স্টাফ রিপোর্টার
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার নির্দেশে গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটির নেতারা। এই হামলায় দেশের ভেতরে থাকা আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা মদদ যুগিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নোতারা।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কিছু আওয়ামী বুদ্ধিজীবী গণঅন্দোলন বা সরকার পরিবর্তন হিসাবে ট্যাগ দিচ্ছে। একই সঙ্গে গোপালগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে যে হামলা হয়েছে তার পক্ষেও মদদ দিচ্ছে। ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নাম দেওয়াতেই নাকি উসকানি হয়ে গেছে। বাংলাদেশের যেকোনো জেলায় উপজেলায় যেকোনো দল তারা সমাবেশ করতে পারে, এটা তার সাংবিধানিক অধিকার, সেটা যে নামেই হোক না কেন।
হামলার পক্ষে সম্মতি উৎপাদনকারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদী আওয়ামী লীগের এই হামলার পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করে যারা মদদ দিচ্ছেন তারা সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের গণহত্যার উসকানিদাতা। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ চলে গেলেও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে এখনও তাদের দোসররা দৃশ্যমান। মিডিয়া, আমলা, প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে খুনি হাসিনার প্রেতাত্মারা বসে রয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি স্তর থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে ফেলতে হবে।
হামলার পেছনে প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা খুঁজে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আদীব বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রধানকে তার রাজধানীতে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। এর পেছনেও ভারতের হাত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করার পাঁয়তারা করছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন বলেন, যেই প্রশাসন বিপ্লবের সৈনিকদেরকে একটা পদযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই প্রশাসন কী করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করবে? এটা বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। নিষিদ্ধ ঘোষিত পতিত স্বৈরাচারের যত ক্যাডার বাহিনী আছে, যত অগ্নেয়াস্ত্রের গ্যাং আছে সবাইকে গোপালগঞ্জে সংগঠিত করে সেখান থেকে পুরো বাংলাদেশে একটি গৃহযুদ্ধ পরিচালনা করার নীল নকশা আঁকা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে প্রশাসন তার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা সতর্ক করছি, জুলাই যোদ্ধাদের গায়ে একটা আঁচড় লাগলে বিপ্লবীরা বাংলাদেশে আরেকটা জুলাই রচনা করে দেবে।
দলটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এসএম শাহরিয়ার বলেন, গোপালগঞ্জ কি বাংলাদেশের বাইরের কোনো অংশ? একমাস ধরে গোপালগঞ্জে অস্ত্র ঠুকলো, প্রশাসন ঠেকাইতে পারলো না। এখন সেই প্রশ্ন না তুলে আমাদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। পদযাত্রাকে ইংরেজিতে কেন ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ বললাম সেই প্রশ্নও তোলা হচ্ছে। আরে মিয়া, তোমরা ভার্সিটি চেনো, বিশ্ববিদ্যালয় চেনো না। পদযাত্রা বোঝ, মার্চ বোঝ না। রাজনীতিবিদরা এতো মুর্খ তাতো আগে জানতাম না।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসেন বলেন, এখনও বিচার ও সংস্কার বাস্তবায়ন হয়নি বিধায় গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে পেরেছে। বিচার ও সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য গুম ও খুনের সঙ্গে গড়িত ছিল। এই সেনাবাহিনীতে এখনও সংস্কার আনা হয়নি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আলী নাসের খান, মোস্তাক আহমেদ শিশির, ইমরান ইমন, সাইফুল্লাহ হায়দার, সর্দার আমিরুল ইসলাম, খান মোহাম্মদ মুরসালীন প্রমুখ।
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার নির্দেশে গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটির নেতারা। এই হামলায় দেশের ভেতরে থাকা আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা মদদ যুগিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নোতারা।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কিছু আওয়ামী বুদ্ধিজীবী গণঅন্দোলন বা সরকার পরিবর্তন হিসাবে ট্যাগ দিচ্ছে। একই সঙ্গে গোপালগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে যে হামলা হয়েছে তার পক্ষেও মদদ দিচ্ছে। ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নাম দেওয়াতেই নাকি উসকানি হয়ে গেছে। বাংলাদেশের যেকোনো জেলায় উপজেলায় যেকোনো দল তারা সমাবেশ করতে পারে, এটা তার সাংবিধানিক অধিকার, সেটা যে নামেই হোক না কেন।
হামলার পক্ষে সম্মতি উৎপাদনকারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদী আওয়ামী লীগের এই হামলার পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করে যারা মদদ দিচ্ছেন তারা সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের গণহত্যার উসকানিদাতা। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ চলে গেলেও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে এখনও তাদের দোসররা দৃশ্যমান। মিডিয়া, আমলা, প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে খুনি হাসিনার প্রেতাত্মারা বসে রয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি স্তর থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে ফেলতে হবে।
হামলার পেছনে প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা খুঁজে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আদীব বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রধানকে তার রাজধানীতে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। এর পেছনেও ভারতের হাত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করার পাঁয়তারা করছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন বলেন, যেই প্রশাসন বিপ্লবের সৈনিকদেরকে একটা পদযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই প্রশাসন কী করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করবে? এটা বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। নিষিদ্ধ ঘোষিত পতিত স্বৈরাচারের যত ক্যাডার বাহিনী আছে, যত অগ্নেয়াস্ত্রের গ্যাং আছে সবাইকে গোপালগঞ্জে সংগঠিত করে সেখান থেকে পুরো বাংলাদেশে একটি গৃহযুদ্ধ পরিচালনা করার নীল নকশা আঁকা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে প্রশাসন তার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা সতর্ক করছি, জুলাই যোদ্ধাদের গায়ে একটা আঁচড় লাগলে বিপ্লবীরা বাংলাদেশে আরেকটা জুলাই রচনা করে দেবে।
দলটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এসএম শাহরিয়ার বলেন, গোপালগঞ্জ কি বাংলাদেশের বাইরের কোনো অংশ? একমাস ধরে গোপালগঞ্জে অস্ত্র ঠুকলো, প্রশাসন ঠেকাইতে পারলো না। এখন সেই প্রশ্ন না তুলে আমাদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। পদযাত্রাকে ইংরেজিতে কেন ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ বললাম সেই প্রশ্নও তোলা হচ্ছে। আরে মিয়া, তোমরা ভার্সিটি চেনো, বিশ্ববিদ্যালয় চেনো না। পদযাত্রা বোঝ, মার্চ বোঝ না। রাজনীতিবিদরা এতো মুর্খ তাতো আগে জানতাম না।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসেন বলেন, এখনও বিচার ও সংস্কার বাস্তবায়ন হয়নি বিধায় গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে পেরেছে। বিচার ও সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য গুম ও খুনের সঙ্গে গড়িত ছিল। এই সেনাবাহিনীতে এখনও সংস্কার আনা হয়নি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আলী নাসের খান, মোস্তাক আহমেদ শিশির, ইমরান ইমন, সাইফুল্লাহ হায়দার, সর্দার আমিরুল ইসলাম, খান মোহাম্মদ মুরসালীন প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দল। বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩৪ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের মধ্যে যেগুলো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সেগুলো আগে পাস করে পরে নির্বাচন দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি রূপ দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া, মাঠ পর্যায়ের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগে