ফ্রান্সের বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফির খরা কাটে যার হাত ধরে, তিনি আর কেউ নন- জিনেদিন জিদান। ফরাসি ফুটবলের সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলা হয়ে থাকে তাকে। আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত হলেও তিনি ফরাসি নাগরিক। জিদানের বাবা ইসমাইল ও মা মালিকা ছিলেন আলজেরিয়ান।
জিদান ফ্রান্সের জার্সি গায়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ। ১৯৯৮ সালে ফরাসিদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছিলেন প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দিয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ মিডফিল্ডারের ছেলে লুকা জিদান খেলবেন আলজেরিয়ার জার্সিতে। জন্ম ফ্রান্সের মার্সেইয়ে হলেও লুকা বেছে নিয়েছেন দাদা-দাদির দেশ আলজেরিয়ার নাগরিকত্বও। এরই মধ্যে ফিফা থেকে খেলার মাঠে আফ্রিকার দেশটির প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতিও পেয়েছেন ২৭ বছরের গোলকিপার লুকা। খবরটি নিশ্চিত করেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লেকিপ’।
লুকা খেলছেন এখন স্পেনের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব গ্রানাডার জার্সিতে। তবে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমি থেকে। খেলেছেন স্প্যানিশ ক্লাব রেসিং সান্তান্দার, রায়ো ভায়েকানো ও আইবারের হয়েও। গত বছর গ্রানাডায় নাম লেখার পর চলতি মৌসুমে খেলেছেন মাত্র চারটি ম্যাচ। লুকা ২০১৮ সালে ফ্রান্সের অনূর্ধ্ব-২০ দলেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু ফ্রান্সের জাতীয় দলে জায়গা হয়নি। ফ্রান্স জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে এখন আলজেরিয়ার হয়ে খেলতে চান লুকা।
তবে আলজেরিয়ার জাতীয় দলে খেলা লুকার জন্য মোটেই সহজ হবে না। সেখানেও তাকে যেতে হবে কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। পেছনে ফেলতে হবে অ্যান্থনি মান্দ্রেয়া, আলেক্সিস গুয়ানদুজ ও উসামা বেনবটের মতো গোলরক্ষকদের। দলের আরেক অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আলেক্সান্দ্র ওকিদজা এখন ভুগছেন চোটে।
আগামী অক্টোবরের শুরুতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলবে আলজেরিয়া। প্রতিপক্ষ সোমালিয়া ও উগান্ডা। আর ডিসেম্বরে দলটি খেলবে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে। লুকার তিন ভাইও ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। বড় ভাই এনজো ছিলেন মাঝ মাঠের খেলোয়াড়। তবে ২৯ বছর বয়সে ফুটবলকে গুডবাই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। অন্য দুই ভাই থিও (মিডফিল্ডার) ও এলিয়াজ (ডিফেন্ডার) এখনো খেলে যাচ্ছেন। দুজন খেলছেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল বেতিসের হয়ে।

