বিশেষ প্রতিনিধি
বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের একটি বিজ্ঞাপন প্রচারের পর একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ইউনাইটেড কার্ডিয়াক সেন্টারের বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ হয় গত সোমবার। এতে দেখা যায়, কার্ডিয়াক সেন্টারের প্রধান পরামর্শক ও পরিচালক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমেদ। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে গত বছরের ৫ আগস্টের আগে আলোচনায় এসেছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে এক পোস্টে ডা. মহসীন দাবি করেন, দেশের শান্তির স্বার্থে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত। তার এ বক্তব্য সে সময় রাজনৈতিক আলোচনা সৃষ্টি করে।
ওই চিকিৎসক তার পোস্টে লিখেন— ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরলস চেষ্টায় দেশের এত উন্নয়নের পরও সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কতটা দুর্বল তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। হাইব্রিডে ভরে গেছে সরকারি দল। এর প্রধানতম কারণ দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। ছায়া সরকার হিসেবে বিএনপিকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হলে তারেক জিয়াকে মাইনাস করে দেশপ্রেমিক নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের উন্নয়নে সরকারি ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশে এ রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি কখনো আসবে? বিরোধী দলকে বুঝতে হবে ২১ আগস্ট কিংবা ১৯ জুলাইয়ের মতো হত্যা ও ধ্বংসের রাজনীতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা যায় না, এতে শুধু দেশের মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনে।’
তার এ ফেসবুক পোস্টটি গত বছর জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ২৭ জুলাই রাত ৮টা ১৫ মিনিটে দেওয়া হয়।
এর আগে ১৮ জুলাই তিনি আরেকটি পোস্টে লিখেন—‘অভিভাবকদের অনুরোধ করছি আপনাদের রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আর কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করবেন না। আর কত মৃত্যু হলে খুশি হবেন? আর একটা মৃত্যুও কাম্য নয়। সরাসরি বলছি, আপনারা সরকার পতনের আন্দোলন চাইছেন। কোনো হিপোক্রেসি করে শিশু-কিশোর-যুবকদের ব্যবহার করছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার মেনে নিয়েছেন, ছাত্রদের দাবি আস্তে আস্তে সব মেনে নেবেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। দয়া করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার করে ছাত্রছাত্রীদের উত্তেজিত করবেন না। এতে দেশ, দশের, আপনার ও আমার অপূরণীয় ক্ষতি ছাড়া আর কোনো লাভ হবে না।’
তারেক রহমানের বিচার চাওয়া প্রসঙ্গে জানতে ডা. মহসীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রফেশনাল মানুষ। আমি ছাত্র পড়াই ও রোগী দেখি। আমি চক্রান্তের শিকার। আমার ২৭ বছরের চাকরিজীবনে আমি পড়াশোনা ও শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলাম। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আমার সম্পর্কে জানতে হলে আমার শিক্ষক ও সহকর্মী অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্যারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
তখন তার কাছে অধ্যাপক ওয়াদুদের নম্বর চাইলে তিনি বলেন, আমার ফেসবুক অথবা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে এ ধরনের পোস্ট আমি দিইনি। একজন আমার পেছনে লেগেছে, ব্যক্তিগত কারণে।
তবে আমার দেশ তথ্য বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় পরীক্ষা করে দেখেছে, বিতর্কিত পোস্টগুলো ডা. মহসীন আহমেদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকেই প্রকাশিত হয়েছিল।
বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের একটি বিজ্ঞাপন প্রচারের পর একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ইউনাইটেড কার্ডিয়াক সেন্টারের বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ হয় গত সোমবার। এতে দেখা যায়, কার্ডিয়াক সেন্টারের প্রধান পরামর্শক ও পরিচালক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমেদ। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে গত বছরের ৫ আগস্টের আগে আলোচনায় এসেছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে এক পোস্টে ডা. মহসীন দাবি করেন, দেশের শান্তির স্বার্থে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত। তার এ বক্তব্য সে সময় রাজনৈতিক আলোচনা সৃষ্টি করে।
ওই চিকিৎসক তার পোস্টে লিখেন— ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরলস চেষ্টায় দেশের এত উন্নয়নের পরও সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কতটা দুর্বল তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। হাইব্রিডে ভরে গেছে সরকারি দল। এর প্রধানতম কারণ দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। ছায়া সরকার হিসেবে বিএনপিকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হলে তারেক জিয়াকে মাইনাস করে দেশপ্রেমিক নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের উন্নয়নে সরকারি ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশে এ রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি কখনো আসবে? বিরোধী দলকে বুঝতে হবে ২১ আগস্ট কিংবা ১৯ জুলাইয়ের মতো হত্যা ও ধ্বংসের রাজনীতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা যায় না, এতে শুধু দেশের মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনে।’
তার এ ফেসবুক পোস্টটি গত বছর জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ২৭ জুলাই রাত ৮টা ১৫ মিনিটে দেওয়া হয়।
এর আগে ১৮ জুলাই তিনি আরেকটি পোস্টে লিখেন—‘অভিভাবকদের অনুরোধ করছি আপনাদের রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আর কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করবেন না। আর কত মৃত্যু হলে খুশি হবেন? আর একটা মৃত্যুও কাম্য নয়। সরাসরি বলছি, আপনারা সরকার পতনের আন্দোলন চাইছেন। কোনো হিপোক্রেসি করে শিশু-কিশোর-যুবকদের ব্যবহার করছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার মেনে নিয়েছেন, ছাত্রদের দাবি আস্তে আস্তে সব মেনে নেবেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। দয়া করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার করে ছাত্রছাত্রীদের উত্তেজিত করবেন না। এতে দেশ, দশের, আপনার ও আমার অপূরণীয় ক্ষতি ছাড়া আর কোনো লাভ হবে না।’
তারেক রহমানের বিচার চাওয়া প্রসঙ্গে জানতে ডা. মহসীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রফেশনাল মানুষ। আমি ছাত্র পড়াই ও রোগী দেখি। আমি চক্রান্তের শিকার। আমার ২৭ বছরের চাকরিজীবনে আমি পড়াশোনা ও শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলাম। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আমার সম্পর্কে জানতে হলে আমার শিক্ষক ও সহকর্মী অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্যারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
তখন তার কাছে অধ্যাপক ওয়াদুদের নম্বর চাইলে তিনি বলেন, আমার ফেসবুক অথবা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে এ ধরনের পোস্ট আমি দিইনি। একজন আমার পেছনে লেগেছে, ব্যক্তিগত কারণে।
তবে আমার দেশ তথ্য বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় পরীক্ষা করে দেখেছে, বিতর্কিত পোস্টগুলো ডা. মহসীন আহমেদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকেই প্রকাশিত হয়েছিল।
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেসৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটি আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটি সংবিধান নয়, একটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট যেটা কোনো সরকার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে।
৩ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, “বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে প্রশাসন, এসপি-ডিসি এগুলো ভাগ বাটোয়ারা করছে এবং নির্বাচনে জন্য তারা যে তালিকা করছে, সরকারকে সেগুলো দিচ্ছে এবং উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেও সেই দলগুলোর সাথে সেভাবে সহায়তা করছে”।
৩ ঘণ্টা আগেরাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
৩ ঘণ্টা আগে