশ লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ফলে আওয়ামী লীগের ভোট যে ১০ শতাংশের কাছাকাছি, তা যথেষ্ট যুক্তিসংগত বলে মনে হয়। ফলে নির্বাচনে আওয়ামী সহযোগী জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নতুন এই জোট বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে এমনটা মনে করার বাস্তব কোনো কারণ নেই।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের চাপে প্রধান দু-দলের রাজনৈতিক দর্শন ও প্রচারণার ক্ষেত্রে এখন বড় ধরনের পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বিএনপির পরিচয় ছিল ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করা এক রাজনৈতিক দল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় সংবিধানের মূলনীতিতে সংযুক্ত করা হয়েছিল সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হবে যাবতীয় কার্যাবলির ভিত্তি। পরিত্যাগ করা হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। এছাড়া তিনি সংবিধানে সংযুক্ত করেছিলেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এই সংশোধনীর মধ্য দিয়ে তিনি এ দেশের মানুষের ইসলামি পরিচয় সামনে এনেছিলেন। একইভাবে বেগম খালেদা জিয়াও তার দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াইয়ে ইসলামি মূল্যবোধ ও মুসলিম পরিচয়ের দিকটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার প্রধান রাজনৈতিক মিত্র ছিল দেশের ছোট-বড় ইসলামপন্থি দলগুলো। এমনকি জিয়াউর রহমানের দল গঠনের পেছনে মুসলিম লীগের নেতারা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন। যাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাও করেছিলেন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষক ও একজন সেক্টর কমান্ডার। তিনি মূলত রিকনসিলিয়েশন বা ঐক্যের রাজনীতি করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াও রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থি দলগুলো বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন এবং ২০০১ সালে তার মন্ত্রিসভায় জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ হাসিনার একনায়কত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতসহ ইসলামপন্থি দলগুলো নিয়ে জোটবদ্ধ আন্দোলনও গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন রাজনৈতিক দৃশ্যপটে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থানে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বলে মনে হচ্ছে। অবশ্য এর শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে। সে সময় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনি জোট গঠন করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন কারাগারে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তার বড় কোনো ভূমিকা ছিল না। এ সময় থেকে বিএনপিতে বামপন্থি নেতাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপির বামধারার প্রচারবিদরা দলটিকে মধ্যবামপন্থি দল হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা করতে থাকে। আওয়ামী লীগ নেতারাও দেশ-বিদেশে সব সময় উদার মধ্যবামপন্থি দল হিসেবে দাবি করতেন। যদিও আওয়ামী লীগের ডিএনএতে ছিল ফ্যাসিবাদের বীজ। স্বাধীনতার পরপরই তারা মস্কোপন্থিদের সমর্থন নিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তাতে বিএনপি ইসলামি মূল্যবোধের রাজনীতির চেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ মধ্যবামের রাজনীতি বেছে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিএনপির প্রচারবিদরা মনে করছেন, এ ধরনের অবস্থানে আওয়ামীপন্থি ভোটাররা তাদের প্রতি নমনীয় হবেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে তারা ধীরে ধীরে সম্পৃক্ত হবেন। এতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ হবে। দ্বিতীয়ত, তাদের প্রতিপক্ষ যেহেতু জামায়াতে ইসলামীর মতো ইসলামপন্থি দল, সে ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রভাবের প্রশ্নে জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থান নেওয়া কঠিন। এছাড়া সেক্যুলার ও মধ্যবাম পরিচয় ভারতসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে বলে তারা মনে করে। ফলে আমরা দেখছি, বিএনপি এখন ইসলামি মূল্যবোধের পরিচয়ের চেয়ে আওয়ামী ন্যারেটিভে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়টি সামনে আনছে। জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থান নিয়ে দলটিকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।
বিএনপি যখন নির্বাচন সামনে রেখে সেক্যুলার মধ্যবাম নীতি গ্রহণ করছে, তখন জামায়াত অনেকটা উদারপন্থি ইসলামি এবং জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছে। ওয়ান-ইলেভেনের পর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার শর্ত হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সে সময় জামায়াতের গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। এতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের দলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি যোগ করা হয়। এই পরিবর্তনের সুবিধা এখন দলটি গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী একজন সংখ্যালঘু প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। আরো একাধিক সংখ্যালঘু প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে দলটির পক্ষ থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নারীদের মধ্যে জামায়াতের সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে। এমনকি গ্রাম ও উপজেলা শহরগুলোয় জামায়াতের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নারী ভোটাররা বড় ধরনের ভূমিকা রাখবেন বলে দলটির নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন।
জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, নারীদের হিজাব বা বোরকার মতো পোশাক পরতে কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হবে না। ফলে নারীদের ইসলামপন্থি রাজনীতির প্রতি ভীতি অনেকটা কেটে গেছে বলে মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রে ডাকসুসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্যানেলে অনেক নারী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে হিজাব ছাড়াও প্রার্থী ছিল। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইনক্লুসিভ প্রার্থী নির্বাচনের এই বার্তা জামায়াতের পক্ষে নারী ভোটারদের আশ্বস্ত করতে পেরেছে। এছাড়া জামায়াতের প্রচারণার অংশ হিসেবে নারীদের স্বাস্থ্য ও কর্মস্থলের সুরক্ষার বিষয়গুলো সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনে জামায়াত নারী প্রার্থী দেবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট করেনি। যদি দলটি নারী প্রার্থী দেয়, তাহলে নারী ভোটারদের মধ্যে জামায়াত নিয়ে ভীতি অনেকটা কেটে যেতে পারে। পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলো জামায়াতকে ইনক্লুসিভ রাজনীতির চেহারায় দেখতে চায়। সে ক্ষেত্রে জামায়াত হয়তো ভালো বার্তা দিতে পারে।
ইসলামপন্থি রাজনীতির এই উদারনৈতিক অবস্থান বিএনপির চিরাচরিত ভোটব্যাংকের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। এছাড়া ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের পুরোনো নীতি দলটি এখনো ধরে রেখেছে। অন্যদিকে বিএনপি এ ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় নীতি গ্রহণ করছে। মধ্যবামের কৌশল এ ক্ষেত্রে বিএনপির কণ্ঠ উচ্চকিত হতে দেবে না। স্বাভাবিকভাবে ভারতবিরোধী ভোটব্যাংক বিএনপি নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকবে। এর সুযোগ জামায়াত নেওয়ার চেষ্টা করবে।
তবে দীর্ঘ সময় বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা ভোটের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। বিএনপি ভোটারদের বার্তা দিতে পারবে, তারাই শুধু দেশ পরিচালনায় সক্ষম। অন্যদিকে জামায়াতের রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমলাতন্ত্র, গণমাধ্যম, অলিগার্ক ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের মধ্যে জামায়াতের রাজনৈতিক উত্থান নিয়ে ভয় ও শঙ্কা আছে। সেই শঙ্কা জামায়াতের নেতৃত্ব কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়, বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের দাবি করা ধর্মনিরপেক্ষ মধ্যবামের রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জামায়াত ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে উদার নৈতিক রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করেছে। নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সাফল্য নির্ভর করবে ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে হাজির করতে পারবে কি না—তার ওপর। যদি এনসিপি বাম প্রভাবিত রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিতি পায়, তাহলে এ দল সাধারণ মানুষকে ততটা আকৃষ্ট নাও করতে পারে। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর এই আদর্শগত পরিবর্তনের ভালো দিক হচ্ছে, আওয়ামী লীগবিহীন যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকাংশে পূরণ হয়েছে। তবে ভোটযুদ্ধে এই পরিবর্তনের কৌশলে কোন দল বেশি লাভবান হবে, তা দেখার জন্য আমাদের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক: সহযোগী সম্পাদক, আমার দেশ

