চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল

ফাইনালের উইকেটে ভারত আগেই খেলেছিল

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫, ১১: ০০

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাকি দলগুলোর চেয়ে ভারত বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে- এই অভিযোগ এখন প্রতিষ্ঠিত। একই ভেন্যুতে, একই কন্ডিশনে এমনকি আগে খেলা উইকেটেও ফের খেলার সুযোগ পাচ্ছে তারা। পুরো দলের কোনো ভ্রমণ নেই। ক্লান্তি নেই। অন্যদিকে এই টুর্নামেন্টে লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও দুবাই সফর করতে গিয়ে নিউজিল্যান্ড বিমান পথে ভ্রমণ করেছে সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার। টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো তারা ম্যাচ খেলার জন্য আবার দুবাইয়ে এসেছে।


অভিযোগ উঠেছে ভারত এই টুর্নামেন্টে ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ পাচ্ছে। দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়াম ভারতের ‘ঘরের মাঠ’ হয়ে গেছে।
আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল যে উইকেটে হবে সেটা আরেকবার ভারতের বাড়তি সুবিধার সত্যতাই জানাচ্ছে। এই উইকেটে ভারত আগেও একটি ম্যাচ খেলেছিল। ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ হয়েছিল এই উইকেটে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে সহজেই ৬ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। দুবাইয়ের সেই ধীরগতির, স্পিন সহায়ক উইকেটেই ফাইনাল ম্যাচ হবে। এই উইকেটের আচরণ কেমন হবে সেটা ভারতের এই দলের চেয়ে আর বেশি কারো জানা নেই। নিশ্চিত জানুন ফাইনালেও ভারত একাদশে চার স্পিনার নিয়েই খেলছে।

বিজ্ঞাপন


নিউজিল্যান্ড চলতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজকের ফাইনালের আগে মাত্র একটি ম্যাচ দুবাইয়ে খেলেছিল। হেরেছিল তারা সেই ম্যাচে। ফাইনালে তারা সেই একই ভেন্যুতে খেলছে। তবে এবার উইকেট হবে ভিন্ন, কিছুটা অপরিচিত।


২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ভারত তিন স্পিনার একাদশে নিয়ে খেলেছিল। কুলদ্বীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবিন্দু জাদেজা- এই তিনজনে সবমিলিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন। রহস্যময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে খেলেননি। তবে যে ফর্মে রয়েছেন বরুণ তাতে ফাইনালে তিনি থাকছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তা ছাড়া এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ মোকাবিলায় বরুণ ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন।


দুবাইয়ের উইকেট ব্যাটারদের চেয়ে বোলারদেরই বেশি সহায়তা করে। আগেই জানা যে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলেছে দুবাইয়ে। অন্যদিকে পাকিস্তানের লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির উইকেট মূলত সহজ ব্যাটিং উইকেট। সেখানে নিউজিল্যান্ড তাদের চার ম্যাচের তিনটি খেলেছে। দুবাইয়ে এখন পর্যন্ত যে চারটি ম্যাচ হয়েছে সেটার গড় হলো প্রতি ম্যাচে ২৪৬ রান। সর্বোচ্চ ২৬৪ রান করেছিল এখানে অস্ট্রেলিয়া। তাও তারা সেই ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। ভারত ৬ উইকেট হারালেও ১১ বল বাকি থাকতেই সেই সেমিফাইনাল জিতে নেয়।

নিউজিল্যান্ডকে আগের ম্যাচে স্পিন দিয়েই কাবু করা ভারতীয় দল আজকের ফাইনালেও সেই একই ছক এঁকেছে। এই উইকেটে টস জয়ী দল আগে ব্যাটিং সেরে রাখতে চাইবে। কারণ ব্যবহৃত উইকেটে পরে স্পিন সামাল দেওয়া আরো জটিল হয়।


ফাইনালের উইকেট স্পিন সহায়ক হবে। তবে নিউজিল্যান্ড যদি আগে ব্যাট করে এখানে ২৭৫ বা ২৮০ রান তুলতে পারে তাহলে ভারতের জন্য ম্যাচ জয়টা কঠিন হবে। স্পিন শক্তিতে নিউজিল্যান্ডও কিন্তু কম যায় না। মিচেল স্যান্টনার, মাইকেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপস ও রাচিন রবিন্দু-এই চারজনের কাঁধে স্পিন আক্রমণের ভার। প্রয়োজন হলে সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও অফস্পিনে হাতে ঘোরাতে পারেন।


-কী বুঝলেন?


আজকের ফাইনাল তাতে স্পিনে স্পিনে যুদ্ধ!

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত