এম. এম. কায়সার
কমন সেন্স বলতে কী বুঝি বা সামাজিকবিজ্ঞানে এর সংজ্ঞা কী- সেটা আগে শুনি।
এমন সাধারণ বুদ্ধি বা বিচারবোধ, যা বেশিরভাগ মানুষ স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা থেকে পায়- সেই অভিজ্ঞতা থেকেই পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সংজ্ঞাটা ঠিক এমন কিছু :
কমন সেন্স হলো সেই স্বাভাবিক মানসিক ক্ষমতা, যার সহায়তায় মানুষ যুক্তি, অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিকতা গণনায় এনে সাধারণ জ্ঞানের ব্যবহার করে বাস্তব জীবনের সমস্যা বা পরিস্থিতিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
উপরের এই সংজ্ঞাটা একটু করে দিচ্ছি। যে জ্ঞান, বিবেচনা বা বিচারবোধ মুখস্থ করা বইয়ের বিদ্যা থেকে নয়, বরং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আসে- সেটাই কমন সেন্স।
এ বিষয়ে ছোট্ট কয়েকটি উদাহরণ :
ক) গরম চুলায় হাত না দেওয়া।
খ) রাস্তা পার হওয়ার সময় দুই পাশে দেখে নেওয়া।
গ) ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক সুইচ না ধরা।
আরো আছে। আচ্ছা থাক; এবার ক্রিকেটে ফিরি।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচের পর হঠাৎ করে ক্রিকেটে এই কমন সেন্স আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। মিরপুরে এই ম্যাচটি টাই হয়েছে। পরে সুপার ওভারে ম্যাচটি জিতে নিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সুপার ওভারে একটি দল যখন ছয় বলে সাত রানও করতে পারে না, তখন সেই দলের ক্রিকেটার, কোচ, ক্যাপ্টেন এবং টিম ম্যানেজমেন্ট সবারই দক্ষতা, যোগ্যতা ও সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি এটাও জানতে ইচ্ছে করে- আসলেই সেদিন তাদের সবার কমন সেন্সের স্তরের মাত্রাটা কেমন এবং কতটুকু ছিল?
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করল মাত্র ১০ রান। বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট ১১ রান। ব্যাটিংয়ে কোন তিনজন নামবেন, সে তালিকা ঠিক করতে ডাগ আউটে হেড কোচ, ব্যাটিং কোচ ও ক্যাপ্টেন শলাপরামর্শ করলেন। ক্রিকেটের এমন পরিস্থিতি আগেও অনেক দেখেছেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তবে এদিন তারা সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ের জন্য ব্যাটসম্যানের যে তালিকা করলেন, তাতেই প্রশ্নটা উঠছে যে, এই সিদ্ধান্তে কমন সেন্সের ব্যবহার ছিল কতখানি?
আমাদের ক্রিকেট কোচরা একটি কথা প্রায়ই বলে থাকেন, ‘ম্যাচে মোমেন্টাম কাজে লাগাতে হবে।’ এই ম্যাচে ব্যাটসম্যান হিসেবে খানিক আগে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং করে এসেছিলেন রিশাদ হোসেন। ১৪ বলে অপরাজিত ৩৯ রান। তিন বাউন্ডারি ও তিন ছক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনারদের কীভাবে কোন কায়দায় বড় শটে উড়িয়ে মারতে হয়- সেই দক্ষতার প্রমাণ রাখেন তিনি বাংলাদেশ ইনিংসে। অথচ যখন সুপার ওভারের মারমার-কাটকাট ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন হলো, তখনই তার নাম তালিকায় নেই।
এটা কেমন সেন্স?
জ্বি, ঠিক ধরেছেন, নন সেন্স!
এ প্রসঙ্গে দলের সাবেক পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট মহসিন শেখ বর্তমানে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘ড্রেসিংরুমে না থাকার সময় স্থানীয় ক্রিকেটারদের কমন সেন্স নিয়ে আপনি প্রশ্ন তোলেন। আর যখন আপনি দায়িত্বে, তখন ওই কমন সেন্স কই যায়?’
নাজমুল হোসেন শান্ত তো টি-টোয়েন্টি দল থেকেই বাদ পড়েছেন। অথচ এদিন যখন সুপার ওভারে টি-টোয়েন্টি ইনিংসের প্রয়োজন, তখন তাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হলো। দাঁত-মুখ খিঁচে চেষ্টা করেও নাজমুল, সৌম্য ও সাইফ কেউই ছয় বলে সাত রানের সহজ টার্গেট ছুঁতে পারলেন না!
আপনি বলতে পারেন, রিশাদ নামলেও হয়তো প্রথম বলেই আউট হয়ে যেতে পারতেন। হতে পারত। কিন্তু তাকে পাঠানোর একটা ক্রিকেটীয় যুক্তি তো আপনি দিতে পারতেন। স্পিনার আকিল হোসেনের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বাঁহাতি একজনকে নামাতে হবে বলেই কি নাজমুল শান্তকে সুপার ওভারে পাঠানো?
মোমেন্টামকে হাতছাড়া করা যাবে না বলে গলা ফাটানো কোচিং স্টাফরা যে নিজেরাই হাতে পাওয়া মোমেন্টামকে পায়ে দলে ফিরলেন। ম্যাচ জিতলে ডাগআউটে বসা কোচিং স্টাফরা যেভাবে সাফল্যেও অংশীদার হন, ঠিক একইভাবে ম্যাচ হারের দায়ভারও তাদের নিতে হবে। ৩৩ নম্বর পেয়েও পাস করা যায়। আবার ৮০ নম্বরও পাসের মার্ক। এই দলের মাঠের ক্রিকেটাররা এবং ডাগআউটে বসা কোচিং স্টাফরা ৩৩ নম্বর নিয়েই কলার ঠোকেন-‘আমি এখন উপরের ক্লাসে’।
মঙ্গলবারের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি মিরাজ দশে শূন্য পাচ্ছেন। এই ম্যাচ যে ৫০ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত যেতে পারে, সে হিসাবই ছিল না তার মাথায়। আর তাই আগেভাগে সেরা বোলারদের বোলিং কোটা শেষ করে ফেললেন তিনি! এমনকি তার নিজের ওভারও শেষ। বাধ্য হয়ে ম্যাচের শেষ ওভারের জন্য পার্টটাইম বোলার সাইফ হাসানের কাছে ছুটতে হলো তাকে। সাইফ অবশ্য শেষ ওভারে দারুণ কিছু করে ম্যাচটি টাই করলেন। তবে বোলারদের বোলিং রোটেশন এবং শেষের হিসাব ঠিক রাখার অঙ্কের কথা যে অধিনায়ক মিরাজ পুরোদস্তুর ভুলেই গিয়েছিলেন যেন!
দুস্তর ক্যাচ মাটিতে পড়েছে। সুপার ওভারে অধিনায়ক নিজেও ক্যাচ ফেলেছেন। ম্যাচ ফেলে হেরে ফিরছেন। অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজ পেছনের ১২ ম্যাচের মধ্যে ৯টি হেরেছেন, জিতেছেন দুই ম্যাচে, এক ম্যাচে টাই। পারফরমার হিসেবে গড়পড়তা মান। ১২ ম্যাচে ৩৭৪ রান ও ১১ উইকেট শিকারের তার পারফরম্যান্স সেটাই জানাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো ক্যারিশমেটিক কিছু নেই।
অধিনায়ক প্রসঙ্গে ভারতের প্রয়াত অধিনায়ক মনসুর আলী খান পাতৌদির বিখ্যাত একটি উক্তি আছে, ‘অধিনায়ক সাধারণত দুই ধরনের। অধিনায়ক হয় পেছন থেকে দলকে ধাক্কা দিয়ে সামনে বাড়াবেন, নয়তো সামনে থেকে লড়ে টেনে তুলবেন।’
ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান মিরাজ আপাতত এই দুইয়ের কোনোটিতেই পড়ছেন না। মনে হচ্ছে হাঁচড়ে-পাঁচড়ে জবুথবু একটি দল তাকেই বরং টেনে নিয়ে চলেছে।
এমন ক্যাপ্টেন দলকে জেতাবেন কীভাবে, তিনি তো নিজেই হেরে চলেছেন মাঠে-মঞ্চে-মর্যাদায়!
বিসিবির কমন সেন্স কি বলে?
কমন সেন্স বলতে কী বুঝি বা সামাজিকবিজ্ঞানে এর সংজ্ঞা কী- সেটা আগে শুনি।
এমন সাধারণ বুদ্ধি বা বিচারবোধ, যা বেশিরভাগ মানুষ স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা থেকে পায়- সেই অভিজ্ঞতা থেকেই পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সংজ্ঞাটা ঠিক এমন কিছু :
কমন সেন্স হলো সেই স্বাভাবিক মানসিক ক্ষমতা, যার সহায়তায় মানুষ যুক্তি, অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিকতা গণনায় এনে সাধারণ জ্ঞানের ব্যবহার করে বাস্তব জীবনের সমস্যা বা পরিস্থিতিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
উপরের এই সংজ্ঞাটা একটু করে দিচ্ছি। যে জ্ঞান, বিবেচনা বা বিচারবোধ মুখস্থ করা বইয়ের বিদ্যা থেকে নয়, বরং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আসে- সেটাই কমন সেন্স।
এ বিষয়ে ছোট্ট কয়েকটি উদাহরণ :
ক) গরম চুলায় হাত না দেওয়া।
খ) রাস্তা পার হওয়ার সময় দুই পাশে দেখে নেওয়া।
গ) ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক সুইচ না ধরা।
আরো আছে। আচ্ছা থাক; এবার ক্রিকেটে ফিরি।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচের পর হঠাৎ করে ক্রিকেটে এই কমন সেন্স আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। মিরপুরে এই ম্যাচটি টাই হয়েছে। পরে সুপার ওভারে ম্যাচটি জিতে নিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সুপার ওভারে একটি দল যখন ছয় বলে সাত রানও করতে পারে না, তখন সেই দলের ক্রিকেটার, কোচ, ক্যাপ্টেন এবং টিম ম্যানেজমেন্ট সবারই দক্ষতা, যোগ্যতা ও সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি এটাও জানতে ইচ্ছে করে- আসলেই সেদিন তাদের সবার কমন সেন্সের স্তরের মাত্রাটা কেমন এবং কতটুকু ছিল?
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করল মাত্র ১০ রান। বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট ১১ রান। ব্যাটিংয়ে কোন তিনজন নামবেন, সে তালিকা ঠিক করতে ডাগ আউটে হেড কোচ, ব্যাটিং কোচ ও ক্যাপ্টেন শলাপরামর্শ করলেন। ক্রিকেটের এমন পরিস্থিতি আগেও অনেক দেখেছেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তবে এদিন তারা সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ের জন্য ব্যাটসম্যানের যে তালিকা করলেন, তাতেই প্রশ্নটা উঠছে যে, এই সিদ্ধান্তে কমন সেন্সের ব্যবহার ছিল কতখানি?
আমাদের ক্রিকেট কোচরা একটি কথা প্রায়ই বলে থাকেন, ‘ম্যাচে মোমেন্টাম কাজে লাগাতে হবে।’ এই ম্যাচে ব্যাটসম্যান হিসেবে খানিক আগে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং করে এসেছিলেন রিশাদ হোসেন। ১৪ বলে অপরাজিত ৩৯ রান। তিন বাউন্ডারি ও তিন ছক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনারদের কীভাবে কোন কায়দায় বড় শটে উড়িয়ে মারতে হয়- সেই দক্ষতার প্রমাণ রাখেন তিনি বাংলাদেশ ইনিংসে। অথচ যখন সুপার ওভারের মারমার-কাটকাট ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন হলো, তখনই তার নাম তালিকায় নেই।
এটা কেমন সেন্স?
জ্বি, ঠিক ধরেছেন, নন সেন্স!
এ প্রসঙ্গে দলের সাবেক পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট মহসিন শেখ বর্তমানে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘ড্রেসিংরুমে না থাকার সময় স্থানীয় ক্রিকেটারদের কমন সেন্স নিয়ে আপনি প্রশ্ন তোলেন। আর যখন আপনি দায়িত্বে, তখন ওই কমন সেন্স কই যায়?’
নাজমুল হোসেন শান্ত তো টি-টোয়েন্টি দল থেকেই বাদ পড়েছেন। অথচ এদিন যখন সুপার ওভারে টি-টোয়েন্টি ইনিংসের প্রয়োজন, তখন তাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হলো। দাঁত-মুখ খিঁচে চেষ্টা করেও নাজমুল, সৌম্য ও সাইফ কেউই ছয় বলে সাত রানের সহজ টার্গেট ছুঁতে পারলেন না!
আপনি বলতে পারেন, রিশাদ নামলেও হয়তো প্রথম বলেই আউট হয়ে যেতে পারতেন। হতে পারত। কিন্তু তাকে পাঠানোর একটা ক্রিকেটীয় যুক্তি তো আপনি দিতে পারতেন। স্পিনার আকিল হোসেনের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বাঁহাতি একজনকে নামাতে হবে বলেই কি নাজমুল শান্তকে সুপার ওভারে পাঠানো?
মোমেন্টামকে হাতছাড়া করা যাবে না বলে গলা ফাটানো কোচিং স্টাফরা যে নিজেরাই হাতে পাওয়া মোমেন্টামকে পায়ে দলে ফিরলেন। ম্যাচ জিতলে ডাগআউটে বসা কোচিং স্টাফরা যেভাবে সাফল্যেও অংশীদার হন, ঠিক একইভাবে ম্যাচ হারের দায়ভারও তাদের নিতে হবে। ৩৩ নম্বর পেয়েও পাস করা যায়। আবার ৮০ নম্বরও পাসের মার্ক। এই দলের মাঠের ক্রিকেটাররা এবং ডাগআউটে বসা কোচিং স্টাফরা ৩৩ নম্বর নিয়েই কলার ঠোকেন-‘আমি এখন উপরের ক্লাসে’।
মঙ্গলবারের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি মিরাজ দশে শূন্য পাচ্ছেন। এই ম্যাচ যে ৫০ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত যেতে পারে, সে হিসাবই ছিল না তার মাথায়। আর তাই আগেভাগে সেরা বোলারদের বোলিং কোটা শেষ করে ফেললেন তিনি! এমনকি তার নিজের ওভারও শেষ। বাধ্য হয়ে ম্যাচের শেষ ওভারের জন্য পার্টটাইম বোলার সাইফ হাসানের কাছে ছুটতে হলো তাকে। সাইফ অবশ্য শেষ ওভারে দারুণ কিছু করে ম্যাচটি টাই করলেন। তবে বোলারদের বোলিং রোটেশন এবং শেষের হিসাব ঠিক রাখার অঙ্কের কথা যে অধিনায়ক মিরাজ পুরোদস্তুর ভুলেই গিয়েছিলেন যেন!
দুস্তর ক্যাচ মাটিতে পড়েছে। সুপার ওভারে অধিনায়ক নিজেও ক্যাচ ফেলেছেন। ম্যাচ ফেলে হেরে ফিরছেন। অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজ পেছনের ১২ ম্যাচের মধ্যে ৯টি হেরেছেন, জিতেছেন দুই ম্যাচে, এক ম্যাচে টাই। পারফরমার হিসেবে গড়পড়তা মান। ১২ ম্যাচে ৩৭৪ রান ও ১১ উইকেট শিকারের তার পারফরম্যান্স সেটাই জানাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো ক্যারিশমেটিক কিছু নেই।
অধিনায়ক প্রসঙ্গে ভারতের প্রয়াত অধিনায়ক মনসুর আলী খান পাতৌদির বিখ্যাত একটি উক্তি আছে, ‘অধিনায়ক সাধারণত দুই ধরনের। অধিনায়ক হয় পেছন থেকে দলকে ধাক্কা দিয়ে সামনে বাড়াবেন, নয়তো সামনে থেকে লড়ে টেনে তুলবেন।’
ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান মিরাজ আপাতত এই দুইয়ের কোনোটিতেই পড়ছেন না। মনে হচ্ছে হাঁচড়ে-পাঁচড়ে জবুথবু একটি দল তাকেই বরং টেনে নিয়ে চলেছে।
এমন ক্যাপ্টেন দলকে জেতাবেন কীভাবে, তিনি তো নিজেই হেরে চলেছেন মাঠে-মঞ্চে-মর্যাদায়!
বিসিবির কমন সেন্স কি বলে?
ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কার? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পেছনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। হাল আমলেই খেলে যাওয়া বিরাট কোহলির নামটা সকলেই চেনেন, জানেন। অথচ সেই চেনাজানা কোহলিই দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফিরে হয়ে ওঠলেন অচেনা!
৩৬ মিনিট আগেদ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে জানানো হয়েছিল তৃতীয় ম্যাচের আগে নেই কোনো অনুশীলন সেশন। তবু গতকাল মিরপুরে হাজির ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনাছয়েক ক্রিকেটার। সঙ্গে ছিলেন হেড কোচ ড্যারেন স্যামিসহ টিম ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্য।
৬ ঘণ্টা আগে