
মতিউর রহমান মুন্না

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় দারুল হিকমাহ জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার বালিকা শাখায় স্থাপিত হয়েছে জেলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ মহিলা মসজিদ। ‘হজরত ফাতিমা (রা.) মহিলা হিফজ ভবন ও মসজিদ’ নামে এই মসজিদটি নারীদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা ও ইবাদতের এক ব্যতিক্রমধর্মী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
নবীগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব তিমিরপুর এলাকায় অবস্থিত এই মসজিদে প্রতিদিন মাদরাসার প্রায় ৩৫০ জন ছাত্রী একসঙ্গে নামাজ আদায় করে থাকেন। শুধু নামাজই নয়, এই মসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত হিফজ বিভাগেও ছাত্রীদের কোরআন হিফজ ও ইসলামি শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ফলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।
দারুল হিকমাহ জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার দাখিল শ্রেণির ছাত্রী মারজানা আক্তার বলেন, ‘আমরা আগে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলাদা জায়গায় নামাজ পড়তাম। এখন এই সুন্দর মসজিদে সবাই একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারছি। এখানে নামাজ পড়লে এক ধরনের শান্তি পাই।’
হিফজ বিভাগের ছাত্রী নুসরাত জাহান বলেন, ‘এই মসজিদ শুধু নামাজের জায়গা নয়, আমরা এখানে কোরআন শিখি, দোয়া করি, ইসলামি আদর্শে বড় হওয়ার শিক্ষা পাই। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ।’
আলিম শ্রেণির ছাত্রী আসমা বেগম বলেন, ‘আমাদের মসজিদে নামাজের পাশাপাশি ধর্মীয় আলোচনাও হয়। একসঙ্গে জামাতে নামাজ পড়া আমাদের মধ্যে একতা ও শৃঙ্খলা তৈরি করেছে।’
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রোকসানা আক্তার বলেন, ‘প্রথমবার এই মসজিদে নামাজ পড়তে এসে মনে হয়েছিল আমি যেন কোনো পবিত্র স্থানে আছি। প্রতিদিন এখানে নামাজ আদায় করতে খুব ভালো লাগে।’
২০২২ সালের ১৫ মার্চ হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান মসজিদটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
মসজিদটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. লুৎফুর রহমান জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ছাত্রীদের জন্য একটি নিরাপদ, শরয়ী পর্দার সুবিধা-সংবলিত মসজিদের ভেতরেই অজুর সুবিধাসহ মনোমুগ্ধকর পরিবেশে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা। এখন তারা মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করছে এবং প্রতি বৃহস্পতিবার এই মসজিদে কোরআন-হাদিস চর্চার বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্রী ও বয়স্ক নারীরা ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ হচ্ছে।’ অধ্যক্ষ আরো জানান, ‘হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ রোডের পাশে অবস্থিত এই মসজিদে দূর-দূরান্তের অনেক নারী যাত্রী গাড়ি থামিয়ে নামাজ আদায় করে থাকেন। আমাদের দেশে মহিলাদের জন্য যাত্রাপথে নামাজ আদায়ের তেমন ব্যবস্থা নেই। দারুল হিকমায় অবস্থিত এই মসজিদটি ধার্মিক ও নামাজি নারীদের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত।’
নবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আশরাফ আলী ও দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার প্রকাশক সেলিম তালুকদার বলেন, ‘দারুল হিকমাহ মাদরাসায় স্থাপিত হজরত ফাতিমা (রা.) মহিলা মসজিদ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের পরিপূর্ণ ইবাদতস্থল আমাদের সমাজে বিরল। এখানে ছাত্রীদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি শুদ্ধভাবে ইবাদতের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটি সত্যিকার অর্থেই ইসলামি সমাজব্যবস্থার এক উদাহরণ। এই মহিলা মসজিদ হবিগঞ্জ জেলার নারীদের ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় দারুল হিকমাহ জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার বালিকা শাখায় স্থাপিত হয়েছে জেলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ মহিলা মসজিদ। ‘হজরত ফাতিমা (রা.) মহিলা হিফজ ভবন ও মসজিদ’ নামে এই মসজিদটি নারীদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা ও ইবাদতের এক ব্যতিক্রমধর্মী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
নবীগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব তিমিরপুর এলাকায় অবস্থিত এই মসজিদে প্রতিদিন মাদরাসার প্রায় ৩৫০ জন ছাত্রী একসঙ্গে নামাজ আদায় করে থাকেন। শুধু নামাজই নয়, এই মসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত হিফজ বিভাগেও ছাত্রীদের কোরআন হিফজ ও ইসলামি শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ফলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।
দারুল হিকমাহ জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার দাখিল শ্রেণির ছাত্রী মারজানা আক্তার বলেন, ‘আমরা আগে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলাদা জায়গায় নামাজ পড়তাম। এখন এই সুন্দর মসজিদে সবাই একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারছি। এখানে নামাজ পড়লে এক ধরনের শান্তি পাই।’
হিফজ বিভাগের ছাত্রী নুসরাত জাহান বলেন, ‘এই মসজিদ শুধু নামাজের জায়গা নয়, আমরা এখানে কোরআন শিখি, দোয়া করি, ইসলামি আদর্শে বড় হওয়ার শিক্ষা পাই। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ।’
আলিম শ্রেণির ছাত্রী আসমা বেগম বলেন, ‘আমাদের মসজিদে নামাজের পাশাপাশি ধর্মীয় আলোচনাও হয়। একসঙ্গে জামাতে নামাজ পড়া আমাদের মধ্যে একতা ও শৃঙ্খলা তৈরি করেছে।’
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রোকসানা আক্তার বলেন, ‘প্রথমবার এই মসজিদে নামাজ পড়তে এসে মনে হয়েছিল আমি যেন কোনো পবিত্র স্থানে আছি। প্রতিদিন এখানে নামাজ আদায় করতে খুব ভালো লাগে।’
২০২২ সালের ১৫ মার্চ হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান মসজিদটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
মসজিদটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. লুৎফুর রহমান জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ছাত্রীদের জন্য একটি নিরাপদ, শরয়ী পর্দার সুবিধা-সংবলিত মসজিদের ভেতরেই অজুর সুবিধাসহ মনোমুগ্ধকর পরিবেশে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা। এখন তারা মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করছে এবং প্রতি বৃহস্পতিবার এই মসজিদে কোরআন-হাদিস চর্চার বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্রী ও বয়স্ক নারীরা ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ হচ্ছে।’ অধ্যক্ষ আরো জানান, ‘হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ রোডের পাশে অবস্থিত এই মসজিদে দূর-দূরান্তের অনেক নারী যাত্রী গাড়ি থামিয়ে নামাজ আদায় করে থাকেন। আমাদের দেশে মহিলাদের জন্য যাত্রাপথে নামাজ আদায়ের তেমন ব্যবস্থা নেই। দারুল হিকমায় অবস্থিত এই মসজিদটি ধার্মিক ও নামাজি নারীদের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত।’
নবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আশরাফ আলী ও দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার প্রকাশক সেলিম তালুকদার বলেন, ‘দারুল হিকমাহ মাদরাসায় স্থাপিত হজরত ফাতিমা (রা.) মহিলা মসজিদ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের পরিপূর্ণ ইবাদতস্থল আমাদের সমাজে বিরল। এখানে ছাত্রীদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি শুদ্ধভাবে ইবাদতের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটি সত্যিকার অর্থেই ইসলামি সমাজব্যবস্থার এক উদাহরণ। এই মহিলা মসজিদ হবিগঞ্জ জেলার নারীদের ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, উন্নত চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিরাই সমাজে শান্তি, ন্যায়বিচার ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি করে। চরিত্রবান মানুষ সমাজকে করে তোলে সুন্দর, নিরাপদ ও মানবিক। আর চরিত্রহীন মানুষ অনাচার, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। চরিত্রবান মানুষ যেমন নিজের কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও আলোকিত করে তোল
১০ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরের জুনে শুরু হওয়া ওমরাহ মৌসুমে এরই মধ্যে রেকর্ড ৪০ লাখের বেশি বিদেশি হাজি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, যা আগের বছরের পুরো মৌসুমের তুলনায়ও বেশি।
১৮ ঘণ্টা আগে
মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়। এটি মুসলিম সমাজের হৃদয়কেন্দ্র। যেখানে আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা ও সামাজিক চেতনাসমবেত হয়। ইসলামের সূচনালগ্নে মসজিদ ছিল জ্ঞান, নেতৃত্ব, ন্যায়বিচার এবং সমাজকল্যাণের কেন্দ্র। নবী করিম (সা.) মসজিদের মিম্বর থেকে যেমন ঈমান ও আমলের দাওয়াত দিতেন, তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
২০ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি একজন বক্তা প্রিয় নবীজিকে ‘সাংবাদিক’ অভিধায় অভিহিত করে চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। দেশের ধর্মীয় অঙ্গনে পক্ষে-বিপক্ষে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ ধরনের বিষয়ে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
২১ ঘণ্টা আগে