
স্টাফ রিপোর্টার

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীতে বড় সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল। দুপুর দুইটায় পল্টন মোড়ে আয়োজিত এই সমাবেশে লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এটি মহাসমাবেশে রূপ নেবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।
সোমবার পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট দলের বৈঠক পরবর্তী যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত আন্দোলন, জাগপা, ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “পাঁচ দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের পঞ্চম পর্ব হিসেবে এই ঢাকার সমাবেশ ডাকা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশ, জাতি ও সরকারকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। আশা করি, সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দুটি পৃথক বিষয়। কিন্তু বিএনপি এই দুটিকে এক করে ফেলেছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছে, অথচ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অংশ ছিল না। এই বিভ্রান্তির কারণেই তাদের জন্য বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হয়েছে।”
হামিদুর রহমান আযাদ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা আলোচনার প্রস্তাব দিয়েও বিএনপির কোনো সাড়া পাইনি। তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিতে চায়নি। জনগণের ইতিবাচক মনোভাবকে সম্মান দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা আশা করি, বিএনপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে। অন্যথায়, আলোচনার পাশাপাশি আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
পল্টন মোড়ে সমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমরা প্রশাসনকে সমাবেশের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি। এটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর দুইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত সমাবেশ চলবে, যাতে জনদুর্ভোগ তুলনামূলক কম হয়।”
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “সংবিধানের কথা বলে তারা দেশ ও জাতিকে বিপদে ফেলছে। সংবিধান বড়, নাকি জনগণের অভিপ্রায় বড়—এ প্রশ্নের উত্তরই তারা দিতে পারছে না। ২০২৬ সালের নির্বাচন পাঁচ বছর পূর্ণ না করেই হতে যাচ্ছে, এটি নিয়ে তারাই এখন দ্বিধায় রয়েছে।”
ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনা করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “কমিশন মৌলিক সংস্কারের দিকে না গিয়ে একটি নির্দিষ্ট দলের স্বার্থে কাজ করেছে। তাই আমরা ঐকমত্য আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।”
আন্দোলনরত আট দলের যৌথ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানি, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তৌহিদুজ্জামান ও অধ্যক্ষ মো. রোকনুজ্জামান, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম।
জানা গেছে, ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে মঙ্গলবারের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ আট দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
এসআর/

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীতে বড় সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল। দুপুর দুইটায় পল্টন মোড়ে আয়োজিত এই সমাবেশে লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এটি মহাসমাবেশে রূপ নেবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।
সোমবার পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট দলের বৈঠক পরবর্তী যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত আন্দোলন, জাগপা, ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “পাঁচ দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের পঞ্চম পর্ব হিসেবে এই ঢাকার সমাবেশ ডাকা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশ, জাতি ও সরকারকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। আশা করি, সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দুটি পৃথক বিষয়। কিন্তু বিএনপি এই দুটিকে এক করে ফেলেছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছে, অথচ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অংশ ছিল না। এই বিভ্রান্তির কারণেই তাদের জন্য বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হয়েছে।”
হামিদুর রহমান আযাদ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা আলোচনার প্রস্তাব দিয়েও বিএনপির কোনো সাড়া পাইনি। তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিতে চায়নি। জনগণের ইতিবাচক মনোভাবকে সম্মান দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা আশা করি, বিএনপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে। অন্যথায়, আলোচনার পাশাপাশি আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
পল্টন মোড়ে সমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমরা প্রশাসনকে সমাবেশের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি। এটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর দুইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত সমাবেশ চলবে, যাতে জনদুর্ভোগ তুলনামূলক কম হয়।”
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “সংবিধানের কথা বলে তারা দেশ ও জাতিকে বিপদে ফেলছে। সংবিধান বড়, নাকি জনগণের অভিপ্রায় বড়—এ প্রশ্নের উত্তরই তারা দিতে পারছে না। ২০২৬ সালের নির্বাচন পাঁচ বছর পূর্ণ না করেই হতে যাচ্ছে, এটি নিয়ে তারাই এখন দ্বিধায় রয়েছে।”
ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনা করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “কমিশন মৌলিক সংস্কারের দিকে না গিয়ে একটি নির্দিষ্ট দলের স্বার্থে কাজ করেছে। তাই আমরা ঐকমত্য আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।”
আন্দোলনরত আট দলের যৌথ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানি, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তৌহিদুজ্জামান ও অধ্যক্ষ মো. রোকনুজ্জামান, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম।
জানা গেছে, ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে মঙ্গলবারের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ আট দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
এসআর/

পতিত আওয়ামী লীগকে রাজপথেই মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সর্বস্তরের জনগণকে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি শুধু ধনী ও ক্ষমতাবানদের বিষয় নয়—এটি সাধারণ নাগরিকদের হওয়া উচিত, যারা দেশ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে একটি ‘সংস্কার জোট’ হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। জোট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে