আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

ড. মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে রাবি পাঠকমেলা

স্বাধীন খন্দকার
ড. মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে রাবি পাঠকমেলা

কিছু মানুষ, কিছু মুহূর্ত এমনই, যা সাধারণ দিনকেও স্মরণীয় করে রাখে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আমার দেশ পাঠকমেলা শাখার সদস্যদের জন্য তেমনই এক দিন ছিল গত ১৬ জুলাই। সেদিন তাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের এক বলিষ্ঠ নাম, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক, মজলুমের কণ্ঠস্বর, ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের এক প্রতীক ড. মাহমুদুর রহমান।

সেদিন পাঠকমেলার সদস্যদের জন্য ছিল এক বিরল প্রাপ্তির মুহূর্ত। ড. মাহমুদুর রহমান শুধু উপস্থিত ছিলেন না, তিনি সরাসরি পাঠকমেলার সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন; শোনেন তাদের কথা, মতামত ও ভাবনা। কিছু সময় ধরে চলা এই ঘরোয়া আলোচনা যেন ছিল এক ধরনের চিন্তার উৎসব, যেখানে সত্য, ন্যায়, দেশপ্রেম ও সাহসিকতার কথা উঠে আসে বারবার।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. স্বাধীন খন্দকার। তিনি সংগঠনের গৃহীত পদক্ষেপ এবং আগামীর কার্যক্রম সম্পর্কে ড. মাহমুদুর রহমানকে অবহিত করেন। সদস্যদের আন্তরিকতা, আগ্রহ আর কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখে ড. মাহমুদুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তাদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠকমেলা শাখা যে নিষ্ঠা, সততা আর আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তিনি ভবিষ্যতে আরো পরিকল্পিত ও সুসংগঠিতভাবে কাজ করার জন্য দিকনির্দেশনাও দেন।

ব্যস্ত সময়ের মাঝেও তিনি যে আন্তরিকতার সঙ্গে তরুণদের সময় দিয়েছেন, সেটি সবাইকে অভিভূত করেছে। তিনি বলেন, যে জাতির তরুণেরা জাগ্রত, সে জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। আমাদের চিন্তা, মনন ও মেধার যথাযথ প্রয়োগেই সমাজ পরিবর্তন সম্ভব।

তিনি তরুণদের স্মরণ করিয়ে দেন, সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো কখনো সহজ নয়। সাহস, অধ্যবসায় ও নির্ভীক মনোভাব ছাড়া ন্যায়ের পথে থাকা যায় না। আজকের তরুণদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো চিন্তার স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং যুক্তি ও জ্ঞানের আলোকে নিজেদের গড়ে তোলা। বই পড়া, চিন্তাচর্চা আর নিজেদের নির্মাণই পারে জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের দরজা খুলে দিতে।

তার জীবনসংগ্রামের গল্পও উঠে আসে কথার মাঝে। কীভাবে তিনি প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও মাথা নত করেননি, কীভাবে আপসহীন থেকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করে গেছেন, সে গল্প যেন প্রত্যেক সদস্যের জন্য হয়ে ওঠে এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা।

উপস্থিত সদস্যরা শ্রদ্ধা আর আবেগ নিয়ে শুনেছেন তার প্রতিটি কথা। উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মো. স্বাধীন খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী রাজা ছাড়াও আরো অনেক কার্যকরী সদস্য।

সদস্যরা মনে করেন, এমন একজন মানুষের সাহচর্য, দিকনির্দেশনা ও আন্তরিকতা তাদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছে। শুধু একটি দিনের স্মৃতি নয়, বরং এই দিনের শিক্ষা, প্রেরণা ও ভালোবাসা তাদের পথচলার শক্তি হয়ে থাকবে।

আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিশ্বাস করে, এমন দিকনির্দেশনা পেলে পাঠচর্চা ছাড়াও সত্য, ন্যায় ও স্বাধীন চিন্তার এক বলিষ্ঠ প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে। নতুন প্রজন্মের চিন্তা, যুক্তি আর দেশপ্রেমের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে এক আলোকিত ভবিষ্যৎ।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

ব্যারিস্টার ফুয়াদকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের নিন্দা

এটিইউ প্রধানের সঙ্গে এফবিআই প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নতুন বাইজেন্টাইন: অস্থির বিশ্বের প্রেক্ষাপটে গ্রিস ও মধ্যপ্রাচ্যের সম্পর্ক

ব্যাংকে কোটিপতিদের অ্যাকাউন্ট ১ লাখ ২৮ হাজার

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে অসন্তোষের জেরে ঢাকায় মানববন্ধন

এলাকার খবর
খুঁজুন