ডিজিটাল ইনোভেশন সামিটে ১৫ নির্বাচিত স্টার্ট-আপ প্রকল্প উপস্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ২১: ২৮

মেধা পাচারের বিকল্প হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীরা দেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। বিশেষ করে সর্বশেষ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এবং নানা দক্ষতায় অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপুল যুব সমাজকে মানব সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। আয় করা সম্ভব শত শত কোটি ডলার। সামিটে ১৫টি নির্বাচিত স্টার্ট-আপ প্রকল্প সরাসরি উপস্থাপন করা হয়।

শনিবার ঢাকায় এলথ্রিএডি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ইনোভেশন সামিটে বক্তারা এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মেধা পাচারের বিপরীতে ডিজিটাল উদ্ভাবনের গুরুত্ব শীর্ষক এ বছরের প্রতিপাদ্যে এ সামিটে দেশ বিদেশের প্রায় কয়েকশ ব্যবসায়ী, প্রধান নির্বাহী, প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করেন। সামিটে ১৫টি নির্বাচিত স্টার্ট আপ প্রকল্প সরাসরি উপস্থাপন করা হয়। যাতে প্রবাসী সাইবার সিকিউরিটি ও এআই, ফিনটেক, হেলথটেকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তাদের প্রদান করেন।

অন্যান্যের মাঝে সামিটের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিএসসিএল’র প্রধান নির্বাহী ইমাদুর রহমান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট’র মহাপরিচালক কমোডর (অব.) সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, এলথ্রিএডি’র প্রধান নির্বাহী আফনান আহমেদ চৌধুরী, বি ডাটা’র মহাপরিচালক ড. শোর ফুল ইসলাম, এসশিউর টেক’র হেড অব সাইবার সিটিউরিটি রুবাইয়াত  আখতার, ইভোটেক এসই’র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. সাদমান সাকিব, এন এইচ ইংল্যান্ড’র হেড অব বিআই মোহাম্মদ আবসার, টেকনোলজি ও ভেঞ্চার ‘র ডিরেক্টর নাসিকুল ইসলাম, শপআপ’র প্রধান নির্বাহী মো. জিয়াউল হক ভূঁইয়া, প্রাভা হেলথ’র প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মতিন ইমন, বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ওমর আল জাবির, রাইসুল কবির প্রমুখ।

এলথ্রিএডি’র প্রধান নির্বাহী আফনান আহমেদ চৌধুরী বলেন, এটি একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ যা প্রবাসী বাংলাদেশি প্রযুক্তি নেতাদের বাংলাদেশের ডিজিটাল স্টার্ট আপ ও ব্যবসা উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত করছে। এটি সফল ভাবে সম্পন্ন করেছে তার ফ্ল্যাগ শিপ ইভেন্ট লিড ডিজিটাল ইনোভেশন সামিট। তিনি বলেন, এ সামিটের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন দেশি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, যারা একটি সুসংগঠিত ও স্বচ্ছ ইনভেস্টমেন্ট পাইপলাইনের মাধ্যমে নির্বাচিত স্টার্ট আপে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এই সামিটে একাধিক ইনস্টিটিউশনাল পার্টনারশিপ গঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে রিসার্চ, ইনকিউবেশন ও স্কেল আপ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে। আগামীতে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করা হবে এলথ্রিএডি ইনোভেশন সেন্টার যেখানে আইডিয়া থেকে আইপিও পর্যন্ত স্টার্ট-আপদের ইনকিউবেট করা হবে। এছাড়া গ্লোবাল চ্যাপ্টারের মাধ্যমে উদ্ভাবন কেন্দ্রিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে লন্ডন, বোস্টন, টরেন্টো, সিঙ্গাপুর ও দুবাইতে।

সম্মেলনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল তিনটি প্যানেল ডিসকাশন, যেখানে আলোচনা হয় কিভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জ্ঞানের দ্বারা স্থানীয় সক্ষমতা গড়ে তোলা যায় এবং সফল স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের যাত্রা ও বিশ্ব বাজারে প্রবেশের পথ তৈরি করা যায়।

বিষয়:

আমার দেশ
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত