তরুণদের নিয়ে কী রিপোর্ট গেল তারেক রহমানের কাছে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৩৭

আগামী নির্বাচনে তরুণদের বেশি সংখ্যায় প্রার্থী করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে বিএনপি। ঢাকা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের কাছে তরুণদের বেশি সংখ্যায় প্রার্থী করার বার্তা পাঠানো হয়েছে।

দলের দায়িত্বশীল একজন নেতা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢাকার বার্তায় বলা হয়েছে, ৪৫ বছরের পুরোনো দল হিসেবে বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় বিএনপির অনেক সাবেক এমপি রয়েছেন। তারা এবারও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। যদিও তাদের অনেকের বয়স ৭০ কিংবা তারও বেশি। এমনকি কারও বয়স আশিও পেরিয়ে গেছে। এলাকায় তারা সম্মানিত ব্যক্তি। তবে এবার নির্বাচনের প্রেক্ষাপটটি ভিন্ন। ২০০৮ সালের পর গত ১৭ বছরে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে দেশের বেশিরভাগ মানুষ ভোট দেননি। ২০০৮ সালের যার বয়স ১৮ এর কম ছিল, তিনি এখন ৩৫ বছরের টগবগে তরুণ। তারা এবার প্রথম ভোট দেবেন। সুতরাং তারা কাকে পছন্দ করবেন সেটা পরীক্ষিত নয়। বাংলাদেশে ভোটারদের প্রায় ৬০ শতাংশ তরুণ ।

বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপে (এমনকি বিএনপির উদ্যোগে পরিচালিতসহ) দেখা গেছে একটি বড় সংখ্যক, প্রায় ২৫ শতাংশ ভোটার এখনও সিদ্ধান্ত নেননি, তারা কোন দলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এই ২৫ শতাংশের বড় অংশই তরুণ। সে বিবেচনায় এবার তরুণ ভোটাররা একটি ফ্যাক্টর হবে। তরুণরা তরুণ প্রার্থীদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার বড় যুক্তিও রয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণরা নেতৃত্ব দিয়েছে। আবার সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তরুণরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। সারা দেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে যাওয়া তরুণরা ছিল এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটার। সেখানেও দেখে গেছে তরুণদের মাঝে বিএনপি সমর্থিত ছাত্রদল সুবিধা করতে পারেনি। তারা পিছিয়ে আছে।

এসব নানা বিষয় বিবেচনা করে ঢাকা থেকে তারেক রহমানের কাছে বার্তা গেছে তিনি যেন প্রার্থী চুড়ান্ত করার ক্ষেত্রে তরুণ ও ত্যাগী এবং জুলাইসহ ১৭ বছরের হাসিনার ফ্যাসিবাদ বিরোধী অন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালনকারী তরুণদের বিষয়টি গুরুত্ব দেন। প্রয়োজনে দল থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে হলেও তরুণদের প্রার্থী করার ব্যাপারে যেনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে তরুণদের বেশি সংখ্যায় প্রার্থী করার বিষয় মাথায় রেখেই তরুণদের দল এনসিপিকে বিএনপি তাদের নির্বাচনি জোটে টানার চেষ্টা করছে।

একটি সূত্র বলছে—এনসিপিকে ২০টি আসন বিএনপি ছেড়ে দিতে পারে। এর মধ্যে বিএনপির পুরো সমর্থন পেলে, বিদ্রোহী প্রার্থী না দাঁড়ালে ৮ জন প্রার্থী জয়ী হয়ে আসতে পারে বলে বিএনপি প্রাথমিক তথ্য অনুসন্ধানে ধারণা পেয়েছে। বাকী ১২ জনের ব্যাপারে সম্ভাবনা কম থাকলেও জোটে টানার স্বার্থে বিএনপিকে ছাড় দিতে হতে পারে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত