মৌলভীবাজার কাঁপাতে প্রস্তুত ১ টন ১৫০ কেজির ‘তুফান’

এম ইদ্রিস আলী, মৌলভীবাজার
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০২: ৩৬

এবারের ঈদুল আজহায় মৌলভীবাজারে জেলায় ৭ হাজার ৩৭২টি নিবন্ধিত খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত মোট ৮০ হাজার ৬৩৭টি গবাদিপশু। এবার জেলায় চাহিদা হলো ৭৯ হাজার ৯২৯টি গবাদিপশু। অতিরিক্ত থাকবে ৭০৮টি। এরমধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি বৃহদাকার গরু। যার অন্যতম আকর্ষণ হলো ‘তুফান’।

বিজ্ঞাপন

জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওর পাড়ের জেটি রোডে অবস্থিত জেলার অন্যতম বৃহৎ গবাদিপশুর খামার ইংল্যান্ড প্রবাসী মীর মিনহাজ নাসিরের মালিকানাধীন ‘বিসমিল্লাহ শ্রীমঙ্গল এগ্রো’ খামারের এ গরুটির ওজন ১ টন ১৫০ কেজি (১ হাজার ১৫০ কেজি)। এটির উচ্চতা ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি এবং লম্বায় সাড়ে ১১ ফিটের মতো। গরুটির মূল্য ১৩ লাখ টাকা হাকাচ্ছেন খামার কর্তৃপক্ষ।

বিসমিল্লাহ শ্রীমঙ্গল এগ্রো খামারের ডিজিএম আরিফ হোসেন বলেন, আমাদের খামারে এবার কোরবানির জন্য ৩০-৩২টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। গত কোরবানিতে বিক্রি হয়েছে ২৭টি গরু। এবার আমাদের খামারের মূল আকর্ষণ ‘তুফান’। ছয় বছর বয়সী এ ষাঁড়টির উচ্চতা ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি এবং লম্বায় সাড়ে ১১ ফিটের মতো। ওজন মাপার মেশিনে যেটির ওজন ১ টন ১৫০ কেজি (১ হাজার ১৫০ কেজি)। আমরা এটির মূল্য চাইছি ১৩ লক্ষ টাকা। ইতোমধ্যে একাধিক ব্যক্তি গরুটি দেখে দামদর করে গেছেন। এবার খামারের গরুগুলোর মধ্যে ‘তুফান’ ছাড়াও রয়েছে ‘সাদা বাদশা’, ‘কালা বাদশা’সহ আরও বেশ কিছু বৃহদাকার গরু। জেলার মধ্যে অন্যতম বড় ষাঁড়গুলো দেখতে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসছেন খামারে। দরদাম করছেন অনেকেই। আমাদের খামারের ষাঁড়গুলোকে সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত দেশীয় খাবার দিয়ে বড় করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ডাল, ঘাস, ভাতের মাড় ছাড়া কোন ধরনের ফিড বা ঔষুধ এটিকে খাওয়ানো হয়নি। উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের লোকজন গরুগুলো লালন-পালনে সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় মৌলভীবাজার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৭৯ হাজার ৯২৯টি হলেও ৭ হাজার ৩৭২টি নিবন্ধিত খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে ৮০ হাজার ৬৩৭টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে ৪৬ হাজার ৫৮০টি গরু, ১ হাজার ২৭২টি মহিষ, ২৮ হাজার ৬২২টি ছাগল ও ৪ হাজার ১৬৩টি ভেড়া।

মৌলভীবাজার জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল আলম খান বলেন, এ বছর ঈদুল আজহায় জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে প্রায় ৭ শতাধিক পশু বেশি রয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়িতে অনেক কৃষকের বিক্রি উপযুক্ত কিছু গরু রয়েছে। তাই অবশ্যই বলা যায় এ বছর কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত