মীর তারেক
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। মেলায় ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ পাঠক থেকে শুরু করে সবার মধ্যে বই নিয়ে বিশেষ উচ্ছ্বাস।
নতুন বই উল্টেপাল্টে দেখছে ছোট শিশুরাও। বইমেলায় সবচেয়ে প্রাণচঞ্চল স্টল লিটলম্যাগ কর্নার। লিটলম্যাগ কর্নারে প্রায় শতাধিক পত্রিকা জায়গা পেয়েছে, যেখানে চর্চা হচ্ছে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস। তাছাড়া বইমেলায় এবার নতুন করে জায়গা পেয়েছে শিশু কর্নার ও ফিমেল কর্নার।
পাঠকমেলার সদস্যরা প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন। এ সময় আলোচনায় বিশেষভাবে উঠে আসে কবি ও দার্শনিক মুসা আল হাফিজের বই ‘বাংলাদেশ ও ইসলাম: আত্মপরিচয়ের ডিসকোর্স’। বইটি ঘিরে সদস্যরা বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়, সাংস্কৃতিক চেতনা এবং মূল্যবোধ রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে মতবিনিময় করেন।
পাঠকমেলার সিনিয়র সদস্য ইয়াহিয়া জিসান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমে আমরা দেখেছি ইসলামি বইমেলায় নানা ধরনের বাধাবিপত্তি হয়েছে। সব ধরনের পাবলিকেশনকে অনুমতি দেওয়া হতো না। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বইমেলা হচ্ছে। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক। প্রত্যাশা করি, এই বছরের মতো আগামী বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
আমরা সরেজমিনে বইমেলা ঘুরলাম, আমাদের মনে হলো সর্বস্তরের লোক ও সর্বশ্রেণির লোকজন এখানে আছেন এবং আনন্দের সঙ্গে বই কিনছেন। এ যাত্রা অব্যাহত থাকলে বই পড়ায় বিপ্লব হতে পারে, বিশেষ করে ইসলামি বই পড়ার বিপ্লব এবং এর মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ভাবছি, সেই জায়গাটি আরো বেশি শক্তিশালী হবে।’
লেখক ও গদ্যশিল্পী মুজিব হাসান বলেন, ‘এবারের ইসলামি বইমেলা নানা কারণে বৈচিত্র্যপূর্ণ।’ তিনি লিটলম্যাগ কর্নার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তরুণদের এমন সাহিত্যচর্চা নতুন দিনের সম্ভাবনা। শিশুকর্নার ও ফিমেল কর্নার নিয়েও তিনি মেলা কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন।
পাঠকমেলার সাধারণ সম্পাদক রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামি জ্ঞানচর্চার ধারাকে আরো বেশি বেগবান করার এই আয়োজন সত্যিই ভীষণ ভালো লাগার। আমরা আশা করি, এসব উৎসবমুখর আয়োজনের কারণে তরুণরা জ্ঞানচর্চায় আগ্রহ বোধ করবে এবং বুদ্ধিভিত্তিক কাজে এগিয়ে আসবে। আমি বইমেলার সর্বাত্মক সফলতা কামনা করছি।’
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান শিহাব বলেন, ‘ইসলামি বইমেলা কেবল বই বিক্রির পাশাপাশি সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও আত্মশুদ্ধির মিলনমেলা। এটি নৈতিক চেতনায় সমৃদ্ধ পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করেছে, যা আমাদের সমাজকে ইতিবাচক পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।’ পরিদর্শন শেষে তাদের মধ্যে আলোচনা হয় পাঠকমেলার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পাঠকমেলার সিনিয়র সদস্য ইয়াহিয়া জিসান, সাধারণ সম্পাদক রাহাতুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মীর তারেক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান শিহাব, সমাজসেবা সম্পাদক কামরুজ্জামান, মাদরাসাবিষয়ক সম্পাদক ইমাম হাসান ও অন্যান্য সদস্য।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বইপ্রেমী মানুষের আগমনে মুখর বইমেলা পরিদর্শনে যান আমার দেশ পাঠকমেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। মেলায় ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ পাঠক থেকে শুরু করে সবার মধ্যে বই নিয়ে বিশেষ উচ্ছ্বাস।
নতুন বই উল্টেপাল্টে দেখছে ছোট শিশুরাও। বইমেলায় সবচেয়ে প্রাণচঞ্চল স্টল লিটলম্যাগ কর্নার। লিটলম্যাগ কর্নারে প্রায় শতাধিক পত্রিকা জায়গা পেয়েছে, যেখানে চর্চা হচ্ছে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস। তাছাড়া বইমেলায় এবার নতুন করে জায়গা পেয়েছে শিশু কর্নার ও ফিমেল কর্নার।
পাঠকমেলার সদস্যরা প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন। এ সময় আলোচনায় বিশেষভাবে উঠে আসে কবি ও দার্শনিক মুসা আল হাফিজের বই ‘বাংলাদেশ ও ইসলাম: আত্মপরিচয়ের ডিসকোর্স’। বইটি ঘিরে সদস্যরা বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়, সাংস্কৃতিক চেতনা এবং মূল্যবোধ রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে মতবিনিময় করেন।
পাঠকমেলার সিনিয়র সদস্য ইয়াহিয়া জিসান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমে আমরা দেখেছি ইসলামি বইমেলায় নানা ধরনের বাধাবিপত্তি হয়েছে। সব ধরনের পাবলিকেশনকে অনুমতি দেওয়া হতো না। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বইমেলা হচ্ছে। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক। প্রত্যাশা করি, এই বছরের মতো আগামী বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
আমরা সরেজমিনে বইমেলা ঘুরলাম, আমাদের মনে হলো সর্বস্তরের লোক ও সর্বশ্রেণির লোকজন এখানে আছেন এবং আনন্দের সঙ্গে বই কিনছেন। এ যাত্রা অব্যাহত থাকলে বই পড়ায় বিপ্লব হতে পারে, বিশেষ করে ইসলামি বই পড়ার বিপ্লব এবং এর মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ভাবছি, সেই জায়গাটি আরো বেশি শক্তিশালী হবে।’
লেখক ও গদ্যশিল্পী মুজিব হাসান বলেন, ‘এবারের ইসলামি বইমেলা নানা কারণে বৈচিত্র্যপূর্ণ।’ তিনি লিটলম্যাগ কর্নার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তরুণদের এমন সাহিত্যচর্চা নতুন দিনের সম্ভাবনা। শিশুকর্নার ও ফিমেল কর্নার নিয়েও তিনি মেলা কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন।
পাঠকমেলার সাধারণ সম্পাদক রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামি জ্ঞানচর্চার ধারাকে আরো বেশি বেগবান করার এই আয়োজন সত্যিই ভীষণ ভালো লাগার। আমরা আশা করি, এসব উৎসবমুখর আয়োজনের কারণে তরুণরা জ্ঞানচর্চায় আগ্রহ বোধ করবে এবং বুদ্ধিভিত্তিক কাজে এগিয়ে আসবে। আমি বইমেলার সর্বাত্মক সফলতা কামনা করছি।’
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান শিহাব বলেন, ‘ইসলামি বইমেলা কেবল বই বিক্রির পাশাপাশি সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও আত্মশুদ্ধির মিলনমেলা। এটি নৈতিক চেতনায় সমৃদ্ধ পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করেছে, যা আমাদের সমাজকে ইতিবাচক পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।’ পরিদর্শন শেষে তাদের মধ্যে আলোচনা হয় পাঠকমেলার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পাঠকমেলার সিনিয়র সদস্য ইয়াহিয়া জিসান, সাধারণ সম্পাদক রাহাতুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মীর তারেক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান শিহাব, সমাজসেবা সম্পাদক কামরুজ্জামান, মাদরাসাবিষয়ক সম্পাদক ইমাম হাসান ও অন্যান্য সদস্য।
‘সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের চর্চায় তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা’ এই বিশ্বাসে আমার দেশ পাঠকমেলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কার্যনির্বাহী সদস্যদের আলোচনা ও রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক মতবিনিময় সভা।
৫ দিন আগেবন্দর ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পাঠচক্রে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রভাব’। এই পাঠচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেন।
১২ দিন আগেআন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১৯ দিন আগেসুশৃঙ্খল সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মানে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই হচ্ছে জ্ঞানের আধার। বই পড়ার মধ্য দিয়ে জ্ঞানসমৃদ্ধ মানুষ গড়া সম্ভব। জ্ঞানসমৃদ্ধ মানুষ দ্বারাই সমৃদ্ধ সমাজ নির্মিত হয়। তাই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পাঠচক্র অত্যন্ত জরুরি।
১৯ দিন আগে