স্টাফ রিপোর্টার
পুষ্টি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আয়োজিত সম্মেলনে উঠে আসা সর্বোত্তম আলোচনা, যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত প্রক্রিয়া বাছাই করে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির কাছে ১০ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবনাসমূহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের নিকট পাঠানো হয়। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী পুষ্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১০ দফা সুপারিশগুলো হচ্ছে-
১. সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে মূল স্বাস্থ্যব্যবস্থার সাথে পুষ্টি ব্যবস্থাকে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে এই বিষয়ের অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবল নিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করে একজন পরিচালক নিয়োগ করে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।
২. জনসাধারণকে স্বাস্থ্যকর খাবার, সঠিক ক্যালোরি পরিমাপ, জাঙ্ক ফুডের প্রভাব এবং খাদ্য ও রোগের মধ্যে জটিল সম্পর্ক সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানের জন্য সকল পক্ষের সমন্বয়ে একটা দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকরী উদ্য়োগ নেয়া। এ ধরনের পুষ্টি কর্মসূচিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা/সরকার দ্বারা অর্থায়ন করা যেতে পারে।
৩. পুষ্টির সঙ্গে জড়িত বর্তমান ও ভবিষ্যতে উদীয়মান পুষ্টিবিজ্ঞানী, পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য-পুষ্টি শিক্ষাবিদদের জন্য আধুনিক পুষ্টির হালনাগাদ ও সমন্বিত জ্ঞান, পুষ্টি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং স্থানীয় খাদ্য-পুষ্টি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশের পুষ্টি খাতকে আরও প্রাণবন্ত করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের স্নাতক পর্যায়ে পুষ্টি পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে হবে।
৪. পুষ্টিবিদদের পেশাদার মান বৃদ্ধি ও দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য মানসম্মত শিক্ষা, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, এবং নৈতিক অনুশীলনের ব্যবস্থা করে সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান (জাতীয় লাইসেন্সিং এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা) এর মাধ্যমে নিবন্ধনের/ স্বীকৃতির দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, শুধুমাত্র যোগ্য/ স্বীকৃত ব্যক্তিরাই যেন পুষ্টি পরিষেবা প্রদান করেন এবং সকল পরিষেবার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
৫. পুষ্টিবিজ্ঞানী, পুষ্টিবিদ ও পুষ্টি শিক্ষাবিদদের জন্য পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি কাঠামোগত কর্মজীবনের পথ বা ধাপ দৃশ্যমান করতে হবে।
৬. স্বাস্থ্যকর খাবার ও জাঙ্ক ফুড সংস্কৃতির বিস্তার রোধে শিশুকাল থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং খাদ্য বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এজন্য স্কুল পাঠ্যক্রমে বয়স অনুযায়ী পুষ্টি বিষয়ক লেখা/প্রবন্ধ/গল্প অন্তর্ভুক্ত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকল শিশুকে দৈনিক একবার হলেও সঠিক পুষ্টিমানের আদর্শ খাদ্য সরবরাহ করা ও সুপরিকল্পিত উপায়ে জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপনের ব্যাপকতা নিয়ন্ত্রণ করা।
৭. প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, জেলা হাসপাতালে এবং সম্ভব হলে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুষ্টিবিদ/স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদদের পদ সৃষ্টির জন্য সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কম ওজনের/অতি ওজনের/স্থূল ব্যক্তিদের এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে পুষ্টিবিদের কাছে রেফার করার জন্য চিকিৎসকগণকে উৎসাহিত করা।
৮. বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টির অবস্থা সম্পর্কে একটি নিজস্ব ও গ্রহণযোগ্য তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা, যাতে মহামারি সংক্রান্ত তথ্য অন্বেষণ করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য বৈজ্ঞানিক নকশার উপর ভিত্তি করে যথাযথ গবেষণা করা যায়। এবং গবেষণালব্দ ফলাফল দ্বারা কৌশলগত নীতি গ্রহণ করা যায়।
৯. সাধারণ খাদ্য আউটলেটে প্রতিটি খাদ্য আইটেমের ক্যালোরি মান এবং অন্যান্য পুষ্টির তথ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। খাদ্য বিপণন প্রবিধানের মাধ্যমে বৈচিত্র্যময়, স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্পগুলিকে প্রচার করা, পুষ্টি-সংবেদনশীল সামাজিক নিরাপত্তা পদ্ধতি প্রয়োগ করা এবং স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষা জুড়ে আন্তঃক্ষেত্রীয় সমন্বয় জোড়দার করা।
১০. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত প্রস্তাবনাগুলোর ভিত্তিতে গৃহীত নানা কর্মসূচি নিরীক্ষণ এবং পরিমাপ করার জন্য একটি পুষ্টি তত্ত্বাবধান সংস্থা স্থাপন করে কার্যকর তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা।
পুষ্টি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আয়োজিত সম্মেলনে উঠে আসা সর্বোত্তম আলোচনা, যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত প্রক্রিয়া বাছাই করে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির কাছে ১০ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবনাসমূহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের নিকট পাঠানো হয়। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী পুষ্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১০ দফা সুপারিশগুলো হচ্ছে-
১. সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে মূল স্বাস্থ্যব্যবস্থার সাথে পুষ্টি ব্যবস্থাকে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে এই বিষয়ের অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবল নিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করে একজন পরিচালক নিয়োগ করে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।
২. জনসাধারণকে স্বাস্থ্যকর খাবার, সঠিক ক্যালোরি পরিমাপ, জাঙ্ক ফুডের প্রভাব এবং খাদ্য ও রোগের মধ্যে জটিল সম্পর্ক সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানের জন্য সকল পক্ষের সমন্বয়ে একটা দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকরী উদ্য়োগ নেয়া। এ ধরনের পুষ্টি কর্মসূচিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা/সরকার দ্বারা অর্থায়ন করা যেতে পারে।
৩. পুষ্টির সঙ্গে জড়িত বর্তমান ও ভবিষ্যতে উদীয়মান পুষ্টিবিজ্ঞানী, পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য-পুষ্টি শিক্ষাবিদদের জন্য আধুনিক পুষ্টির হালনাগাদ ও সমন্বিত জ্ঞান, পুষ্টি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং স্থানীয় খাদ্য-পুষ্টি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশের পুষ্টি খাতকে আরও প্রাণবন্ত করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের স্নাতক পর্যায়ে পুষ্টি পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে হবে।
৪. পুষ্টিবিদদের পেশাদার মান বৃদ্ধি ও দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য মানসম্মত শিক্ষা, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, এবং নৈতিক অনুশীলনের ব্যবস্থা করে সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান (জাতীয় লাইসেন্সিং এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা) এর মাধ্যমে নিবন্ধনের/ স্বীকৃতির দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, শুধুমাত্র যোগ্য/ স্বীকৃত ব্যক্তিরাই যেন পুষ্টি পরিষেবা প্রদান করেন এবং সকল পরিষেবার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
৫. পুষ্টিবিজ্ঞানী, পুষ্টিবিদ ও পুষ্টি শিক্ষাবিদদের জন্য পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি কাঠামোগত কর্মজীবনের পথ বা ধাপ দৃশ্যমান করতে হবে।
৬. স্বাস্থ্যকর খাবার ও জাঙ্ক ফুড সংস্কৃতির বিস্তার রোধে শিশুকাল থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং খাদ্য বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এজন্য স্কুল পাঠ্যক্রমে বয়স অনুযায়ী পুষ্টি বিষয়ক লেখা/প্রবন্ধ/গল্প অন্তর্ভুক্ত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকল শিশুকে দৈনিক একবার হলেও সঠিক পুষ্টিমানের আদর্শ খাদ্য সরবরাহ করা ও সুপরিকল্পিত উপায়ে জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপনের ব্যাপকতা নিয়ন্ত্রণ করা।
৭. প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, জেলা হাসপাতালে এবং সম্ভব হলে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুষ্টিবিদ/স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদদের পদ সৃষ্টির জন্য সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কম ওজনের/অতি ওজনের/স্থূল ব্যক্তিদের এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে পুষ্টিবিদের কাছে রেফার করার জন্য চিকিৎসকগণকে উৎসাহিত করা।
৮. বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টির অবস্থা সম্পর্কে একটি নিজস্ব ও গ্রহণযোগ্য তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা, যাতে মহামারি সংক্রান্ত তথ্য অন্বেষণ করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য বৈজ্ঞানিক নকশার উপর ভিত্তি করে যথাযথ গবেষণা করা যায়। এবং গবেষণালব্দ ফলাফল দ্বারা কৌশলগত নীতি গ্রহণ করা যায়।
৯. সাধারণ খাদ্য আউটলেটে প্রতিটি খাদ্য আইটেমের ক্যালোরি মান এবং অন্যান্য পুষ্টির তথ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। খাদ্য বিপণন প্রবিধানের মাধ্যমে বৈচিত্র্যময়, স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্পগুলিকে প্রচার করা, পুষ্টি-সংবেদনশীল সামাজিক নিরাপত্তা পদ্ধতি প্রয়োগ করা এবং স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষা জুড়ে আন্তঃক্ষেত্রীয় সমন্বয় জোড়দার করা।
১০. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত প্রস্তাবনাগুলোর ভিত্তিতে গৃহীত নানা কর্মসূচি নিরীক্ষণ এবং পরিমাপ করার জন্য একটি পুষ্টি তত্ত্বাবধান সংস্থা স্থাপন করে কার্যকর তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা।
রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
৯ মিনিট আগেইসলামী আন্দোলন নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দল। বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪০ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের মধ্যে যেগুলো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সেগুলো আগে পাস করে পরে নির্বাচন দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি রূপ দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া, মাঠ পর্যায়ের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে