পতাকা বৈঠকে নিহত ওবাইদুল ইসলামের পিতা হানেফ আলী ও তার পরিবারের লোকজন শনাক্ত করার পর লাশ হস্তান্তর করা হয়। ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাদগা থানার এস আই বিশ্বজিৎ পাল মহেশপুর থানা ওসি তদন্ত সাজ্জাদ হোসেনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশ হস্তান্তর করেন।
বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবুর বাড়িতে এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনসহ অর্ধশত প্রতিনিধির একটি দল গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে ইব্রাহিম বাবুসহ দুই তিনজন ঘাস কাটতে কাটতে ভারতের অভ্যন্তরে সীমান্তের ২০০ গজ ভিতরে প্রবেশ করেন। এসময় বিএসএফের ৩২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে ২টি গুলির আঘাতে আহত হন বাবু। বাকিরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসলেও আহত বাবুকে ধরে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ এবং সেখানেই তার
কিছুদিন আগে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সেখানে ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন। এরপর বিএসএফ তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ইব্রাহিম। বিষয়টি জানতে পেরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের নিকট জানতে চাইলে ইব্রাহিমকে হত্যার কথা অস্বীকার করে বিএসএফ। পরে চিঠি চালাচালির দু’দিন পর ইব্রাহিমকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তিন দিন পর তার অর্ধগল
মহেশপুর থানা পুলিশ মৃত ওয়াসিম আকরামের লাশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, বাগাডাঙ্গ গ্রামের ইউপি সদস্য ওবায়দুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার পিতা ও বড় ভাইয়ের নিকট হস্তান্তর করে।
আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। গত ২৩ জুন ভারতের বেলাপুর থানা পুলিশ তাদের আটক করে। ৪ জুলাই তাদের বিমান যোগে শিলিগুড়ি বিমানবন্দরে আনা হয়। পরে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। আটকদের পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
ভারতের জালিয়াখলা বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন ১৩০১ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার থেকে প্রায় ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২৬ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৭টা ৪৫ মিনিটে পুশইনকৃত ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে পাওয়া যায়। বিজিবি তাদেরকে আটক করে।
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ছাতকের নোয়াকোট বিওপির আওতাধীন বাগানবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ২০ জনকে পুশইন করেছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাপসার সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার ভোরে আবারো ৭ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে গত একমাসে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৭২ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ।
ফেনীতে নারী-শিশুসহ আরও ১১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করেছে।
পঞ্চগড়ের গোলাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ৭ জন, ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৯, নওগাঁর ধামইরহাটে ১, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ১৩ এবং দিনাজপুরের অচিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে পুশ করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্তে ১৩ বাংলাদেশিকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় তাদের আটক করে বিজিবি সদস্যরা।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১৩ জনকে পুশইন করলে কর্তব্যরত বর্ডার গার্ডের টহল (বিজিবি) টহল দল তাদের আটক করে।
বাংলাদেশে পুশ ইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। গত মঙ্গলবার রাতে আরো ৩২ জনকে শূন্যরেখা অতিক্রম করে ঠেলে দিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।