জাহিদুল ইসলাম
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং বন্ধ ও সামাজিক শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে দলের শক্ত অবস্থান তৈরি করে গণতান্ত্রিক বিজয় নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএনপির সূত্রগুলো জানিয়েছে, দলটি স্থানীয় মসজিদের ইমাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৭১টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রভিত্তিক করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এ বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমতি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, শেখ হাসিনা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। কিন্তু এ দলটি যেমন জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, তেমনি সামাজিক ব্যবস্থাও পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বিশেষ করে পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে ভয়ংকর একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে গেছে। এই উচ্ছৃঙ্খল কিশোররা এলাকায় মাদক কারবার, ছিনতাই, দখল ও চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। তাদের এসব অপকর্মে হয়রানির শিকার হচ্ছে নগরবাসী। এমন বিশৃঙ্খল পরিবেশকে শৃঙ্খলায় আনতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রভিত্তিক একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মহানগর বিএনপি জানায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক ভোটকেন্দ্র থাকে। কেন্দ্রভিত্তিক পুরুষ ও নারীদের নিয়ে আলাদা করে কমিটি গঠন করা হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, মসজিদের ইমামদের কমিটির উপদেষ্টা করা হবে। কমিটি স্থানীয়ভাবে সামাজিক শৃঙ্খলা ফেরাতে সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। ফলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে সামাজিক বন্ধনে আনা যাবে বলে মনে করেন তারা। একইসঙ্গে তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কী চায়, তরুণরা কী চায় বা স্থানীয় সমস্যাগুলো সম্পর্কে সহজে জানা যাবে। আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহজ হবে বলে আশা করছে দলটি।
বিএনপি নেতাদের দাবি, কেন্দ্রভিত্তিক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সমাজে শৃঙ্খলা ফেরাতে সহযোগিতা করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে সাংগঠনিকভাবে দলে এক ধরনের শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এলাকায় অনেক বয়স্ক লোক আছেন, যারা কোনো দল করেন না; কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের দিয়ে উপদেষ্টা কমিটি করার প্রস্তুতি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক আমার দেশকে বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত করতে ও তৃণমূলকে সুশৃঙ্খল করার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করা হবে। ওয়ার্ডে ইউনিটি কমিটির পাশাপাশি কেন্দ্রভিত্তিক কমিটিও থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একটি পুরুষ ও একটি নারী কমিটি গঠন করা হবে।
আমিনুল হক আরো বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০ জন সুশীলকে নিয়ে কমিটি করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি। তিনি শুরু করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। আমরা আশা করব ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়বে।’
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং বন্ধ ও সামাজিক শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে দলের শক্ত অবস্থান তৈরি করে গণতান্ত্রিক বিজয় নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএনপির সূত্রগুলো জানিয়েছে, দলটি স্থানীয় মসজিদের ইমাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৭১টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রভিত্তিক করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এ বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমতি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, শেখ হাসিনা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। কিন্তু এ দলটি যেমন জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, তেমনি সামাজিক ব্যবস্থাও পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বিশেষ করে পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে ভয়ংকর একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে গেছে। এই উচ্ছৃঙ্খল কিশোররা এলাকায় মাদক কারবার, ছিনতাই, দখল ও চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। তাদের এসব অপকর্মে হয়রানির শিকার হচ্ছে নগরবাসী। এমন বিশৃঙ্খল পরিবেশকে শৃঙ্খলায় আনতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রভিত্তিক একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মহানগর বিএনপি জানায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক ভোটকেন্দ্র থাকে। কেন্দ্রভিত্তিক পুরুষ ও নারীদের নিয়ে আলাদা করে কমিটি গঠন করা হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, মসজিদের ইমামদের কমিটির উপদেষ্টা করা হবে। কমিটি স্থানীয়ভাবে সামাজিক শৃঙ্খলা ফেরাতে সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। ফলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে সামাজিক বন্ধনে আনা যাবে বলে মনে করেন তারা। একইসঙ্গে তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কী চায়, তরুণরা কী চায় বা স্থানীয় সমস্যাগুলো সম্পর্কে সহজে জানা যাবে। আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহজ হবে বলে আশা করছে দলটি।
বিএনপি নেতাদের দাবি, কেন্দ্রভিত্তিক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সমাজে শৃঙ্খলা ফেরাতে সহযোগিতা করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে সাংগঠনিকভাবে দলে এক ধরনের শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এলাকায় অনেক বয়স্ক লোক আছেন, যারা কোনো দল করেন না; কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের দিয়ে উপদেষ্টা কমিটি করার প্রস্তুতি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক আমার দেশকে বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত করতে ও তৃণমূলকে সুশৃঙ্খল করার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করা হবে। ওয়ার্ডে ইউনিটি কমিটির পাশাপাশি কেন্দ্রভিত্তিক কমিটিও থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একটি পুরুষ ও একটি নারী কমিটি গঠন করা হবে।
আমিনুল হক আরো বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০ জন সুশীলকে নিয়ে কমিটি করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি। তিনি শুরু করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। আমরা আশা করব ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়বে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, ডিসেম্বর না জুন- তা ক্লিয়ার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দেশকে মানবিক করিডোরের নামে যুদ্ধের মধ্যে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এদিকে না গিয়ে দেশকে রক্ষা, যুদ্ধমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।’
৪ ঘণ্টা আগেইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন রোধে মুখোমুখি রাজনীতির অশুভ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, 'প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরল, তারপরও ৯ মাসে একটি বিচারকার্যও সম্পন্ন হলো না।
৭ ঘণ্টা আগে