স্টাফ রিপোর্টার
বালাকোট যুদ্ধে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ বেরলবীর আত্মত্যাগ ও বীরোচিত শাহাদাত ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের সংগ্রামী ইতিহাসের এক অনন্য, গৌরবোজ্জ্বল ও যুগান্তকারী অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত আয়োজিত বালাকোট দিবসের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা.ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ১৮৩১ সালের ৬ মে বালাকোটে ব্রিটিশ মদদপুষ্ট অত্যাচারী শিখদের বিরুদ্ধে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে জিহাদ করে হাসিমুখে শাহাদাতকে বরণ করে নিয়েছেন আযাদী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)।
একই সাথে শাহাদাতবরণ করেন ভারতের নানাপ্রান্ত থেকে আসা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর ঈমানদারদের এক বিরাট বহর। এ যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ফলাফল বিশ্লেষণে মুজাহিদীনদেরকে সুস্পষ্টভাবে বাহ্যিক বিজয়ী বলা যায় না। কিন্তু বালাকোটের মুজাহিদদের জিহাদই এ উপমহাদেশে এখনো ইসলামের নূর প্রজ্বলিত রাখার অন্যতম অনুষঙ্গ।
১৮৩১ সালের বালাকোটের জিহাদ কেবল কয়েক হাজার শিখ সেনার বিরুদ্ধে কয়েকশত মুজাহিদের নিছক এক যুদ্ধ ছিলনা বরং এ জিহাদ ছিল পুনর্জাগরণের। এ জিহাদের শিকড় যুক্ত ছিল বদর, ওহুদ, কারবালা আর নদিয়ার সাথে। বাংলায় ইসলামের নবযুদের সূচনায় ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির নদিয়া বিজয় যতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, উপমহাদেশে দ্বীনের নিভু নিভু আলোকে প্রজ্জ্বলিত রাখতে এবং এ জনপদে ইসলামের অস্তিত্বের জানান দিতে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদের বালাকোটর জিহাদও একইরকম গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বালাকোটের ত্যাগ, কুরবানী ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ, জাতি ও ইসলামের জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
মহানগরী উত্তর আমির বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও আমাদের পরিপূর্ণ বিজয় এখনো আসেনি বরং বিজয়ের পথচলা সবে শুরু হয়েছে। কারণ, স্বৈরাচার ক্ষমতাচ্যুত হলেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে পতিতদের প্রতিভূরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। মাফিয়াতন্ত্রীরা রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে।
একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। সর্বোপরি আগামী সংসদকে প্রতিনিধিত্বশীল করার জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রচলন জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল প্রকার চাপ ও ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। অন্যথায় পতিতরা নতুন করে মাথাচাড়া দেবে।
বালাকোট যুদ্ধে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ বেরলবীর আত্মত্যাগ ও বীরোচিত শাহাদাত ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের সংগ্রামী ইতিহাসের এক অনন্য, গৌরবোজ্জ্বল ও যুগান্তকারী অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত আয়োজিত বালাকোট দিবসের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা.ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ১৮৩১ সালের ৬ মে বালাকোটে ব্রিটিশ মদদপুষ্ট অত্যাচারী শিখদের বিরুদ্ধে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে জিহাদ করে হাসিমুখে শাহাদাতকে বরণ করে নিয়েছেন আযাদী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)।
একই সাথে শাহাদাতবরণ করেন ভারতের নানাপ্রান্ত থেকে আসা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর ঈমানদারদের এক বিরাট বহর। এ যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ফলাফল বিশ্লেষণে মুজাহিদীনদেরকে সুস্পষ্টভাবে বাহ্যিক বিজয়ী বলা যায় না। কিন্তু বালাকোটের মুজাহিদদের জিহাদই এ উপমহাদেশে এখনো ইসলামের নূর প্রজ্বলিত রাখার অন্যতম অনুষঙ্গ।
১৮৩১ সালের বালাকোটের জিহাদ কেবল কয়েক হাজার শিখ সেনার বিরুদ্ধে কয়েকশত মুজাহিদের নিছক এক যুদ্ধ ছিলনা বরং এ জিহাদ ছিল পুনর্জাগরণের। এ জিহাদের শিকড় যুক্ত ছিল বদর, ওহুদ, কারবালা আর নদিয়ার সাথে। বাংলায় ইসলামের নবযুদের সূচনায় ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির নদিয়া বিজয় যতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, উপমহাদেশে দ্বীনের নিভু নিভু আলোকে প্রজ্জ্বলিত রাখতে এবং এ জনপদে ইসলামের অস্তিত্বের জানান দিতে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদের বালাকোটর জিহাদও একইরকম গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বালাকোটের ত্যাগ, কুরবানী ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ, জাতি ও ইসলামের জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
মহানগরী উত্তর আমির বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও আমাদের পরিপূর্ণ বিজয় এখনো আসেনি বরং বিজয়ের পথচলা সবে শুরু হয়েছে। কারণ, স্বৈরাচার ক্ষমতাচ্যুত হলেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে পতিতদের প্রতিভূরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। মাফিয়াতন্ত্রীরা রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে।
একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। সর্বোপরি আগামী সংসদকে প্রতিনিধিত্বশীল করার জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রচলন জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল প্রকার চাপ ও ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। অন্যথায় পতিতরা নতুন করে মাথাচাড়া দেবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে কোনদিন যেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো না হয়।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করার জন্য হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগ ৭১ সাল থেকেই একসাথে কাজ করছে। যুগে যুগে তাদের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল।
১ ঘণ্টা আগেকারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তারা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে