বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ ঘিরে ধোঁয়াশা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ২২: ০০

দিন কয়েক আগে সিরিজ পেছানোর অনুরোধ করে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছিল বিসিসিআই। তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিবর্তিত সময়ে খেলতে চায় ভারত। সে কারণে চলতি বছরের ডিসেম্বর ও আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিরিজটি খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিপিএল ও বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুযায়ী ওই সময়ে সিরিজ আয়োজন বাস্তব না। আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না আসলেও শেষ পর্যন্ত এই সিরিজ স্থগিত হচ্ছে সেটা একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়।

আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচির (এফটিপি) অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজ আদতে কখন আয়োজিত হবে সেটা নিশ্চিত নয়। কারণ এফটিপি অনুযায়ী এই সিরিজের খেলার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই বাংলাদেশ দলের। চলতি বছরের জুলাইয়ে পাকিস্তানকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। এরপরই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা ছিল। কিন্তু স্থগিত হওয়ায় এই সিরিজের স্লটটি ফাঁকা থাকবে। তবে পরের সিরিজগুলোর আগে-পরে কোনো স্লট না থাকায় সিরিজ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা জেগেছে।

কারণ চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এরপরেই আয়ারল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে। এরপরে বিপিএল শেষে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের এপ্রিলে এই সিরিজের পর নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে ২০২৬ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথ্য দেবে। ২০২৭ সালে ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এরপরেই শেষ হবে চলমান এফটিপি। ফলে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ আয়োজনের স্লট বের করতে বেশ বেগ পেতে হবে বিসিবিকে।

অন্যদিকে বিসিবি সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির সময় জানিয়ে দিয়েছে, ভারত সফর হচ্ছে না। আগামীকাল পর্যন্ত সম্প্রচার স্বত্বের জন্য টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ সময়। আগামী ১০ জুলাই সম্প্রচার স্বত্ব কারা পাচ্ছে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিসিবি। ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করছে বিসিবি।

বিষয়:

ক্রিকেট
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত