হাদিয়ে আলম
লাবীব আব্দুল্লাহ
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ভাষা রয়েছে। যুগে যুগে প্রায় সব ভাষায় রচিত হয়েছে অসংখ্য সিরাত বা নবীজীবনী। সিরাত নিয়ে রচিত পৃথিবীর এক বিখ্যাত বই অনুপম বই হাদিয়ে আলম। ১৯৮২ সালে বইটি লিখেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম, সুসাহিত্যিক, কবি মুহাম্মদ ওয়ালী রাজী উসমানি। উর্দু ভাষায় নুকতামুক্ত, বিন্দুহীন হরফের সংখ্যা ১৮টি। এই ১৮টি বর্ণের তুলিতে নবী-জীবনের যে ছবি এঁকেছেন, তা সিরাত-সাহিত্যের ইতিহাসে এক বিরল ও বিস্ময়কর কাজ।
৩০৪ পৃষ্ঠার বইটির ২০ পৃষ্ঠা ভূমিকা ও অন্যান্য আলোচনা। এছাড়া পুরো বইয়ে একটি নুকতা বা বিন্দুযুক্ত হরফ নেই। নবী-জীবনের জন্ম থেকে ওফাত পর্যন্ত লিখেছেন নবীপ্রেমিক এই সাহিত্যিক। নবী-জীবনের কোনো অধ্যায়ে যেমন কোনো কলঙ্কের বিন্দু নেই; মুহাম্মদের নামের হরফগুলোয় যেমন কোনো নুকতা বা বিন্দু নেই, আহমাদ নামেও নেই কোনো নুকতা বা বিন্দু। অনুরূপ এই বইয়ের কোনো হরফে নুকতা দেখা যায় না। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই বইয়ে শিরোনাম রয়েছে ২৭৫টি। এতেও নেই কোনো বিন্দুযুক্ত বর্ণ। লেখক পাকিস্তানের সুশীল পরিবারের গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ শফি (রহ.)-এর সুযোগ্য সন্তান। এই লেখকের ভাই পাকিস্তানের শরিয়া আদালতের চিফ জাস্টিস, পৃথিবীখ্যাত মুফতি আল্লামা মুহাম্মদ তাকি উসমানি।
এই বম্পর্কে আল্লামা তাকি উসমানি বলেন, ‘এই বইটিতে যেমন রয়েছে সাহিত্যরস ও শব্দের শৈল্পিক সৌন্দর্য, বিশুদ্ধ তথ্যসূত্র থেকে এমন সব তথ্যের সমাহার রয়েছে, যা সিরাতবিষয়ক বৃহৎ কলেবরের গ্রন্থেও পাওয়া দুষ্কর। হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবি (রহ.)-এর অন্যতম খলিফা ডা. আব্দুল হাই আরেফি বলেন, সাহিত্যের আঙ্গিকে লেখা এটি এক অনন্য বই। বিস্ময়কর সাহিত্যকর্ম। সিরাত সাহিত্যে এর উপমা বিরল। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ধর্ম অনুষদের বিভাগীয় প্রধান ড. সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, মুহাম্মদ ওয়ালী রাজী এমন এক বিস্ময়কর বই লিখেছেন, যা এর আগে কেউ লেখেনি। লেখক ঘটনা বর্ণনার বিশুদ্ধতার প্রতি লক্ষ রেখেছেন। এই উপমহাদেশের বাদশাহ আকবরের যুগে আবুল ফয়েজ ফয়জী কোরআনুল কারিমের এক তাফসির লেখেন নুকতামুক্ত হরফ দ্বারা। সাওয়াতিউল ইলহাম নামের এই তাফসির পৃথিবীর এক বিস্ময়কর কাজ। মুহাম্মদ ওয়ালী রাজী বিশ্বময় সিরাতে রাসুলের ওপর রচিত কিতাবগুলোর তালিকায় বিরল সাহিত্যকর্ম দ্বারা নবীপ্রেম প্রকাশ করেছেন।
বইয়ের ভূমিকায় তিনি লিখেছেন, ‘অ্যা মহজ আল্লাহতায়ালা কি হ্যায়’। আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে সম্ভব হয়েছে এ কাজ। সন্ত্রাসের কবলে পৃথিবীবাসীর মুক্তির পথ হলো সিরাতে রাসুলের পথ। নবীজির আদর্শই মুক্ত করতে পারে হতাশার সাগরে ডুবন্ত মানব ও মানবতাকে। ওয়ালী রাজীর পথ ধরে লেখকরা ছবি দেবে মুহাম্মদ নামের ফুলের সুঘ্রাণ। সুরভিত হবে পৃথিবী। মাতোয়ারা হবে দুনিয়া সেই খুশবুতে।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ভাষা রয়েছে। যুগে যুগে প্রায় সব ভাষায় রচিত হয়েছে অসংখ্য সিরাত বা নবীজীবনী। সিরাত নিয়ে রচিত পৃথিবীর এক বিখ্যাত বই অনুপম বই হাদিয়ে আলম। ১৯৮২ সালে বইটি লিখেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম, সুসাহিত্যিক, কবি মুহাম্মদ ওয়ালী রাজী উসমানি। উর্দু ভাষায় নুকতামুক্ত, বিন্দুহীন হরফের সংখ্যা ১৮টি। এই ১৮টি বর্ণের তুলিতে নবী-জীবনের যে ছবি এঁকেছেন, তা সিরাত-সাহিত্যের ইতিহাসে এক বিরল ও বিস্ময়কর কাজ।
৩০৪ পৃষ্ঠার বইটির ২০ পৃষ্ঠা ভূমিকা ও অন্যান্য আলোচনা। এছাড়া পুরো বইয়ে একটি নুকতা বা বিন্দুযুক্ত হরফ নেই। নবী-জীবনের জন্ম থেকে ওফাত পর্যন্ত লিখেছেন নবীপ্রেমিক এই সাহিত্যিক। নবী-জীবনের কোনো অধ্যায়ে যেমন কোনো কলঙ্কের বিন্দু নেই; মুহাম্মদের নামের হরফগুলোয় যেমন কোনো নুকতা বা বিন্দু নেই, আহমাদ নামেও নেই কোনো নুকতা বা বিন্দু। অনুরূপ এই বইয়ের কোনো হরফে নুকতা দেখা যায় না। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই বইয়ে শিরোনাম রয়েছে ২৭৫টি। এতেও নেই কোনো বিন্দুযুক্ত বর্ণ। লেখক পাকিস্তানের সুশীল পরিবারের গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ শফি (রহ.)-এর সুযোগ্য সন্তান। এই লেখকের ভাই পাকিস্তানের শরিয়া আদালতের চিফ জাস্টিস, পৃথিবীখ্যাত মুফতি আল্লামা মুহাম্মদ তাকি উসমানি।
এই বম্পর্কে আল্লামা তাকি উসমানি বলেন, ‘এই বইটিতে যেমন রয়েছে সাহিত্যরস ও শব্দের শৈল্পিক সৌন্দর্য, বিশুদ্ধ তথ্যসূত্র থেকে এমন সব তথ্যের সমাহার রয়েছে, যা সিরাতবিষয়ক বৃহৎ কলেবরের গ্রন্থেও পাওয়া দুষ্কর। হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবি (রহ.)-এর অন্যতম খলিফা ডা. আব্দুল হাই আরেফি বলেন, সাহিত্যের আঙ্গিকে লেখা এটি এক অনন্য বই। বিস্ময়কর সাহিত্যকর্ম। সিরাত সাহিত্যে এর উপমা বিরল। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ধর্ম অনুষদের বিভাগীয় প্রধান ড. সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, মুহাম্মদ ওয়ালী রাজী এমন এক বিস্ময়কর বই লিখেছেন, যা এর আগে কেউ লেখেনি। লেখক ঘটনা বর্ণনার বিশুদ্ধতার প্রতি লক্ষ রেখেছেন। এই উপমহাদেশের বাদশাহ আকবরের যুগে আবুল ফয়েজ ফয়জী কোরআনুল কারিমের এক তাফসির লেখেন নুকতামুক্ত হরফ দ্বারা। সাওয়াতিউল ইলহাম নামের এই তাফসির পৃথিবীর এক বিস্ময়কর কাজ। মুহাম্মদ ওয়ালী রাজী বিশ্বময় সিরাতে রাসুলের ওপর রচিত কিতাবগুলোর তালিকায় বিরল সাহিত্যকর্ম দ্বারা নবীপ্রেম প্রকাশ করেছেন।
বইয়ের ভূমিকায় তিনি লিখেছেন, ‘অ্যা মহজ আল্লাহতায়ালা কি হ্যায়’। আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে সম্ভব হয়েছে এ কাজ। সন্ত্রাসের কবলে পৃথিবীবাসীর মুক্তির পথ হলো সিরাতে রাসুলের পথ। নবীজির আদর্শই মুক্ত করতে পারে হতাশার সাগরে ডুবন্ত মানব ও মানবতাকে। ওয়ালী রাজীর পথ ধরে লেখকরা ছবি দেবে মুহাম্মদ নামের ফুলের সুঘ্রাণ। সুরভিত হবে পৃথিবী। মাতোয়ারা হবে দুনিয়া সেই খুশবুতে।
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
২১ ঘণ্টা আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে