আর্থিকভাবে দারুণ লোভনীয় প্রস্তাব পেয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। প্রস্তাব এসেছিল ট্রাভিস হেডের কাছেও। এ জন্য অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে খেলা বন্ধ করতে হতো তাদের। দেশের পরিবর্তে খেলতে হতো বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। সেটা করলে পেতেন এক কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার। দুই তারকা ক্রিকেটারকে এমনই লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিল আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। যাদের দল শুধু আইপিএল নয়, খেলে বিশ্বের আরো কয়েকটি টি-টোয়েন্টি লিগে। তবে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক কামিন্স ও তারকা ব্যাটসম্যান হেড প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছেন। খবরটি জানিয়েছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
কামিন্স ও হেড আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রস্তাবে রাজি হলে বছরে পেতেন এক কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার। ভারতের মুদ্রায় যা ৫৮ কোটি রুপিরও বেশি। এখন কামিন্স ও হেড আইপিএলের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ২০২৫ সালে কামিন্সকে ১৮ কোটি আর হেডকে ১৪ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকলে ক্রিকেটাররা বছরে পান ১৫ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮.৭৪ কোটি রুপি। টেস্ট অধিনায়ক কামিন্স বছরে আয় করেন প্রায় ৩০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ১৭.৪৮ কোটি রুপি। নাম না জানা ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রস্তাবে রাজি হলে তিনি বছরে পেতেন প্রায় দ্বিগুণ অর্থ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও অন্য অংশীদারদের মধ্যে বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) বেসরকারীকরণ নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে বিষয়টি উঠে আসে। বর্তমানে বিগ ব্যাশের মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সিএ ও অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোর হাতে। কিন্তু আইপিএল, পিএসএল, বিপিএলের মতো অন্য সব টি-টোয়েন্টি লিগের মালিকানা কোনো ব্যক্তি, ব্যবসায়িক গোষ্ঠী বা বিনিয়োগকারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আইপিএলের অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিন্ন নামে ভারতের বাইরে বিভিন্ন লিগে খেলে। সানরাইজার্স দ্য হান্ড্রেডে নর্দার্ন সুপারচার্জার্স ও এসএ২০- তে খেলে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ নামে। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দল রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসেরও।

