নিজেদের ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে আর্সেনাল। তার ফলও তারা পেয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাকর টুর্নামেন্টে শতভাগ জয়ের ধারাটা ধরে রেখেছে গানাররা। বুকায়ো সাকার কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁয়ে দেন জুরিয়েন টিম্বার। ১০ মিনিট পর লেনার্ট কার্ল সফরকারী বায়ার্নকে সমতায় ফেরান। কোচ মিকেল আর্তেতার দলকে বাকি দুই গোল এনে দেন ননি মাদুয়েকে আর গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
দুর্দান্ত খেললেন ভিতিনহা। কোনো অংশে কম গেলেন না কোলো মুয়ানি। ফুটবল জাদুতে ভিতিনহা পেলেন হ্যাটট্রিক। আর মুয়ানি সন্তুষ্ট থাকলেন জোড়া গোলে। ম্যাচের ব্যবধানটা ঠিক এখানেই স্পষ্ট। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে গোল উৎসব করল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। গোলের বন্যা বইয়ে দিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি টটেনহাম হটস্পার। কিন্তু পারেনি ইংলিশ ক্লাবটি। ৮ গোলের থ্রিলার ম্যাচে স্পার শিবির ৫-৩ গোলে হার মেনেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পিএসজির কাছে। আর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলানকে।
পার্ক দেস প্রিন্সেসে আগে লিড নিয়েছিল অবশ্য টটেনহামই। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ইংলিশ ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রিচার্লিসন। পিএসজি সমতায় ফেরে মিনিট দশেক পর। স্কোর লেভেল করা গোলটি করেন পিএসজির জয়ের নায়ক ভিতিনহা। ৫০ মিনিটে কোলো মুয়ানির গোলে ফের এগিয়ে যায় টটেনহাম। তিন মিনিট বাদে পিএসজির হয়ে স্কোর লেভেল করেন ওই ভিতিনহাই।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে গোল এনে দেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। আর ৬৫ মিনিটে টটেনহামের জাল কাঁপিয়ে দেন উইলিয়ান পাচো। তাতে পিএসজি এগিয়ে যায় ৪-২ গোলে। লড়াইয়ের ৭২ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন মুয়ানি। চার মিনিট পর পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ফেলেন ভিতিনহা। ইনজুরি টাইমে (৯০+৩ মিনিটে) লুকাস হার্নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। তবে পিএসজির শক্তি কমলেও ফায়দা লুটতে পারেনি স্পাররা। কেননা, ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য বলতে গেলে নির্ধারণ হয়ে গেছে।
একনজরে
পিএসজি ৫-৩ টটেনহাম হটস্পার
আর্সেনাল ৩-১ বায়ার্ন মিউনিখ
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-১ ইন্টার মিলান

