জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জনগণকে অন্ধকারে রেখে কিছুই করবো না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্পষ্ট আলোয় এনে আমরা এ সমাজকে পরিবর্তন করতে চাই, সাজাতে চাই। তবে আমাদের কথা স্পষ্ট-পচা এ সমাজ আর চলবে না, এটা বদলাতেই হবে। আমরা এটা বদলাতে চাই, পরিবর্তন করতে চাই।
তিনি যুবকদের প্রত্যাশা পূরণ, দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো এবং দরদি, মানবিক ও ইনসাফের সমাজ গড়ার জন্য দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো সিদ্ধান্তের আগে অবশ্যই অংশীজনদের বাস্তবধর্মী মতামত আমলে নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই সেটা বাস্তবায়ন করবো ইনশাল্লাহ।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রোকেয়া সরণিতে মেহফিল কনভেনশন হলে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা ১৫ আসনের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মহানগর জামায়াত সহ চিকিৎখাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় জামায়াত আমির বলেছেন, আল্লাহ আমাদেরকে বিপুল জনসম্পদ দান করেছেন। সত্যিকার অর্থে মানব সন্তানকে সম্পদে পরিণত করতে হলে দুটি জিনিস লাগবেই। একটি হলো সুস্বাস্থ্য বা সুচিকিৎসা, আরেকটি হলো সুশিক্ষা। কুড়ে ঘর বা প্রাসাদের বাসিন্দা হলে সমস্যা নেই, কিন্তু সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা লাগবেই।
তিনি বলেন, রাসুলের (সা.) সহীহ হাদীসে আছে, আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে শক্তিশালী মুমিন অনেক প্রিয়। এতে ঈমানি ও শারীরিক শক্তি বোঝানো হয়েছে। ঈমানি শক্তি থাকলেও শারীরিক শক্তি ছাড়া কোন কাজ করা যাবে না। এজন্য সুস্থতা অনেক বড় নেয়ামত। সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়।
জামায়াত আমির বলেন, একসময় ওষুধ আমদানি করা লাগলেও এখন অনেক দেশে রপ্তানি হয়। রপ্তানি খাতে বিশেষ অবদান রাখছে ওষুধ খাত।
তিনি বলেন, একটি সমাজের সুস্থ বিকাশের জন্য চিকিৎসা সেবা লাগবে। শারীরিক চিকিৎসায় চিকিৎসকরা জড়িত আর মানসিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকার সহ অনেকে জড়িত। দায়বোধ সম্পন্ন দায়িত্ব পালন করলে সমাজ সুস্থ হয়, সমাজকে সামনে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, চিকিৎসা পেশায় হালাল উপায়ে সমাজে সম্মানের সঙ্গে বসবাসের অনেক সুযোগ আছে, যা অন্য পেশায় নেই। তারপরও ওষুধ কোম্পানি থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়া লাগে কেন? কেউ কোম্পানির সুবিধা নিলেতো ভাল-মন্দ বিচারে অন্ধ হয়ে তার পক্ষে কাজ করতে থাকবে। এভাবে অন্যায়-অবিচার ও বড় দুর্নীতি করা হচ্ছে। এজন্য প্রকাশ্যে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ঘোষণা হলো-আমরা এসব অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, এটা দূর না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবো, থামবো না ইনশাআল্লাহ। যারা অনিয়মে জড়িত তাদের চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ আল্লাহ হালাল পথে রুজির পথ প্রশস্ত করে দিলে মানসিক প্রশান্তিতে ও সম্মান নিয়ে থাকবেন। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের জঘন্য সমাজ আল্লাহর বিধান এবং রসুলের (সা.) বরকতময় হাতে আমূল পরিবর্তন হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

