স্টাফ রিপোর্টার
নারীর রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ১০০ সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলো থেকে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের বাধ্যবাধকতা দাবি করেছে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম নামে একটি সংগঠন।
রোববার ঢাকা বিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাতীয় নির্বাচনে নারীর অধিকার আদায়ের রূপরেখা বিষয়ক’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ টি নারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফোরামটির পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শামিমা লুৎফা, মাহিন সুলতান, সাদাফ সাজ সিদ্দিকী, সামিনা সিলতা, তাসনিম আক্তার, সীমা দাস, সীমা দত্ত, মোশরেফা মিশু, অমিতা দেব, সুষ্মিতা, সাদিয়া রহমান, পপি রানি সরকার, বিলকিস, ইফফাত আরা ও নাজিয়া আফরিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নারী নেত্রীরা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত সব আন্দোলনে নারীর অবদান ছিল অসামান্য। কিন্তু সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব এখনো প্রান্তিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বর্তমান ৫০ সংরক্ষিত আসন কার্যত নারীদের অর্থবহ ক্ষমতা দেয় না, কারণ সেগুলো সরাসরি ভোটে নয় বরং দলীয় অনুপাতে বণ্টিত হয়। এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র চর্চার নতুন যাত্রায় নারী নেতৃত্বের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব ছাড়া টেকসই উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ সম্ভব নয়। তারা আরো বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ৩০০ সাধারণ আসনের পাশাপাশি ১০০ সংরক্ষিত আসনের জন্য আলাদা ব্যালটে ভোটগ্রহণ করলে নির্বাচনী এলাকায় নতুন কোনো জটিলতা তৈরি হবে না।
ফোরামের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে নারীদের সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা চালু ছিল। তাই ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে না পারার কোনো কারণ নেই।
এ সময় নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে যে সাতটি মূল দাবি উত্থাপন করা হয় সেগুলো হলো- দেশের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ২০২৬ সালের নির্বাচনে ১০০ সংরক্ষিত আসনে নারীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত করা, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা এবং ধাপে ধাপে তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা, সংসদ সদস্যদের কাজকে আইন প্রণয়ন ও সংসদীয় কার্যাবলির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে দুর্নীতি হ্রাস ও যোগ্য নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, নারী প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ভার সামলাতে রাষ্ট্রীয় অনুদান চালু করা, নারীর নিরাপদ অংশগ্রহণ নিশ্চিতে শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে নারী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ তৈরি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত কাঠামো তুলে ধরা হয়। সংগঠনটি ১০০ সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য একটি কাঠামোগত প্রস্তাবও দেয়। এর মধ্যে রয়েছে- ৬৪ জেলা থেকে ৬৪ আসন, ৮ বিভাগের সদর দপ্তরে অতিরিক্ত ১৬ আসন (প্রতিটিতে ২টি করে), সিটি করপোরেশনভিত্তিক আসন (ঢাকা দক্ষিণ-উত্তরে অতিরিক্ত আসন প্রস্তাব), পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলায় পৃথক ৩ আসন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য ৬ আসন, জাতীয় পর্যায়ে দলিত নারী প্রার্থীদের জন্য ৪ আসন এবং প্রতিবন্ধী নারী প্রার্থীদের জন্য ৩ আসন।
নারীর রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ১০০ সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলো থেকে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের বাধ্যবাধকতা দাবি করেছে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম নামে একটি সংগঠন।
রোববার ঢাকা বিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাতীয় নির্বাচনে নারীর অধিকার আদায়ের রূপরেখা বিষয়ক’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ টি নারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফোরামটির পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শামিমা লুৎফা, মাহিন সুলতান, সাদাফ সাজ সিদ্দিকী, সামিনা সিলতা, তাসনিম আক্তার, সীমা দাস, সীমা দত্ত, মোশরেফা মিশু, অমিতা দেব, সুষ্মিতা, সাদিয়া রহমান, পপি রানি সরকার, বিলকিস, ইফফাত আরা ও নাজিয়া আফরিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নারী নেত্রীরা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত সব আন্দোলনে নারীর অবদান ছিল অসামান্য। কিন্তু সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব এখনো প্রান্তিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। বর্তমান ৫০ সংরক্ষিত আসন কার্যত নারীদের অর্থবহ ক্ষমতা দেয় না, কারণ সেগুলো সরাসরি ভোটে নয় বরং দলীয় অনুপাতে বণ্টিত হয়। এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র চর্চার নতুন যাত্রায় নারী নেতৃত্বের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব ছাড়া টেকসই উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ সম্ভব নয়। তারা আরো বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ৩০০ সাধারণ আসনের পাশাপাশি ১০০ সংরক্ষিত আসনের জন্য আলাদা ব্যালটে ভোটগ্রহণ করলে নির্বাচনী এলাকায় নতুন কোনো জটিলতা তৈরি হবে না।
ফোরামের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে নারীদের সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা চালু ছিল। তাই ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে না পারার কোনো কারণ নেই।
এ সময় নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে যে সাতটি মূল দাবি উত্থাপন করা হয় সেগুলো হলো- দেশের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ২০২৬ সালের নির্বাচনে ১০০ সংরক্ষিত আসনে নারীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত করা, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা এবং ধাপে ধাপে তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা, সংসদ সদস্যদের কাজকে আইন প্রণয়ন ও সংসদীয় কার্যাবলির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে দুর্নীতি হ্রাস ও যোগ্য নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, নারী প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ভার সামলাতে রাষ্ট্রীয় অনুদান চালু করা, নারীর নিরাপদ অংশগ্রহণ নিশ্চিতে শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে নারী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ তৈরি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত কাঠামো তুলে ধরা হয়। সংগঠনটি ১০০ সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য একটি কাঠামোগত প্রস্তাবও দেয়। এর মধ্যে রয়েছে- ৬৪ জেলা থেকে ৬৪ আসন, ৮ বিভাগের সদর দপ্তরে অতিরিক্ত ১৬ আসন (প্রতিটিতে ২টি করে), সিটি করপোরেশনভিত্তিক আসন (ঢাকা দক্ষিণ-উত্তরে অতিরিক্ত আসন প্রস্তাব), পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলায় পৃথক ৩ আসন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য ৬ আসন, জাতীয় পর্যায়ে দলিত নারী প্রার্থীদের জন্য ৪ আসন এবং প্রতিবন্ধী নারী প্রার্থীদের জন্য ৩ আসন।
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেসৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটি আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটি সংবিধান নয়, একটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট যেটা কোনো সরকার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে।
৩ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, “বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে প্রশাসন, এসপি-ডিসি এগুলো ভাগ বাটোয়ারা করছে এবং নির্বাচনে জন্য তারা যে তালিকা করছে, সরকারকে সেগুলো দিচ্ছে এবং উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেও সেই দলগুলোর সাথে সেভাবে সহায়তা করছে”।
৩ ঘণ্টা আগেরাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
৩ ঘণ্টা আগে