রোজা রেখেই মাঠে লড়ছেন ইয়ামাল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫, ২২: ৫৫
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ০০: ১৯
লামিনে ইয়ামাল

রমজানে থেমে নেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের ব্যস্ততা। দিনে রোজা রেখে করতে হচ্ছে অনুশীলন। আর রাতে নামতে হচ্ছে মাঠের লড়াইয়ে। মুসলিম ফুটবলারদের যেতে হচ্ছে এমন কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে। মোহাম্মদ সালাহদের খেলতে হচ্ছে ইফতার শেষ করেই। ফুটবলের উঠতি সেনসেশন লামিনে ইয়ামালও এর ব্যতিক্রম নন।


ইয়ামালের বাবা মরক্কোর নাগরিক। আর মা গিনির। তবে তার জন্ম স্পেনে। মুসলিম পরিবারের ছেলে এ তরুণ তুর্কি বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিকের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সদস্য। পবিত্র রমজানে বিশ্বের অন্য আট দশজন মুসলমানের মতো রোজা রেখে খেলে যাচ্ছেন তারকা এ প্লেমেকারও। মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন লা লিগা কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ।

বিজ্ঞাপন


খবর রটেছিল, ইয়ামালের রোজা পালনে বাদ সাধছে বার্সা কর্তৃপক্ষ। বেনফিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো পর্বের প্রথম লেগে তাকে দ্রুত মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার পেছনে রোজা পালনকেই কারণ হিসেবে দেখেছিলেন অনেকে। তবে স্প্যানিশ গণমাধ্যম ডিয়ারিও এএস অবশ্য জানিয়েছে, কৌশলগত কারণে ওই ম্যাচে ইয়ামালকে উঠিয়ে নেন কোচ ফ্লিক।


ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমের নতুন খবর, রমজানের রোজা রাখতে গিয়ে ইয়ামাল কোনো ধরনের বিধিনিষেধের মখোমুখি হচ্ছেন না। বরং রমজানে ইয়ামালের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বার্সার মেডিকেল বিভাগ। ইয়ামালের সাহরি ও ইফতারের মেন্যু ঠিক করে দিচ্ছেন ক্লাবের নিজস্ব পুষ্টিবিদ।


রোজা রেখে বার্সেলোনার হয়ে খেলা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ফ্র্যাংক কেসি, ওসমান ডেম্বেলে রোজা রেখেই মাঠে ঝলক দেখিয়েছেন। এজন্য ক্লাবে এ নিয়ে কখনো কোনো ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। তবে রমজানে ইয়ামাল বার্সার নিজস্ব আবাসন লা মাসিয়া ছেড়ে গেছেন। দাদি ফাতিমার সঙ্গে থাকছেন চাচা আব্দুলের বাড়িতে।


চাচার বাড়িতেই ইফতার সারছেন ইয়ামাল। ক্লাব কর্তৃপক্ষ ম্যাচের দিন তার ইফতারের দিকে রাখছে বিশেষ নজর। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বেনফিকার বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচেও এ নিয়ে সতর্ক ছিল বার্সা। শুরুর একাদশে থাকলে রোজা রেখেই মাঠে খেলতে হয়েছে ইয়ামালকে। ম্যাচের মাঝেই সেরে নিতে হয়েছে ইফতার।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত