স্টাফ রিপোর্টার
গণঅভ্যুত্থানের ৮ মাসেও গণহত্যার বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার জুলাই-আগষ্টের গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে মোহাম্মদপুরে বসিলা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নূর বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ও আধিপত্য কায়েমে ব্যস্ত হয়ে গেছে। নিজেদের সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যে কারণে অভ্যুত্থানের ৮ মাস পাড় হলেও নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, গুলি চালিয়েছে। তাদের বিচার করা সম্ভব হয় নেই।
তিনি বলেন, প্রশাসন আগের মতো দলবাজি শুরু করছে। ২/১ টি দলের সাথে সখ্য গড়ে তাদের কাজ চালাতে চাচ্ছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- যারা দলবাজি করবে তাদের পরিণতি হারুন-বেনজিরদের মতো হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, সড়ক-পরিবহণ, কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এলাকায় এখনও চাঁদাবাজি-দখলবাজি চলছে। কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের রাজনৈতিক নেতারা শেল্টার দিচ্ছে, জনগণ এগুলো পছন্দ করছে না। এদের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম, অধিকার আদায়ে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক-শ্রমিক জীবন দেয় আর সুযোগ-সুবিধা ভোগ ভাঁওতাবাজ ও ভণ্ড নেতারা, উপর তলার কিছু লোকেরা।
তিনি বলেন, তাই বর্তমানে সাধারণ নেতৃত্ব এগিয়ে আসতে হবে। স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের সংস্কার করে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। ফ্যাসিবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ ঘরে ফিরবে না। ফ্যাসিবাদ নির্মূলে আজ থেকে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক দলসমূহকে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানাই। জুলাইয়ের বীর-জনতাকে আরেকটু ধাক্কা দিয়ে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে চিরতের উৎখাত করতে জুলাই আন্দোলনের সকল অংশীজনকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাই।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতের সুচিকিৎসা ও ক্ষতি পূরণ নিয়েও রাজনীতি চলছে যা মোটেও কাম্য নয়। বর্তমানে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলে দেশের সংস্কার প্রয়োজন বলেই সরকারের বিরুদ্ধে গণ অধিকার পরিষদ কোন জোড়ালো বক্তব্য দেয় নাই। তবে আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতি গ্রস্থদের ক্ষতি পূরণ না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো রাষ্ট্র পরিচালনা করলে তা মেনে নেয়া হবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছেন, যারা ফ্যাসিবাদ হটাতে সক্রিয় ছিলেন, আগামী বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে তাদেরকে প্রস্তুত হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে ঢাকা-১৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন নুরুল হক।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগর উত্তরে সহ সভাপতি রকিবুল হাসান রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, যুগ্মসাধারণ মো. ইমরান প্রমুখ।
গণঅভ্যুত্থানের ৮ মাসেও গণহত্যার বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার জুলাই-আগষ্টের গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে মোহাম্মদপুরে বসিলা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নূর বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ও আধিপত্য কায়েমে ব্যস্ত হয়ে গেছে। নিজেদের সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যে কারণে অভ্যুত্থানের ৮ মাস পাড় হলেও নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, গুলি চালিয়েছে। তাদের বিচার করা সম্ভব হয় নেই।
তিনি বলেন, প্রশাসন আগের মতো দলবাজি শুরু করছে। ২/১ টি দলের সাথে সখ্য গড়ে তাদের কাজ চালাতে চাচ্ছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- যারা দলবাজি করবে তাদের পরিণতি হারুন-বেনজিরদের মতো হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, সড়ক-পরিবহণ, কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এলাকায় এখনও চাঁদাবাজি-দখলবাজি চলছে। কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের রাজনৈতিক নেতারা শেল্টার দিচ্ছে, জনগণ এগুলো পছন্দ করছে না। এদের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম, অধিকার আদায়ে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক-শ্রমিক জীবন দেয় আর সুযোগ-সুবিধা ভোগ ভাঁওতাবাজ ও ভণ্ড নেতারা, উপর তলার কিছু লোকেরা।
তিনি বলেন, তাই বর্তমানে সাধারণ নেতৃত্ব এগিয়ে আসতে হবে। স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের সংস্কার করে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। ফ্যাসিবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ ঘরে ফিরবে না। ফ্যাসিবাদ নির্মূলে আজ থেকে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক দলসমূহকে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানাই। জুলাইয়ের বীর-জনতাকে আরেকটু ধাক্কা দিয়ে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে চিরতের উৎখাত করতে জুলাই আন্দোলনের সকল অংশীজনকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাই।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতের সুচিকিৎসা ও ক্ষতি পূরণ নিয়েও রাজনীতি চলছে যা মোটেও কাম্য নয়। বর্তমানে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলে দেশের সংস্কার প্রয়োজন বলেই সরকারের বিরুদ্ধে গণ অধিকার পরিষদ কোন জোড়ালো বক্তব্য দেয় নাই। তবে আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতি গ্রস্থদের ক্ষতি পূরণ না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো রাষ্ট্র পরিচালনা করলে তা মেনে নেয়া হবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছেন, যারা ফ্যাসিবাদ হটাতে সক্রিয় ছিলেন, আগামী বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে তাদেরকে প্রস্তুত হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে ঢাকা-১৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন নুরুল হক।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগর উত্তরে সহ সভাপতি রকিবুল হাসান রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, যুগ্মসাধারণ মো. ইমরান প্রমুখ।
নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
৩৬ মিনিট আগেএর আগে বিকেল ৫টার দিকে তারা যমুনায় পৌঁছান। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই সনদ মোটাদাগে সবাই মেনে নিয়েছে। এতে থাকা প্রতিশ্রুতিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে