২০২৪ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তার। তাই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট নিয়ে কোনো ধরনের মাথাব্যথাও নেই মিচেল স্টার্কের। তবে তার আগ্রহ আছে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সামনে বেশ কয়েকটি টেস্ট সিরিজ। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও ইংল্যান্ড।
টেস্টের এই ব্যস্ত সূচির সঙ্গে রয়েছে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আর ওয়ানডের বৈশ্বিক আসরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে গুডবাই জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা এ পেসার।
৩৫ বছরের স্টার্ক অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে এ পর্যন্ত ৬৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্যও ছিলেন। স্টার্ক এ সংস্করণে সর্বশেষ খেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ আসরে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্টার্কের অভিষেক হয় ২০১২ সালে। সেই থেকে উইকেট নিয়েছেন ৭৯টি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড এটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২২ সালে ২০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। এটা তার টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার।
টি-টোয়েন্টিকে গুডবাই জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্টার্ক লিখেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে সব সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আমি উপভোগ করেছি। বিশেষ করে ২০২১ বিশ্বকাপে। তবে শুধু শিরোপা জেতায় উপভোগ করেছি, ঠিক তা নয়; বরং অসাধারণ সতীর্থ আর দারুণ সব স্মৃতিগুলোও ছিল উপভোগ্য।’
টেস্ট ও ওয়ানডেকে গুরুত্ব দিয়ে স্টার্ক আরো যোগ করেন, ‘২০২৭ সালে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ, অ্যাশেজ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজের ফিটনেস আর সেরা ছন্দ ধরে রাখতে এটাই সেরা সিদ্ধান্ত। এতে আমাদের বোলিং ইউনিট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পাবে।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে যাবেন স্টার্ক।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার
ম্যাচ : ৬৫
উইকেট : ৭৯
বল : ১৪৫৮
রান খরচ : ১৮৮১
সেরা বোলিং : ৪/২০
গড় : ২৩.৮১
ইকোনমি : ৭.৭৪

