১৭ বছর নির্বাচনের নামে হয়েছে প্রহসন: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫, ১৭: ৪৬

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ১৭ বছর নির্বাচনের নামে দেশে প্রহসন হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালী শহরের শের-ই বাংলা সড়কস্থ সুরাইয়া ভবনে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় জনৈতিক দল এবং সরকার, দু’পক্ষ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের সময় এবং তারিখ নির্ধারণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, এটা সত্য কথা গত ১৫ বছরে আমরা সাধারণ পাবলিক আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ হটাতে পারিনি। আমাদের শিশুরা, আমাদের ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করেছে ওদের দেখাদেখি মাতা-পিতারা মাঠে নেমেছে,শিক্ষকরা মাঠে নেমেছে। তার দেখাদেখি আমরা সাধারণ পাবলিক মাঠে নেমেছি। সবার মিলিত প্রচেষ্টায় আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। দেশের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলের জন্য সেই আন্দোলন ধরে রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে বিভেদ, ঝগড়ার কারণে দেশের মানুষ যদি আন্দোলনের সুফল ভোগ করতে না পারে সেটি হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।

পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ শাসন আমলের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন, এগুলো ছিল নির্বাচন নির্বাচন খেলা। এখানে কোনো ইলেকশন ছিল না, এটা ছিল সিলেকশন। শেখ হাসিনা যাকে বলেছে সেই নির্বাচিত হয়েছে। এখানে তো ভোটের দরকার ছিল না। আর আমাদের যে তরুণ সমাজ তারা তো

গত ১৫ বছরে একবারও ভোট দিতে পারেনি। এখন প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব এর কাছে আমরা যে নির্বাচন চাচ্ছি সেটা অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপক্ষেপ নির্বাচন চাই। এ জন্য যা করা প্রয়োজন, যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন, লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রয়োজন তা করতে হবে। তবে সেটা করার জন্য তো আনলিমিটেড সময় দেয়া যাবে না। যৌক্তিক একটা সময়ের মধ্যে এই কাজ গুলো করতে হবে।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী আরো বলেন,‘আমরা রাজনীতি করি, আমরা তো বলবো কালকেই নির্বাচন চাই, কিন্তু কালকে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না সেটা আমাদের দেখতে হবে। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল আজম রঞ্জু'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ পান্না। এছাড়াও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সম্পন্ন হয়।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত