শেখ মুজিব ৪ বছরের মাথায় গণতন্ত্রকেই ভ্যানিশ করে দিল। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করলো। এটা তারাই করেছে যারা ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা। শেখ মুজিবুর রহমান ফ্যাসিস্ট ছিল, তার কন্যা (শেখ হাসিনা) তো ডাবল ফ্যাসিস্ট হয়েছে।
কমিশনের দাবি, আইনে বাতিলের ক্ষমতা সাংবিধানিক সংস্থার হাতে না থাকায় তাদের অপারগতার কথা জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দুদককে এখন ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সংস্থার নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফলে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী প্রমাণের কাজটি কঠিন
হাজারো হাসিনা-কাণ্ডের ভিড়ে কিছু কথা ভুলেও যায় মানুষ। ৫৭ বছর বয়সে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি ১৯৯৮ সালে, আর পচাত্তরের পরও তিনি প্রধানমন্ত্রী হোক না জবরদখলকারী! একটি সংসদ রেখে আরেকটি সংসদ নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের নীতি হিসেবে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা ধ্বংস করে সংবিধানও লংঘন করেন তিনি।
তিনি শহীদ পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শহীদদের সঙ্গে রাস্তায় বুলেটের সামনে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য আমার হয়নি। কিন্তু তাদের অবদানের জন্যই আমি আবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছি। তাদের অবদানের কোনো তুলনা নাই। আলোচনা করে কথার মাধ্যমে তাদের অবদানকে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। এটা কাজের মাধ্যমে করতে হবে।
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে যা ঘটেছে, সেই প্রতিটি ঘটনার বিচার রোম সনদের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ৭ জুলাই এই মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষ হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি এমন নির্দেশনার একটি অডিও কল যাচাই করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
শেখ হাসিনার গুম-খুনের বাহিনী পর্দানশীল তরুণীদের তুলে নিয়ে নির্যাতন চালাত। টর্চার রুমে নিয়ে শরীর থেকে ওড়না কেড়ে নিত। অনেকটা ক্রসিফাইড হওয়ার মতো করে দুই হাত দুই দিকে তুলে বেঁধে রাখত।
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভুত্থানে বাংলাদেশে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ দমনে সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসি আই শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি ফোন কলের সত্যতা যাচাই করেছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলি করে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনকালে দেশের মানুষের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতা ছিল না। বিবেকবান মানুষের জীবন ছিল কারাগারের মতো।
‘প্রশ্ন নয় প্রশংসা করতে এসেছি’—এই ছিল হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের ধরন। এই দমনপীড়নের মধ্যেও যারা ন্যূনতম সাংবাদিকতার চেষ্টা করতেন তাদের ওপর নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ।
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট হওয়ার পেছনে জাতীয় পার্টিরও অন্যতম দায় রয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তথাকথিত তিনটি নির্বাচনে এ দলটির অংশগ্রহণ শেখ হাসিনার সরকারকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দলটি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে এসেছি, এখনো রয়েছি। যখন যুক্তরাজ্যে ছিলাম
পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। আমি আসছি মানুষকে দিতে’- মুখে এই কথা বলে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ফেনা তুলে ফেললেও ভেতরের চিত্র কি ছিলো এটা এখন উন্মোচিত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন এবং অবিশ্বাস্য স্কেলের এই লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের এক বড় নির্দেশক