আদিয়াত উল্লাহ
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাকে দিয়েছেন ভালো-খারাপ পার্থক্য করার বুদ্ধি-বিবেচনাবোধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা তিন : ৪) এতৎসত্ত্বেও আল্লাহর অবাধ্যতা, নাফরমানি ও আল্লাহর অসন্তুষ্টিমূলক কাজের প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হয়। মানবদেহের আকৃতির বিকৃতিসাধনও এর অন্তর্ভুক্ত।
মানবেতিহাসের প্রত্যেক যুগেই নানারকম পদ্ধতিতে নানা সুরতে মানবদেহের আকৃতি বিকৃত করার প্রথা প্রচলিত ছিল। প্রত্যেক নবীই এ জঘন্য বিকৃতি ও আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে তাঁদের দাওয়াত ও কর্মধারা অব্যাহত রেখেছেন। ‘এআই দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরি’ মানবদেহের আকৃতির বিকৃতিরই একটি প্রকারভেদ। এআই দিয়ে সহজেই এটি তৈরি করা যায় বলে সম্প্রতি এটি তরুণদের মাঝে মানবদেহের আকৃতি বদলে কার্টুন তৈরির ক্ষেত্রে দারুণ সাড়া ফেলেছে। অনেক মুসলিম তরুণ-তরুণী শখের বশে এটি ব্যবহার করে নিজের অজান্তেই আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন। শয়তানের সূক্ষ্ম ফাঁদে পা দিয়ে আল্লাহর ক্রোধের উদ্রেক ঘটাচ্ছেন। অথচ এর বিরুদ্ধে কোরআন ও হাদিসে কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে এবং এতে জড়িত সবার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আল্লাহ তাকে (শয়তান) অভিসম্পাত করেছেন, আর সে (শয়তান) বলেছে, ‘আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের মধ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশকে (নিজের দলে) গ্ৰহণ করবই। আর আমি অবশ্যই তাদের পথভ্রষ্ট করব এবং তাদের অন্তরে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করবই। আর আমি নিশ্চয়ই তাদের নির্দেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবেই। আর আমি নিশ্চয়ই তাদের নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবেই।’ আর যে আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্ৰহণ করবে, সে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে (শয়তান) তাদের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করে, আর শয়তান তাদের ধোঁকা ছাড়া কোনো প্রতিশ্রুতিই দেয় না। এরাই সেসব লোক, যাদের অবস্থান জাহান্নাম। আর তারা সেখান থেকে নিষ্কৃতি পাবে না।” (সুরা নিসা : ১১৮-১২১)।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন ওইসব নারীর প্রতি, যারা অন্যের শরীরে উল্কি অঙ্কন করে, নিজ শরীরে উল্কি অঙ্কন করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রু-চুল উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে।’ (বুখারি : ৪৮৮৬)। আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যে নারী উল্কি আঁকে, দাঁতে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং যে মুখের চুল (ভ্রু) তুলে ফেলে, আর এভাবে আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে, তাদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন। (নাসায়ি : ৫২৫৩)।
অধিকাংশ ফিকহবিদ ও আলেমদের মতে, আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি ঘটানো হারাম। এআই দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরিও মানুষের দৈহিক অবয়বের একধরনের বিকৃতি। আর এ ধরনের বিকৃতি মূলত শয়তানপূজারিদের কাজ। এর ফলে প্রধানত কয়েকটি বড় ক্ষতি সাধিত হয়—১. আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও অভিসম্পাত লাভ; ২. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসন্তুষ্টি ও অভিসম্পাত লাভ; ৩. শয়তানের দলভুক্ত হওয়া; ৪. আখিরাতে জাহান্নামে বাসস্থান হওয়া; ৫. ভিন্ন জাতির বদ আকিদার অনুসরণ; এবং ৬. ঈমান হারানো।
এআই দিয়ে ঘিবলি স্টাইল তৈরি আধুনিক যুগের নব্য ও ঈমান-বিধ্বংসী এক ভয়ংকর ও সর্বগ্রাসী ফিতনা, যা থেকে সর্বস্তরের মুমিন মুসলিম ভাইবোনদের বেঁচে থাকা একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাকে দিয়েছেন ভালো-খারাপ পার্থক্য করার বুদ্ধি-বিবেচনাবোধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা তিন : ৪) এতৎসত্ত্বেও আল্লাহর অবাধ্যতা, নাফরমানি ও আল্লাহর অসন্তুষ্টিমূলক কাজের প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হয়। মানবদেহের আকৃতির বিকৃতিসাধনও এর অন্তর্ভুক্ত।
মানবেতিহাসের প্রত্যেক যুগেই নানারকম পদ্ধতিতে নানা সুরতে মানবদেহের আকৃতি বিকৃত করার প্রথা প্রচলিত ছিল। প্রত্যেক নবীই এ জঘন্য বিকৃতি ও আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে তাঁদের দাওয়াত ও কর্মধারা অব্যাহত রেখেছেন। ‘এআই দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরি’ মানবদেহের আকৃতির বিকৃতিরই একটি প্রকারভেদ। এআই দিয়ে সহজেই এটি তৈরি করা যায় বলে সম্প্রতি এটি তরুণদের মাঝে মানবদেহের আকৃতি বদলে কার্টুন তৈরির ক্ষেত্রে দারুণ সাড়া ফেলেছে। অনেক মুসলিম তরুণ-তরুণী শখের বশে এটি ব্যবহার করে নিজের অজান্তেই আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন। শয়তানের সূক্ষ্ম ফাঁদে পা দিয়ে আল্লাহর ক্রোধের উদ্রেক ঘটাচ্ছেন। অথচ এর বিরুদ্ধে কোরআন ও হাদিসে কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে এবং এতে জড়িত সবার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আল্লাহ তাকে (শয়তান) অভিসম্পাত করেছেন, আর সে (শয়তান) বলেছে, ‘আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের মধ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশকে (নিজের দলে) গ্ৰহণ করবই। আর আমি অবশ্যই তাদের পথভ্রষ্ট করব এবং তাদের অন্তরে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করবই। আর আমি নিশ্চয়ই তাদের নির্দেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবেই। আর আমি নিশ্চয়ই তাদের নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবেই।’ আর যে আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্ৰহণ করবে, সে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে (শয়তান) তাদের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করে, আর শয়তান তাদের ধোঁকা ছাড়া কোনো প্রতিশ্রুতিই দেয় না। এরাই সেসব লোক, যাদের অবস্থান জাহান্নাম। আর তারা সেখান থেকে নিষ্কৃতি পাবে না।” (সুরা নিসা : ১১৮-১২১)।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন ওইসব নারীর প্রতি, যারা অন্যের শরীরে উল্কি অঙ্কন করে, নিজ শরীরে উল্কি অঙ্কন করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রু-চুল উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে।’ (বুখারি : ৪৮৮৬)। আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যে নারী উল্কি আঁকে, দাঁতে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং যে মুখের চুল (ভ্রু) তুলে ফেলে, আর এভাবে আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে, তাদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন। (নাসায়ি : ৫২৫৩)।
অধিকাংশ ফিকহবিদ ও আলেমদের মতে, আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি ঘটানো হারাম। এআই দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরিও মানুষের দৈহিক অবয়বের একধরনের বিকৃতি। আর এ ধরনের বিকৃতি মূলত শয়তানপূজারিদের কাজ। এর ফলে প্রধানত কয়েকটি বড় ক্ষতি সাধিত হয়—১. আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও অভিসম্পাত লাভ; ২. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসন্তুষ্টি ও অভিসম্পাত লাভ; ৩. শয়তানের দলভুক্ত হওয়া; ৪. আখিরাতে জাহান্নামে বাসস্থান হওয়া; ৫. ভিন্ন জাতির বদ আকিদার অনুসরণ; এবং ৬. ঈমান হারানো।
এআই দিয়ে ঘিবলি স্টাইল তৈরি আধুনিক যুগের নব্য ও ঈমান-বিধ্বংসী এক ভয়ংকর ও সর্বগ্রাসী ফিতনা, যা থেকে সর্বস্তরের মুমিন মুসলিম ভাইবোনদের বেঁচে থাকা একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১৭ ঘণ্টা আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে