• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> রাজনীতি

এনসিপি জুলাই সনদে সই না করলে রাজনীতিতে কী বার্তা দেবে

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫২
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ১২
logo
এনসিপি জুলাই সনদে সই না করলে রাজনীতিতে কী বার্তা দেবে

আমার দেশ অনলাইন

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫২

জুলাই সনদে সই না করা এবং স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেও না যাওয়ার অবস্থানে অনড় আছে গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের গড়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি। দাবি পূরণ না হওয়ায় এই অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছে দলটি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এনসিপি নেতারা বলছেন, আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে কেবল একটি ‘ইনফরমাল সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট’ বা অনানুষ্ঠানিক সামজিক চুক্তির জন্য এত আয়োজন ও ত্যাগ-তিতীক্ষার প্রয়োজন ছিল না।

অন্য কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় ভাবে ধরে রাখার মধ্য দিয়ে মূলত ‘সংস্কার প্রশ্নে স্বকীয়তাই’ রাজনৈতিক পরিসরে জানান দেবে বলে মনে করছে দলটি।

বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, কৌশল হিসেবে এই অবস্থান এনসিপির জন্য ভালো নাও হতে পারে। আবার কারও কারও মতে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে ‘যৌক্তিক’ অবস্থানই নিয়েছে দলটি।

অবশ্য শেষ মুহূর্তেও অনড় অবস্থান থেকে দলটির সরে আসার সুযোগ আছে–– এমনটাও ভাবছেন অনেকে। ঐকমত্য কমিশনও সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে শেষ পর্যন্ত প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলো এতে স্বাক্ষর না করলে সনদের কার্যকারিতা ও বাস্তবায়ন প্রশ্নের মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

জুলাই সনদ নিয়ে যেসব বিষয়ে এনসিপির আপত্তি

সংস্কারের বিষয়ে মাসের পর মাস রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের পর খসড়া চূড়ান্ত করা হয় এবং ১৫ই অক্টোবর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।

পরে তা আরো দুইদিন পিছিয়ে ১৭ই অক্টোবর করা হয়। জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে বিএনপি রাজি থাকলেও, এর আইনি ভিত্তির প্রশ্নে অবস্থান নেয় জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদে স্বাক্ষর আয়োজনে আসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে এখনো অনড় অবস্থানে আছে এনসিপি।

এ নিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াঁজো প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আইনি ভিত্তি ও ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির আগেই দলগুলোর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান করছে। অথচ আদেশে কী থাকবে, কবে হবে, কে করবেন সেটি না জেনে স্বাক্ষর করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’

এর আগে, জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতেও সোচ্চার ছিল এনসিপি।

গত বছর ডিসেম্বরে নিজেরাই তা প্রকাশের ঘোষণা দেন। নানা নাটকীয়তার পর গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিন প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

সেই প্রসঙ্গ টেনে আদীব বলেন, আইনি ভিত্তির আগে এই ধরনের আনুষ্ঠানিকতা জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো আরেকটি এক পাক্ষিক দলিলে রূপান্তরিত হবে।

দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলছেন, আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে তা কেবলই একটি ‘সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট’ হবে যা যে কেউ, যেকোনো সময় ব্রিচ (লঙ্ঘন) করতে পারে)।

একইসাথে এনসিপির এই অবস্থান থেকে রাজনৈতিক পরিসরে বার্তা যাবে যে বিএনপি বা জামায়াতের ‘স্ট্যান্ড’ দেখে এনসিপি কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নেয় না।

এর মাধ্যমে সংস্কার নিয়ে নিজস্ব বোঝাপড়া দলটির ‘স্বকীয়তাকেই’ তুলে ধরছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ঐকমত্য কমিশন সময় বৃদ্ধি করায় কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এনসিপি নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে এবং দাবি পূরণ হলে পরবর্তী সময়ে সনদে স্বাক্ষর করবে বলেও জানিয়েছে দলটি।

রাজনৈতিক অঙ্গনে ভাঙন ধরার শঙ্কা

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই সনদের খসড়া, গণভোট এবং সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে তিন দফা দাবির কথা জানান, যেগুলো পূরণ না হলে এনসিপি সনদে সই করবে না বলে জানানো হয়। শুক্রবার সকালেও দলটিকে একই অবস্থানে দেখা গেছে।

তবে জুলাই সনদ নিয়ে এই কৌশল দলটির জন্য হিতকর হবে না বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ।

তার মতে, রাজনৈতিকভাবে দলটি এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে। এবার সনদে সই না করলে দলটির প্রাসঙ্গিকতা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।

সাব্বির আহমেদ বলেন, এটা বাস্তবায়ন করার জন্য কারও ওপর কোনো বাইন্ডিংস (বাধ্যবাধকতা) থাকবে না। মেইন স্টেকহোল্ডারদের (মূল অংশীদার) মধ্যে যদি কেউ সাইন না করে, তাহলে এই সাইনিংয়ের গুরুত্ব একেবারেই কমে যাবে। সেক্ষেত্রে সনদে সই করে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণতান্ত্রিকভাবে দাবি আদায়ের দিকে এগোতে পারে ।

অন্যদিকে ‘আইনি ভিত্তির’ প্রসঙ্গে এনসিপির অবস্থানকে যৌক্তিক বলেই মনে করছেন আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, আমরা যদি প্রচলিত সংবিধানের আলোকে দেখি, তাইলে এটার পেছনে যুক্তি আছে। আর এটার জন্য চাপ দিচ্ছে।

প্রধান দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা না গেলে তা ‘সিটিজেন চার্টার’ হবে না বলে মন্তব্য করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। সেক্ষেত্রে তিনি অতীতের তিন জোটের রূপরেখার উদাহরণ টেনে বলেন, নেতারা কেউ সই দেয়নি। কাজেই এটার কোনো বাইন্ডিং ছিল না তাদের ওপরে।

তবে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে এখন অব্দি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে সহিষ্ণুতা দেখা গেছে, জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে তাতে যদি ফাটল ধরে, তা আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠে খুব সুখকর কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে না বলেই মত বিশ্লেষকদের।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

জুলাই সনদে সই না করা এবং স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেও না যাওয়ার অবস্থানে অনড় আছে গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের গড়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি। দাবি পূরণ না হওয়ায় এই অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছে দলটি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এনসিপি নেতারা বলছেন, আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে কেবল একটি ‘ইনফরমাল সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট’ বা অনানুষ্ঠানিক সামজিক চুক্তির জন্য এত আয়োজন ও ত্যাগ-তিতীক্ষার প্রয়োজন ছিল না।

বিজ্ঞাপন

অন্য কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় ভাবে ধরে রাখার মধ্য দিয়ে মূলত ‘সংস্কার প্রশ্নে স্বকীয়তাই’ রাজনৈতিক পরিসরে জানান দেবে বলে মনে করছে দলটি।

বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, কৌশল হিসেবে এই অবস্থান এনসিপির জন্য ভালো নাও হতে পারে। আবার কারও কারও মতে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে ‘যৌক্তিক’ অবস্থানই নিয়েছে দলটি।

অবশ্য শেষ মুহূর্তেও অনড় অবস্থান থেকে দলটির সরে আসার সুযোগ আছে–– এমনটাও ভাবছেন অনেকে। ঐকমত্য কমিশনও সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে শেষ পর্যন্ত প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলো এতে স্বাক্ষর না করলে সনদের কার্যকারিতা ও বাস্তবায়ন প্রশ্নের মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

জুলাই সনদ নিয়ে যেসব বিষয়ে এনসিপির আপত্তি

সংস্কারের বিষয়ে মাসের পর মাস রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের পর খসড়া চূড়ান্ত করা হয় এবং ১৫ই অক্টোবর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।

পরে তা আরো দুইদিন পিছিয়ে ১৭ই অক্টোবর করা হয়। জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে বিএনপি রাজি থাকলেও, এর আইনি ভিত্তির প্রশ্নে অবস্থান নেয় জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদে স্বাক্ষর আয়োজনে আসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে এখনো অনড় অবস্থানে আছে এনসিপি।

এ নিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াঁজো প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আইনি ভিত্তি ও ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির আগেই দলগুলোর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান করছে। অথচ আদেশে কী থাকবে, কবে হবে, কে করবেন সেটি না জেনে স্বাক্ষর করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’

এর আগে, জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতেও সোচ্চার ছিল এনসিপি।

গত বছর ডিসেম্বরে নিজেরাই তা প্রকাশের ঘোষণা দেন। নানা নাটকীয়তার পর গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিন প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

সেই প্রসঙ্গ টেনে আদীব বলেন, আইনি ভিত্তির আগে এই ধরনের আনুষ্ঠানিকতা জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো আরেকটি এক পাক্ষিক দলিলে রূপান্তরিত হবে।

দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলছেন, আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে তা কেবলই একটি ‘সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট’ হবে যা যে কেউ, যেকোনো সময় ব্রিচ (লঙ্ঘন) করতে পারে)।

একইসাথে এনসিপির এই অবস্থান থেকে রাজনৈতিক পরিসরে বার্তা যাবে যে বিএনপি বা জামায়াতের ‘স্ট্যান্ড’ দেখে এনসিপি কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নেয় না।

এর মাধ্যমে সংস্কার নিয়ে নিজস্ব বোঝাপড়া দলটির ‘স্বকীয়তাকেই’ তুলে ধরছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ঐকমত্য কমিশন সময় বৃদ্ধি করায় কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এনসিপি নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে এবং দাবি পূরণ হলে পরবর্তী সময়ে সনদে স্বাক্ষর করবে বলেও জানিয়েছে দলটি।

রাজনৈতিক অঙ্গনে ভাঙন ধরার শঙ্কা

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই সনদের খসড়া, গণভোট এবং সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে তিন দফা দাবির কথা জানান, যেগুলো পূরণ না হলে এনসিপি সনদে সই করবে না বলে জানানো হয়। শুক্রবার সকালেও দলটিকে একই অবস্থানে দেখা গেছে।

তবে জুলাই সনদ নিয়ে এই কৌশল দলটির জন্য হিতকর হবে না বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ।

তার মতে, রাজনৈতিকভাবে দলটি এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে। এবার সনদে সই না করলে দলটির প্রাসঙ্গিকতা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।

সাব্বির আহমেদ বলেন, এটা বাস্তবায়ন করার জন্য কারও ওপর কোনো বাইন্ডিংস (বাধ্যবাধকতা) থাকবে না। মেইন স্টেকহোল্ডারদের (মূল অংশীদার) মধ্যে যদি কেউ সাইন না করে, তাহলে এই সাইনিংয়ের গুরুত্ব একেবারেই কমে যাবে। সেক্ষেত্রে সনদে সই করে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণতান্ত্রিকভাবে দাবি আদায়ের দিকে এগোতে পারে ।

অন্যদিকে ‘আইনি ভিত্তির’ প্রসঙ্গে এনসিপির অবস্থানকে যৌক্তিক বলেই মনে করছেন আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, আমরা যদি প্রচলিত সংবিধানের আলোকে দেখি, তাইলে এটার পেছনে যুক্তি আছে। আর এটার জন্য চাপ দিচ্ছে।

প্রধান দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা না গেলে তা ‘সিটিজেন চার্টার’ হবে না বলে মন্তব্য করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। সেক্ষেত্রে তিনি অতীতের তিন জোটের রূপরেখার উদাহরণ টেনে বলেন, নেতারা কেউ সই দেয়নি। কাজেই এটার কোনো বাইন্ডিং ছিল না তাদের ওপরে।

তবে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে এখন অব্দি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে সহিষ্ণুতা দেখা গেছে, জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে তাতে যদি ফাটল ধরে, তা আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠে খুব সুখকর কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে না বলেই মত বিশ্লেষকদের।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশএনসিপি
সর্বশেষ
১

‘চেয়ার মানুষকে বড় করে না, মানুষ বসলে চেয়ার সম্মানিত হয়’

২

নতুন পোশাকে পুলিশের পথচলা শুরু

৩

জামায়াত নির্বাচিত হলে কাদিয়ানিরা অমুসলিম ঘোষিত হবে

৪

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন

৫

রাবিতে ৪০ বছর পর নবীনদের বরণ করে নিলো ছাত্রশিবির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

জামায়াত নির্বাচিত হলে কাদিয়ানিরা অমুসলিম ঘোষিত হবে

জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। এ বিষয়ে দেশে বা মুসলিম বিশ্বে কোথাও কোনো দ্বিমত নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

২৩ মিনিট আগে

ব্যারিস্টার অসীমের মনোনয়ন দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি

ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের সমর্থনে নিউ মার্কেট এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মানববন্ধন ও র‍্যালি।

১ ঘণ্টা আগে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান সংবিধানে সর্ব প্রথম বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছিলেন। তিনি সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসও সংযোজন করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস নেই।

২ ঘণ্টা আগে

খতমে নবুওয়ত সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে’যোগ দিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

২ ঘণ্টা আগে
জামায়াত নির্বাচিত হলে কাদিয়ানিরা অমুসলিম ঘোষিত হবে

জামায়াত নির্বাচিত হলে কাদিয়ানিরা অমুসলিম ঘোষিত হবে

ব্যারিস্টার অসীমের মনোনয়ন দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি

ব্যারিস্টার অসীমের মনোনয়ন দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে

খতমে নবুওয়ত সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা

খতমে নবুওয়ত সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা