একজন ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন, অন্যজন ফুটবলের সর্বজয়ী। একজনের বসবাস এশিয়ার অন্যতম বড় নগরীতে, অন্যজন সুদূর লাতিন আমেরিকার রোজারিওর। হাজার মাইলের এই দূরত্ব ঘুচল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে। শচীন টেন্ডুলকার ও লিওনেল মেসির মিলনমেলায় মাতল মুম্বাই। ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের স্বাক্ষী হলো ক্রিকেট ও ফুটবলের। চারদিকে ভাসতে লাগল ‘মেসি, মেসি’ এবং ‘শচীন, শচীন’ চ্যান্টের তীব্র উল্লাস।
ক্রিকেট ও ফুটবলের ইতিহাসে দিনটিকে সুপার সানডে বলাই যায়। সাধারণত ক্রিকেট ও ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে আলাদা আলাদা উত্তেজনা দেখা যায়, কিন্তু দুই খেলোয়াড়ের উপস্থিতি সব বিভাজন ভুলিয়ে দিয়েছিল। দুজনের দেখায় শচীন নিজের স্বাক্ষর সম্বলিত জার্সি তুলে দিলেন মেসির হাতে। মেসি শচীনের হাতে তুলে দিলেন বিশ্বকাপের বল। স্মরণীয় হয়ে রইল দুজনের দেখা!
শচীন টেন্ডুলকার নিজেই এক্স-এ লিখেছেন, “আজকের দিনটা ছিল ১০/১০ লিও মেসি।” তিনি মেসিকে ১০ নম্বর টিম ইন্ডিয়ার জার্সি উপহার দিয়েছেন, যা মেসির জার্সির সংখ্যার সমান। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অনেক সেরা মুহূর্তের সাক্ষী এই ওয়াংখেড়ে। ২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়, বিরাট কোহলির রেকর্ডভাঙা ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি—সবই এখানে হয়েছে। শচীনের জন্য এটি যেন ঘরের মাঠের আনন্দ।
শচীন টেন্ডুলকার বলেন, “আমি এখানে কিছু অবিশ্বাস্য মুহূর্ত কাটিয়েছি। মুম্বাই স্বপ্নের শহর এবং এই ভেন্যুতে অনেক স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমাদের সমর্থন ছাড়া, আমরা ২০১১ সালের সোনালি মুহূর্তগুলো দেখতে পারতাম না। মেসি, সুয়ারেজ এবং ডি পলকে এখানে পাওয়া মুম্বাই ও ভারতের জন্য একটি সোনালি মুহূর্ত। লিওর কথা বলার জন্য এটি যথার্থ প্ল্যাটফর্ম নয়। তিনি সবকিছু অর্জন করেছেন। তার নিষ্ঠা, প্রতিশ্রুতি ও নম্রতার প্রশংসা করি। সকলের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সুস্বাস্থ্যের জন্য শুভকামনা জানাই। আশা করি ভারতীয় ফুটবল সেই উচ্চতায় পৌঁছাবে যা আমরা আকাঙ্ক্ষা করি।”
দর্শকরা বলেছেন, “ওয়াংখেড়ে এমন একসাথে দুই কিংবদন্তি দেখা সত্যিই অপ্রত্যাশিত এবং অভূতপূর্ব।” সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তগুলো প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তগুলো ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, “ক্রিকেট ও ফুটবল দুইই হৃদয়ের খেলা, আর এই মিলন দেখিয়ে দিয়েছে, এই দুই খেলার ভক্তদের মধ্যে পার্থক্য নেই।”
দুই কিংবদন্তির মিলনমেলায় মাতল মুম্বাই

স্পোর্টস ডেস্ক
একজন ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন, অন্যজন ফুটবলের সর্বজয়ী। একজনের বসবাস এশিয়ার অন্যতম বড় নগরীতে, অন্যজন সুদূর লাতিন আমেরিকার রোজারিওর। হাজার মাইলের এই দূরত্ব ঘুচল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে। শচীন টেন্ডুলকার ও লিওনেল মেসির মিলনমেলায় মাতল মুম্বাই। ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের স্বাক্ষী হলো ক্রিকেট ও ফুটবলের। চারদিকে ভাসতে লাগল ‘মেসি, মেসি’ এবং ‘শচীন, শচীন’ চ্যান্টের তীব্র উল্লাস।
ক্রিকেট ও ফুটবলের ইতিহাসে দিনটিকে সুপার সানডে বলাই যায়। সাধারণত ক্রিকেট ও ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে আলাদা আলাদা উত্তেজনা দেখা যায়, কিন্তু দুই খেলোয়াড়ের উপস্থিতি সব বিভাজন ভুলিয়ে দিয়েছিল। দুজনের দেখায় শচীন নিজের স্বাক্ষর সম্বলিত জার্সি তুলে দিলেন মেসির হাতে। মেসি শচীনের হাতে তুলে দিলেন বিশ্বকাপের বল। স্মরণীয় হয়ে রইল দুজনের দেখা!
শচীন টেন্ডুলকার নিজেই এক্স-এ লিখেছেন, “আজকের দিনটা ছিল ১০/১০ লিও মেসি।” তিনি মেসিকে ১০ নম্বর টিম ইন্ডিয়ার জার্সি উপহার দিয়েছেন, যা মেসির জার্সির সংখ্যার সমান। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অনেক সেরা মুহূর্তের সাক্ষী এই ওয়াংখেড়ে। ২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়, বিরাট কোহলির রেকর্ডভাঙা ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি—সবই এখানে হয়েছে। শচীনের জন্য এটি যেন ঘরের মাঠের আনন্দ।
শচীন টেন্ডুলকার বলেন, “আমি এখানে কিছু অবিশ্বাস্য মুহূর্ত কাটিয়েছি। মুম্বাই স্বপ্নের শহর এবং এই ভেন্যুতে অনেক স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমাদের সমর্থন ছাড়া, আমরা ২০১১ সালের সোনালি মুহূর্তগুলো দেখতে পারতাম না। মেসি, সুয়ারেজ এবং ডি পলকে এখানে পাওয়া মুম্বাই ও ভারতের জন্য একটি সোনালি মুহূর্ত। লিওর কথা বলার জন্য এটি যথার্থ প্ল্যাটফর্ম নয়। তিনি সবকিছু অর্জন করেছেন। তার নিষ্ঠা, প্রতিশ্রুতি ও নম্রতার প্রশংসা করি। সকলের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সুস্বাস্থ্যের জন্য শুভকামনা জানাই। আশা করি ভারতীয় ফুটবল সেই উচ্চতায় পৌঁছাবে যা আমরা আকাঙ্ক্ষা করি।”
দর্শকরা বলেছেন, “ওয়াংখেড়ে এমন একসাথে দুই কিংবদন্তি দেখা সত্যিই অপ্রত্যাশিত এবং অভূতপূর্ব।” সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তগুলো প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তগুলো ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, “ক্রিকেট ও ফুটবল দুইই হৃদয়ের খেলা, আর এই মিলন দেখিয়ে দিয়েছে, এই দুই খেলার ভক্তদের মধ্যে পার্থক্য নেই।”
